আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
প্রায় দেখতে-দেখতে শীত চলে গেল, আর অতি শীঘ্রই গ্রীষ্মকাল আসবে। শীতকাল যে কতটা প্রিয় ছিল, সেটা বলার মতো নয়! শীতে কাজ করতে এক অদ্ভুত শক্তি অনুভব হয়, অথচ ক্লান্তি কখনও তাড়া করে না। আজকের সকালে ঘুম থেকে উঠলাম সকাল আটটার দিকে। উঠেই, দুই ভাইবোন মিলে সকালের নাস্তা তৈরি করলাম। নাস্তা সেরে, বিদ্যুৎ আর পানির বিল দেওয়ার জন্য ব্যাংকের উদ্দেশে বের হলাম সকাল সাড়ে নয়টার দিকে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে, ব্যাংকে যেয়ে দেখি তেমন লোকজনের ভিড় নেই। তাই বিল দেওয়া তো একেবারে ঝামেলা ছাড়াই হয়ে গেল। মাত্র ১০ মিনিটে বিলগুলি দিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। বাড়ি এসে কিছু ব্যক্তিগত কাজ সারলাম।
কিছুদিন ধরেই মনে হচ্ছিল, চুল কাটানো প্রয়োজন। আমাদের এই খানে নাপিতদের কাছে চুল কাটানোর জন্য আগে থেকেই সিরিয়াল দিতে হয়। আমি আধঘণ্টা আগে ফোন দিয়ে সিরিয়াল দিলাম। দুপুর বারোটার দিকে সেলুনে পৌঁছালাম চুল কাটাতে। মোশারফ ভাই, তিনি আবার অনেক সুন্দর করে চুল কাটে, আবার মাঝে-মাঝে সুরে গানও গাইতে থাকেন। তার গলা ভারী মিষ্টি, আমার চুল খুবই কম, তবুও তিনি আধ ঘণ্টা ধরে যত্ন নিয়ে চুল কাটলেন।
চুল কাটানোর পর বাসায় ফিরে এসে প্রথমে কবুতরের খাঁচাগুলি পরিষ্কার করলাম। এরপর গোসল করে কাপড়গুলো ছাদে দিতে গেলাম। কিন্তু তখনই দেখলাম আজকের রোদটা বেশ তীব্র। সঙ্গে- সঙ্গে ঘরে ফিরে এলাম এবং দুপুরের খাবার খেতে বসলাম। খাবার শেষে, নিজের ঘরে ঢুকতে দেখি ঘরটা বেশ গরম হয়ে গেছে। আজই প্রথম দুপুরে ফ্যান ছেড়ে বিশ্রাম নিলাম। মনে হচ্ছিল, গ্রীষ্মকাল আসছে, আর শীতকাল চলে গেছে খুব দ্রুত। যাদের শীতকাল খুব পছন্দ, তাদের কাছে এই সময়টা একটু কষ্টকর বোধ হতে পারে।
বিকালে ছাদে গেলাম। সেখানে কিছু ছোট-ছোট বাচ্চারা আকাশে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। তাদের আনন্দ দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
কতো না পিটানি খেয়েছি আম্মুর হাতে এই ঘুড়ি উড়ানোর জন্য ! মাঝে-মাঝে আম্মুর কাঁথার সুতা দিয়ে ঘুড়ি উড়াতাম আর রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে নাটাই বানাইতাম। ছাদে কিছু সময় থাকার পর, সন্ধ্যা হয়ে গেল। তখন নিচে নেমে আসলাম, কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আযানের ধ্বনি শোনা গেল।
তারপর ছোট বোন এসে বলল, ভাগ্নীর স্কুলের জামাকাপড়টা নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন জামা তৈরি করাতে হবে। ছোট বোনের নামাজ শেষ হলে, কিছুক্ষণ পর ভাইবোন মিলে টেইলার্সে গেলাম। টেইলার্সে পৌঁছে দেখি, বছরের শেষ সময় হওয়ায় কারণে, সেখানে অনেকেই স্কুলের জামা কাপড় তৈরি করাতে এসেছে।
এভাবেই আজকের দিনটা শেষ হলো। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম, তিনি আমাকে আরেকটি দিন বাঁচার সুযোগ দিয়েছেন। এই সুন্দর পৃথিবীর সব কিছু উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছেন।
আমার যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শহরে বা গ্রামের কারেন্টের বিল দিতে গেলে অনেক বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় অনেকটা সময় নিয়ে তারপরে বিল দিতে হয় তবে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে দিতে পেরেছেন কারণ আপনি সকালবেলা তাড়াতাড়ি গিয়েছিলেন।
শহরের কথা কি বলবো জানি না গ্রাম অঞ্চলেই চুল কাটতে গেলে সিরিয়াল দিয়ে বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা আপনি তাও আটঘন্টা আগে দিয়ে আপনার চুল কাটা শেষ করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপনার বোনের মেয়ের জন্য আবার স্কুল ড্রেস সেলাই করার জন্য আপনি গিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit