পুরনো ছবির গল্প

in hive-120823 •  4 days ago 

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


আজকের দিনটিতে লিখতে বসে, আমি বারবার চিন্তা করছিলাম, কী নিয়ে লিখব। ভাবতে-ভাবতে সময় চলে গেল, হঠাৎ আমার মাথায় একটা ভাবনা এল। আমার ফোনের গ্যালারিতে কিছু পুরনো ছবি রয়েছে, যা অনেকদিন আগের, কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দেয় আমায়।

1000009707.jpg

কোন এক পড়ন্ত বিকাল কি সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্য

আজকে আমি, আপনাদের সাথে আমার পরিবারের কাটানো ২০২২ সালের কিছু আনন্দ মুহূর্ত শেয়ার করব। এই ছোট্ট গল্পের মাধ্যমে, আমি আমার অভ্যন্তরীণ অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করবো, আশা করি সবারই ভাল লাগবে!

1000009699.jpg

পাহাড়টি যতটুকু কাছে মনে হচ্ছে এতোটুকু কাছে ও নয়! খালার বাসা থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে

আমাদের খালার বাসা থেকে বের হওয়ার পথে, পশ্চিম দিকে তাকালে ভারতের মেঘালয়ের বড় পাহাড় দেখতে পাওয়া যায়। এই পাহাড়ের দৃশ্য আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছিল। মাঝে-মাঝে মন খারাপ হলে, আমি খালার বাড়ি চলে যাই, কারণ সেখানে গেলে আমি শান্তি অনুভব করি।

1000009700.jpg

এইসব ছবিগুলো ২০২২ সালে তোলা

উপরের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন, এটি একটি রূপালী বিকালে তোলা। তখন অগ্রাহনের ধান কাটা হচ্ছিল এবং কৃষকরা তাদের নতুন ধান ঘরে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি তখন এক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। কেন জানি, তখন মনে হয়েছিল এই মুহূর্তটি আমাকে ধরে রাখতে হবে! আজ, হঠাৎ করে সেই স্থানের কথা মনে পড়ল, কী অদ্ভুত!

ezg1.gif

তাহলে শুরু করা যাক ২০২২ সালের আমার কিছু স্মৃতিময় দিন

ezg1.gif

আজ আমি সেই পুরনো ছবি গুলি দেখছিলাম। আমার ফোনের গুগল ড্রাইভে! আর ২০২২ সালের এক স্মরণীয় দিনের কথা মনের মধ্যে ভেসে উঠল। সেবার আমি, আমার বাবা-মা, ও খালা,খালু একসাথে নেত্রকোনা গিয়েছিলাম ঘুরতে। শহরের মানুষ আমরা, তাই গ্রামের পটভূমি, পাহাড়, জঙ্গল আমাদের কাছে সবসময় একটা ভালোবাসার জায়গা। একদিন, খালা ও খালু আমাদের পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে গেল। আমি পাহাড়ে যেতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলাম, কারণ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আমার খুব ভালো লাগে।

1000009704.jpg

1000009701.jpg

আমাদের গন্তব্য ছিল কলমাকান্দা উপজেলার পাচগাঁও, যা ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তে অবস্থিত। সকালে উঠে সাজগোজ করে সিএনজিতে চড়ে আমরা রওনা হলাম। প্রথমে আমরা বুড়িগঞ্জ বাজারে গিয়ে কিছু চা, গজা ও মিষ্টি খেয়েছিলাম। এরপর পাঁচগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দিলাম। সেই পথের মাঝে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলাম, যা ১১ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থল। এখানে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে মেরে কবর দিয়ে রাখা হয়েছিল, এবং এই স্থানের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ছবির মধ্যে ভারতের সীমান্তও দেখা যাচ্ছে, আর আমি খুব কাছ থেকে ভারতের মানুষের চলাফেরা দেখতে পাচ্ছিলাম। সেই দৃশ্য খুবই সুন্দর ছিল এবং আমার জীবনের স্মৃতিময় ছিল।

1000009709.jpg

আমার, বাবা, মা

আপনারা উপরের যে ছবিটুকু দেখছেন, এই ছবির আশেপাশে যে গজারি গাছগুলি দেখতে পারছেন।
এই গাছগুলোর সাদা-লাল দাগগুলোর মাধ্যমে বিপদ সংকেত দেওয়া হচ্ছিল! কারণ এই স্থানটি ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি ছিল। সতর্কতার সঙ্গে আমরা সেই পথ ধরে চলছিলাম। আস্তে- আস্তে পরিবেশ ও মানুষের জীবনযাত্রা আরও কাছ থেকে অনুভব করতে পেরেছিলাম।

আজকের এই ছোট্ট একটি পোস্ট দিয়ে গল্পটি শেষ করলাম!
আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে! তাহলে সবাই ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

১৬ই / ফেব্রুয়ারি / ২০২৫

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Loading...

পুরনো স্মৃতি আমার কাছে অনেক বেশি মূল্যবান এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আজকে আপনি বেশ কিছু পুরনো ছবি এবং তার সাথে জড়িত গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আকাশটা কেউ কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয় কিন্তু সেটা কি আমাদের কাছে নয় মোটেও না তার পরেও আমরা তাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।

ধানের উপরে যখন রূপালী রাধা পড়ে তখন কিন্তু সূর্য দেখা যায় আর এই সূর্যের কারণেই দৃশ্যটা অনেক বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে যেমনটা আপনার ফটোগ্রাফি ভেবে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

ধানের উপরে যখন রূপালী রাধা পড়ে তখন কিন্তু সূর্য দেখা যায় আর এই সূর্যের কারণেই দৃশ্যটা অনেক বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে যেমনটা আপনার ফটোগ্রাফি ভেবে দেখা যাচ্ছে

আপনার উপরের এই কথাটুকু সত্যিই মনটা ভরে গেল এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 💕