Better Life With Steem || The Diary game || 7 / February / 2025

in hive-120823 •  13 days ago 

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


1000007501.jpg

1000008937.jpg

আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। এরপর ভালোবাসার কবুতরগুলোকে খাবার দিলাম। কিছু সময় কম্পিউটার ওপেন করে SEO ক্লাসের প্র্যাকটিস শুরু করলাম। এমন সময়ে আকাশে প্রচুর রোদ দেখে আম্মু বললো আমাকে, তোষকটা রোদে দিতে হবে। এই তোষকটা বাবা-মা ব্যবহার করে, আর এই তোষকটার ওজন অনেক বেশি। আমি ও আমার বড় ভাই মিলে তোষকটি ছাদে নিয়ে রোদে দিলাম

1000008938.jpg

মাটির চুলা

ছাদ থেকে নামার সময় দেখি, আমার ছোট ভাতিজি পিকনিক করার জন্য একটি চুলা বানিয়েছে। সেই চুলার জন্য মাটি সংগ্রহ করতে সে অনেক দূর গিয়েছিল। ছোটবেলায় আমরাও পিকনিক করারজন্য অনেক কষ্ট করতাম।

পরে কিছু ব্যক্তিগত কাজ সম্পন্ন করে দেখি সাড়ে বারোটা বেজে গেছে। দ্রুত গোসল করে নামাজে চলে গেলাম। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি ভ্যান গাড়ি দেখলাম, যেখানে সবজি বিক্রি হচ্ছিল। আমি সবজি বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, এক হালি লেবুর দাম কত সে বলল, ৬০ টাকা। আমি অবাক হয়ে গেলাম, কারণ শীতকালে লেবুর দাম সাধারণত কম থাকে। পরে অন্য ভ্যান গাড়িতে গিয়ে দেখি, লেবুর দাম ৪০ টাকা। আমি দুটি লেবু কিনলাম।

1000008936.jpg

1000008942.jpg

1000008944.jpg

1000008940.jpg

দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুটা বিশ্রাম নিলাম। এরপর মোবাইলে ইউটিউবে নাটক দেখলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি সাড়ে তিনটা বাজে। এর মধ্যে আমার ভাতিজি আমাকে ডাকাডাকি শুরু করল। সে আমাকে বলল, কাকা, দেখো লটারি কিনবা! আমি রুম থেকে বের হয়ে দেখি, এক ভদ্রলোক হাতে লটারি বিক্রি করছে। ঢাকা শহরের অলিগলিতে এমন লোকেরা ঘুরে বেড়িয়ে লটারি বিক্রি করে, কোম্পানি প্রচারের জন্য।

তাদের লিফলেটের মূল্য ছিল ২০০ টাকা, এবং প্রতিটি লিফলেটে একটি উপহার ছিল। যদি উপহার না পাওয়া যায়, তবে তারা ৪০০ টাকা ফেরত দিবে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, এই সবগুলো লিফলেটে কি উপহার আছে, তারা বলল, হ্যাঁ, যদি আপনি লটারি থেকে উপহার পান, তবে আপনাকে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিতে হবে এবং সেই উপহার নিতে পারবেন। আমি লিফলেটটা দেখলাম, যে উপহার তারা দেবে, এই সব জিনিসপত্র খুবই সস্তা-৬ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি ছিল এক ধরনের ব্যবসায়, যেখানে তারা লটারির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে। আমি ভাতিজিকে বললাম, এ ধরনের লটারি কেনার কোনো প্রয়োজন নেই। তারপর ওই লোকটিকে বিদায় দিয়ে দিলাম।

1000008935.jpg

আমার ভালবাসার কবুতর

অবশেষে, মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো এবং সন্ধ্যা হয়ে গেল। আজকের দিনটি আমার জীবনের এক ছোট-ছোট ঘটনা দিয়ে শেষ করলাম। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তিনি আমাকে আরেকটি দিন বাঁচার সুযোগ দিয়েছেন। যদি কোনো ভুল করে থাকি, তবে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

৭ই / ফেব্রুয়ারি / ২০২৫

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Loading...

আসলে ছোটদের এই দৃশ্যগুলো দেখে আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় আমিও এভাবে মাটি সংগ্রহ করে মা এর সাথে চুলা তৈরি করতাম মা আমাকে সাহায্য করত আমি একটু একটু করে তৈরি করতাম ছোটবেলায় পিকনিক করার জন্য অনেক পাগলামি করেছি কিন্তু সেই পাগলামি গুলো এখন মনে হয় বিলীন হয়ে গেছে এই লটারিগুলা একেবারেই বুড়া আমি নিজেও একবার কিনেছিলাম কিছুই হয় না অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

আমার পোস্টটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে বেশ অবগত হতে পেরেছি,আপনি যে এসিও ক্লাস শিখছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো, ঢাকাতে আসার পরে বেশ চেষ্টা করেছিলাম শেখার জন্য তবে হয়ে ওঠেনি গ্রামের বাড়িতে থাকতে কয়েক দিন ক্লাস করেছিলাম তবে ভালোভাবে না শেখার কারণে আজ সবই ভোলার পথে।

শীতের দিনের লেপ তোষক রোদে দেওয়ার পরে ঘুমাতে বেশ আরাম লাগে, তবে এগুলো রোদে দেওয়া ভীষণ কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। ঠিকই করেছেন এমন লটারি নাকে নাই ভালো শুধু শুধু টাকার নষ্ট হয়।।

আপনি ঠিকই বলেছেন, এইসব ডিজিটাল মার্কেটিং ক্লাসগুলো যদি সবসময় প্র্যাকটিস না করা যায়। তাহলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনার এত সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপনার দিনযাপনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন জীবনের এক সুন্দর প্রতিচিত্র । সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে এই এসিও প্র্যাকটিস, তোষক রোদে দেওয়া, ভাতিজির পিকনিকের চুলা বানানো, বাজারে লেবুর দাম দেখে অবাক হওয়া,বিকেলে লটারির ঘটনাটি বিশ্লেষণ করা, সবকিছুই বাস্তব জীবনের সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে আপনার কবুতর গুলোর প্রতি ভালবাসা আর দিন শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার লেখা পড়তে গিয়ে আমার কবুতরের কথা মনে পড়ে গেল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সম্পন্ন হবে করার জন্য। আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

একটু বেশি রোদের দেখা পেলে বোদায় প্রতিটি পরিবারেই মা এই কথাটা বলে কম্বল তোসক রোদে দিতে।।।

আপনার ভাগ্নি অনেক কষ্ট করে চুলা বানিয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।। ছোটবেলায় আমরাও এরকম করতাম পিকনিক খাওয়ার জন্য চুলা তৈরি করতাম।।