আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
গতকাল রাতে আপুর বাসা থেকে ফিরে এসে শরীরটা বেশ ক্লান্ত লাগছিল। তাই আর বেশি রাত জাগতে পারিনি। বিছানায় বিশ্রাম নিতে যেয়ে, ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে হঠাৎ ঘুম এসে পড়ল। সকালে ঘুম ভাঙল আব্বুর চেঁচামেচি শুনে। গতকাল রাতে আব্বু বলেছিলেন, তিনি ও আম্মু খালার বাড়িতে যাবেন, কারণ খালার শরীর ভালো না। আমি সে কথা ভুলে গিয়েছিলাম, যে আজ সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে। পরে সকাল ছয়টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠলাম, ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম, তারপর আব্বু-আম্মু মিলে বাসা থেকে বের হলেন সাথে আমিও।
প্রকৃতিতে শীতের আমেজ, ঠান্ডা বাতাস বইছে। এমনিতেই সকাল সাতটার দিকে বাইরে বেরিয়েছি তাই শীতের পোশাক পরে নিলাম। তারপর রিকশা চড়ে আব্বু-আম্মুর সাথে বাজারে যাচ্ছি। আম্মু বললেন, একটা জর্দা আর কিছু শুকনা খাবার লাগবে। আমি তখন আব্বু-আম্মুকে বাজারের এক স্থানে দাঁড় করিয়ে, জর্দা আর কিছু বিস্কুট কিনলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে ওভার ব্রিজ পার হয়ে রাস্তার ওপাশে গেলাম এবং বাসস্থানে দাঁড়ালাম।
|
---|
এখন একটু বলি, আব্বু-আম্মু নেত্রকোনায় যাচ্ছেন আমাদের খালার বাড়িতে বেড়াতে। খালার শরীর খারাপ, তাই তাকে দেখতে যাচ্ছে সাথে একটু ঘোড়ারও পরিকল্পনা আছে। নেত্রকোনা যাওয়ার জন্য আমরা শাহজালাল বাসের অপেক্ষায় ছিলাম। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর, আমি কাউন্টারে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম যে বাস আসতে আরো এক ঘণ্টা সময় লাগবে, কারণ বনানীতে দুর্ঘটনা হয়েছে এবং রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বাস এসে পৌঁছাল। আমি আব্বু-আম্মুকে বাসে তুলে দিলাম এবং আমি বাসার পথে রওনা দিলাম।
|
---|
|
---|
বাজারে আসার পথে হঠাৎ করে এক লোক খেজুরের রস বিক্রি করতে দেখে মনে পড়ে গেল যে, শীতের শুরুতে খেজুরের রস খাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু শীত চলে যাচ্ছে, কিন্তু রস খাওয়া হচ্ছিল না। তাই রসের হাড়ি চোখে পড়রায় মাত্রই, আমি চট করে হাফ লিটার রস কিনে নিলাম। দাম পরল ৬০ টাকা। তারপর ছোট বোনকে ফোন করে জানালাম যে, সকালের নাস্তা লাগবে কিনা। ছোট বোন বলল, তন্দুল রুটি খাবে, কারণ সকালবেলা ছোট বোন নাস্তা করেনি । তাই আমি তার জন্য দুইটা তন্দুল রুটি আর ভাগ্নির জন্য একটা সিঙ্গারা কিনে বাসায় ফিরে এলাম।
এইভাবে আমার এক দিনের ছোট্ট জীবনকাহিনী, সবার সাথে শেয়ার করলাম। প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের জীবনের অংশ, যা ছোট হলেও অমূল্য। আমরা যতই ব্যস্ত থাকি, ছোট-ছোট আনন্দের দিকে নজর দিতে ভুলে যাই। আমাদের জীবন যতই ছোট বা বড় হোক না কেন, প্রতিটি মুহূর্তেই কিছু বিশেষতা থাকে। জীবনকে ভালোবাসুন, সুস্থ থাকুন, এবং প্রতিদিনের ছোট-ছোট সুখের দিকে নজর দিন।
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন
আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় মাথা রাখলেই যেন ঘুম চলে আসে।। আজ অনেক দ্রুত ঘুম থেকে উঠেছেন মা বাবার সাথে বাজারে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন মূলত আপনার মা বাবা নেত্রকোনায় আপনার খালার বাসায় যাবে।।
দীর্ঘ অনেক সময় পর টিকিট পেয়েছেন আসলে দূরে কোথাও যাওয়ার সময় অনেক সময় যাতায়াতের সমস্যার জন্য যেতে লেট হয়।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আমার পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের যখন বয়স হয়ে যায় তখন তাদের মধ্যে অনেক রকম চিন্তা-চেতনা চলে আসে আপনার বাবা-মা যেহেতু আপনার খালার বাসায় যাবে আপনার খালাকে দেখার জন্য তাই তারা একটু সকাল সকাল বাসা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু আপনি ঘুম থেকে উঠতে ভুলে গেছেন।
কিন্তু তারপরেও আপনি সঠিক সময়ে উঠে তাদেরকে বাসে উঠিয়ে দিয়েছেন এটা দেখেই ভালো লাগলো আসলে শহরের মধ্যে খেজুরের রস এটা আদৌ খেজুরের রস নাকি অন্য কিছু সেটা ভালোভাবে দেখে তারপর খাবেন কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল থাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ছোট্ট সকালবেলার গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit