আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
গত পোস্টে আমি বলেছিলাম, দুই বোন এবং দুই ভাগ্নি সবাই মিলে সন্ধ্যার সময় ঘুরতে বের হব। বড় আপু বললেন, তাদের এলাকায় একটা নতুন নগর তৈরি হয়েছে। আগে এখানে ছিল গ্রাম্য পরিবেশ, চারপাশে সবুজ মাঠ আর জঙ্গল। তবে কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় অনেক রেস্টুরেন্ট ও দোকান গড়ে উঠেছে এবং দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। হয়তো বলা যায়, এটা এখন একটি জনপ্রিয় ঘোড়ার স্পট হয়ে উঠেছে।
সুখী নগরের উদ্দেশ্যে, সন্ধ্যায় আমি, বোন, আর দুই ভাগ্নি মিলে বাসা থেকে বের হলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সবাই একসাথে কয়েকটি ছবি তুললাম, যেগুলো হয়তো সারাজীবন আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকবে। আপুর বাসা থেকে সুখী নগরের দূরত্ব খুবই কম-হেঁটে যেতে সময় লাগে মাত্র ১০-১৫ মিনিট।
আমরা যখন সুখী নগরের কাছাকাছি পৌঁছালাম! তখন আপু আমাদের এখানকার পুরানো ইতিহাস শোনাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, আগে এখানে মানুষকে মেরে ফেলে রাখা হতো, যা খুবই ভয়ঙ্কর ছিল। এই জায়গা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, কেউ এখানে দিন দুপুরেও আসত না। চারদিকে পানির থৈ-থৈ ছিল এবং বিশাল বড় একটা চড়ও ছিল। আর এই এলাকার চারপাশে ঘন-ঘন খেজুর গাছ ছিল। তবে এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে এই সব অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করে, উন্নয়নের পথে উদ্যোগ নিয়েছে। তারা নতুন করে একটি নগর তৈরি করে এবং তার নাম দেয় সুখী নগর। নামটি যেমন সুন্দর, তেমনি এখানকার পুরানো ইতিহাস শুনলে গা শিউরে ওঠে।
আমার ছোট্ট ভাগ্নি তো পাগলের মতো ছোটাছুটি করছে। সে আমার কাছে বলছিল, কতগুলো ছবি তুলে দিতে হবে। সেখানে লাল পরী একটা ভাব নিয়ে ছবি তুলেছে আমার ছোট ভাগ্নি।
প্রথমে আমরা একটী রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম, যার নাম ছিল স্বপ্ন চুড়ি রেস্টুরেন্ট। আপু বলল, এই রেস্টুরেন্টের ফুচকা খুবই ফেমাস। তারা প্রায় দুইদিন পর-পর এখানে ফুচকা খেতে আসে। সত্যি, ফুচকাটি ছিল বেশ মজাদার। পরে রেস্টুরেন্টের আশেপাশে একটু ঘুরাঘুরি করলাম এবং কিছু ছবি তুললাম।
আপনারা উপরের ছবিটি দেখছেন, এখানে আমার দুই ভাগ্নি এবং আমি উপস্থিত আছি। রেস্টুরেন্টে ভিতরে একটা ছোট্ট রেলের গাড়ি ছিল, যা বাচ্চাদের জন্য ছিল। রেস্টুরেন্টের মাঝখানে একটি মাছের একুরিয়ামও ছিল। সেখানে কয়েকটি দেশী মাছ এবং দুটি কমট গোল্ডফিশ ছিল। আমরা প্রায় আধা ঘণ্টা সময় কাটিয়ে প্রতিটি রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখলাম এবং কিছু সুন্দর মুহূর্ত স্মৃতির জন্য ছবি তুললাম।
|
---|
আজকের গল্পটি এই ছোট্ট লেখার মাধ্যমে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। যদি কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে, তবে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিবারের সাথে সময়টা বেশ সুন্দর কাটিয়েছেন। লাইটিং দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা বেশ সুন্দর এবং মনোরম । নিরিবিলি নিজের মনকে প্রশান্ত করে কিছুটা সময় সেখানে কাটানো। অনেক ভালো লাগল পোষ্টটা। এভাবেই পরিবারকে নিয়ে আনন্দে থাকুন এই প্রার্থনা করি। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit