আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজকে সকাল ৯ টার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠার পর প্রতিদিনের মতন আজকেও হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করলাম। নাস্তা করার পরে, আব্বায় বলল, তার সাথে বাজারে যেতে হবে। কিছুক্ষণ পর, বাবা, ছেলে মিলে বাজারে গেলাম বাজারে যেয়ে। নিত্যদিনের বাজার করলাম । যাই হোক, আব্বা এমনিতে হাটাহাটি করতে পারে না। পরে আমরা কিছু মরিচ, ধনিয়া পাতা এবং কিছু ২ টা কদবেল আর পেঁয়াজ কিনে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বাসার আসার পর, আমার ভাতিজি বলছে ওর ইস্কুলে নাকি আজকে প্রোগ্রাম আছে । এই কারণে তার সাথে আমার যেতে হবে। পরে আমি ওরে বললাম আমার বাসায় একটু কাজ আছে। তুমি স্কুলে যাও আমি কয়েক ঘন্টা পর তোমাদের স্কুলে আসতেছি। এই বলে ওকে স্কুলে দিকে পাঠিয়ে দিলাম। বাসায় আমার ব্যক্তিগত কাপড়চোপড় ধুয়ে নিলাম। তারপর আমার হঠাৎ করে মনে হল, ভাতিজি কে কথা দিয়েছি, এখন তো স্কুলে যেতে হবে। পরে ছটফট করে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হব, তখন আমি আমার ছোট বোনকে বললাম স্কুলে যাবি নাকি। আমার ছোট বোন বলল, ওর বাসায় কাজ রয়েছে তাই স্কুলে যেতে পারবে না।পরে আমি আমার ভাতিজির স্কুলে যেয়ে দেখি। আয়োজন প্রায় শেষের দিক আমি স্কুলে যেয়ে উপস্থিত হই এবং চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করার পর।
আমি আমার ভাতিজিরে পেলাম না, ভাবলাম হয়তোবা বাসায় চলে গেছে। পরে বাসায় তাৎক্ষণিকভাবে ফোন দিলাম আমার ভাবি বলল সামিয়া বাসায় চলে এসেছে। পরে নিশ্চিত হলাম আমার ভাতিজি স্কুলে নাই ওই বাসায় চলে গেছে।পরে আমি স্কুলের চারদিকে একটু ঘুরাঘুরি করলাম। দেখি স্কুলের ছোট-ছোট ছেলেমেয়েরা মিলেমিশে তারা স্টল দিয়েছে,কেউ বিক্রি করছে ফুচকা কেউবা আবার পিঠা। কেউবা আবার মঞ্চে উঠে গান গাচ্ছে। প্রায় ৫-৬ মিনিট স্কুলে ছিলাম এবং কিছুটা ছোটবেলার দৃশ্য মনে পড়ে গেল।
এই ফেব্রুয়ারি মাস ছিল আমাদের জন্য মজার একটা মাস। এই মাসেই স্কুলে বই বিতরণ হত স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো এবং বিভিন্ন খেলাধুলার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর বাসায় চলে আসলাম এবং দুপুরের খাবার খেলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার পর প্রিয় ভালবাসার কবুতর গুলিকে কিছুটা খাবার দিলাম এবং আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিলাম। কিন্তু ভালো লাগছে না সকালবেলা থেকেই মনটা একেবারেই মন মরা, কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। এই সব ভাবতে-ভাবতেই বিকাল হয়ে গেল।
এর মধ্যে আমার ভাগ্নি এসে বলছে, ওই আইসক্রিম খাবে আমি ওকে বললাম এই শীতের ভিতরে আইসক্রিম খেতে হয় না। ওই আমাকে লজিক দেখাইলো শীত তো চলে গেছে, এখন তো গরম লাগে। ওই আমাকে বলছে এই আইসক্রিম খেলে নাকি জিব্বা লাল হয়ে যায়। আমাদের পাশের বাসার আরেকটা বাবু এই আইসক্রিম খেয়েছে এবং আইসক্রিম খেয়ে ওকে বলে জিব্বা দেখাইছে। এখন ওর জিব্বাও ওই লাল করবে। পরে অরে নিয়ে দোকানে গেলাম, দোকানে যেয়ে আমার ভাগ্নি আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছে এই আইসক্রিম নাকি জিব্বা লাল করে। পরে একটি আইসক্রিম ওরে কিনে দিলাম।
পরে ওর সাথে একটু দুষ্টামি করলাম কিছু ছবি উঠাইলাম। ছাদে গিয়ে ভালোবাসার কবুতরগুলো আকাশেও উড়িয়ে দিলাম। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সন্ধ্যা হয়ে গেল। পরে আমরা সবাই ঘরে চলে আসলাম। এইতো আজকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ভাবেই আমার দিনটি শেষ হলো, আমি শুকরিয়া করি, মহান আল্লাহর নিকটে যিনি আমাকে আরেকটি দিন বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্কুলের সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল, এই মাঠে আমরা কত প্রোগ্রাম করেছি। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এ দুটো মাস বিভিন্ন রকম প্রোগ্রাম খেলাধুলা ইত্যাদি দিয়েই আমাদের বছরটা শুরু হতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার দিনলিপি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। পুরো দিনটি যেন জীবন্ত হয়ে উঠলো বাজার করা, স্কুলের স্মৃতি রোমন্থন, কবুতরের প্রতি ভালোবাসা, আর ভাগ্নির সঙ্গে মজার মুহূর্ত! আপনার সহজ-সরল উপস্থাপনা পড়ে মন ভালো হয়ে যায়। ভবিষ্যতেও এমন সুন্দর লেখা শেয়ার করবেন। শুভকামনা রইলো!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব মজা লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের দিনটা বলা যায় আপনার মোটামুটি একটু ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে ভাতিজির সাথে স্কুলে যাওয়া ওখানে গিয়ে আবার দৃশ্যগুলো দেখে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাওয়া ছোটবেলা আমাদের জন্য অনেক বেশি স্পেশাল ছিল চাইলেও আমরা সেই দিনগুলো এখন আর ফিরে পাবো না আসলে আমিও ছোটবেলায় এমন করতাম আইসক্রিম কিনে খাওয়ার পর যখন জিব্বা লাল হয়ে যেত তখন সবাইকে সেটা দেখিয়ে বেড়াতাম আপনার কবুতর গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit