আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
গতকাল রাতটা ছিল বেশ স্মরণীয়, কমিউনিটির হ্যাংআউট শেষ করে বাসায় রাতের খাবার খেয়ে, মসজিদের উদ্দেশ্যে আবার বের হয়ে গেলাম। প্রায় রাত দুইটা পর্যন্ত মসজিদে ছিলাম। মসজিদ থেকে বাসার দিকে ফেরার পথে অনেক দেরি হয়ে গেল এবং বেশ রাত হয়ে গেল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাগ্নিটা আমাকে ডাকছে! আমাকে বলছে, তুমি সারারাত কোথায় ছিলে। তখন আমি তাকে বিস্তারিত বললাম, গতকাল রাতে নামাজের রাত ছিল, তাই মসজিদে ছিলাম।
আম্মা, আব্বা চলে যাওয়ার পর সকালবেলার খাবারটা সঠিকভাবে খাওয়া হয় না। আমাদের দুই ভাই বোনের! আজকে সকালে ভাইবোন মিলে এগারোটার দিকে নাস্তা করলাম।
প্রায় বারোটার দিকে, আমার এক বন্ধু ফোন দিল। কারণ, প্রায় বিশ দিন আগে আমি একটি অটো গাড়ি অর্ডার দিয়েছিলাম। গাড়িটি কতটুকু পর্যন্ত কমপ্লিট হয়েছে। তা জানার জন্য, কারখানার মালিকের সাথে দেখা করতে হবে এবং কিছু টাকা দিয়ে আসতে হবে। আমি বাসার থেকে বের হলাম সাড়ে বারোটার দিকে।
আমাদের গন্তব্য ছিল দক্ষিণ খান। এলাকার থেকে একটি অটো রিকশা ভাড়া করে যাত্রা শুরু করলাম। যখন দক্ষিণ খানে পৌঁছালাম, মনে হলো আমি যেন পুরনো এক গ্রাম্য পরিবেশে ফিরে গেছি। আগে যখন কলেজে পড়তাম, তখন আমার এক বন্ধু এখানে থাকত। প্রায়ই এখানে ঘুরতে আসতাম। রাস্তায় অটো রিকশায় চলতে-চলতে দুপুরের ঠান্ডা বাতাস বেশ তীব্র ছিল, যার কারণে রাস্তার ধুলাবালি আমাদের চোখে-মুখে চলে আসছিল, এমন একটা অবস্থা ছিল। এর মধ্যে অটো রিকশার চাকা পাংচার হয়ে গেল।
পরে আমরা, একটা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতে লাগলাম। আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। অটো রিকশার ড্রাইভার চাকা সারানোর জন্য পাশের দোকানে গেল। প্রায় আধা ঘণ্টা পর, আমাদের রিকশা ঠিক হয়ে আবার আমাদের গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম।
দক্ষিণ খান গিয়ে জানতে পারলাম, অটো গাড়ির ফ্রেম কমপ্লিট হয়ে গেছে, কিন্তু পুরো গাড়ি কমপ্লিট হতে আরো ১০-১৫ দিন লাগবে। ফ্যাক্টরি মালিক মানিক ভাই সেখানে ছিলেন না, তিনি অন্য কোথাও গিয়েছিলেন। অন্য কর্মচারীরা জানালো গাড়িটি দ্রুত প্রস্তুত হবে, তবে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
প্রায় দুপুর ২টায় বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় এসে, গোসল করে দুপুরের খাবার খেলাম। আজকের দুপুরের খাবারে ছিল আমার পছন্দের শুটকি ভর্তা, শুটকি মাছ দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু তরকারি। দুই ভাই বোন কিছু সময় গল্প করলাম। গল্প করতে করতে, দেখি বিকাল হয়ে গেছে।
এর মধ্যে, হঠাৎ আমার দুইটা কবুতর মারামারি করতে লাগলো। তাদের এই মারামারি দেখে একটা বিষয় উপলব্ধি হলো, মানুষের মতো পশুপাখিদের মধ্যেও হিংসা থাকে। দুইটা কবুতর একে অপরকে সহ্য করতে পারে না, তাই তারা মারামারি করে। আমি ভাবলাম, তাদের আলাদা করে আকাশে উড়িয়ে দিতে হবে, নইলে তাদের মারামারি কখনোই থামবে না এবং আহত হয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা হয়ে গেল।
এইভাবেই আমার আজকের দিনটা শেষ হলো। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি, তিনি আমাকে আরেকটি দিনের বাঁচার সুযোগ দিয়েছেন। আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাবা মা না থাকলে মাঝে মাঝে এমনটাই হয়ে থাকে আপনার বাবা-মা যেহেতু বাড়িতে ছিল না তাই আপনাদের দুইজনের সকাল বেলা অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে আপনারা অটো গাড়ির প্রেম তৈরি হয়ে গেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো আশা করি খুব দ্রুত আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit