আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি । ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী, সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
এই সকল বিষয়গুলো জানতে পারলাম। ইউটিউব, গুগল, আর বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট থেকে, তাহলে শুরু করা যাক।
আমরা সবাই জানি, জন্ম যে প্রাণীর আছে মৃত্যু তার অনিবার্য। এই থেকেই বোঝা যায়। মৃত্যুর পরও মানুষের পরকাল নামে একটি কাল রয়েছে। এই পরকালে হয়তোবা, সবার বিচার হবে, কেউ জান্নাতে বা স্বর্গে, কেউবা আবার জাহান্নামে যাবে । এইসব কথা থেকে তাহলে আমরা বুঝতে পারি।
ভাগ্য নামক যে শব্দটি আমাদের সবার সাথে জড়িত রয়েছে এটা সত্য, আমি হয়-তোবা এখনো বুঝাতে পারি নাই, যদি আমি একটি উদাহরণ দেই, তাহলে হয়তো বা আপনারা বুঝতে পারবেন, যে ভাগ্য বলে কিছু আছে। যেমন ধরেন একটি বাসে করে আপনি কোথাও যাচ্ছেন। এই বাসের মোট যাত্রী ছিল ১০ জন। এই বাসটি কিছুক্ষণ পর একটি দুর্ঘটনা হয়। এই দুর্ঘটনায় ৯ জন মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে আপনি শুধু বেঁচে রয়েছেন। এই ছোট্ট একটা গল্প থেকে তাহলে আমরা কি বুঝতে পারলাম। আপনি কি ভাগ্যের জন্য বেঁচে গেছেন, নাকি পরিশ্রমের জন্য,
এই সব কিছু আমাদের আল্লাহ আগে থেকে নির্ধারণ করে রেখেছে। যা আমরা বলে থাকি ভাগ্য। আবার অপরদিকে যদি বলে থাকি পরিশ্রম মানুষের সৌভাগ্যের চাবি, এটাও আমি বিশ্বাস করি । এই পৃথিবীতে পরিশ্রম না করলে, কেউ আপনাকে পারিশ্রমিকের টাকা দিবে না। এই দুইটা গল্প থেকে তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, পরিশ্রম ও ভাগ্য এই দুইটা জিনিস প্রতিটা মানুষের বিশ্বাস করা দরকার। তার সাথে এই পৃথিবীর বুকে এখনো কিছু অদৃশ্য শক্তি আছে যা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না।
আমি একজন মুসলমান, আমি আল-কোরআন কে বিশ্বাস করি। আর এই কোরআনে আল্লাহ তায়ালা, জ্বীন, পরী, এই গুলো নিয়ে অনেক সূরা অনেক আয়াত লিখেছে, তাদের অস্তিত্ব আছে। এই সব অদৃশ্য শক্তি আমরা হয়তোবা দেখতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। কিন্তু মাঝে - মাঝে অনুভব করা যায় তাদের অস্তিত্ব আমাদের মাঝে এখনো বিরাজমান।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!
হাজার বছর আগে থেকেই মানুষের মনে, জাদু যাদুবিদ্যা নিয়ে যত কল্পনা জল্পনা আছে । ঐ সময় যাদুবিদ্যার প্রচলন ছিল অনেক বেশি। তখন থেকেই এই টেরট কার্ড প্রচলন শুরু হয়। এই টেরট কার্ড মোট ৭৮ টা যার মধ্যে মেজর কার্ড গুলি অন্যতম। আর বাকিগুলো মাইনর কার্ড বলে।
এই টেরট কার্ডে আমরা যে সকল ছবি দেখতে পাই। এই সকল ছবিতে অনেক কিছুই ইঙ্গিত করে। এই টেরোটকার্ড দিয়ে মানুষ যাদু বিদ্যা শিখে। জ্বীন বলেন পরি বলেন তাদেরকে খুব সহজেই বশ করা যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, এই টেরট কার্ড, বা পাথর,বা জ্বীন সাধনা করে। এইসব দিয়ে একটি মানুষের ভবিষ্যৎ আর অতীতের কিছু ধারণা পাওয়া যায়।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!
পৃথিবীতে এমন কিছু আছে যা সাইন্স দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না। এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে পাই নাই। যেমন ধরেন মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা কই যায় আমরা সবাই এইটা বিশ্বাস করি তা সৃষ্টিকর্তার কাছে চলে যায়। কিন্তু সাইন্স বা কত বড় -বড় বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে দেখলো তারা আত্মা যে কিভাবে একটি মানুষের শরীর থেকে বের হয় তারা খুঁজে পায় না। এই জন্যই বললাম সাইন্স দিয়ে সবকিছু বিশ্লেষণ করা যায় না।
আমার মতামত
২০২৫ সালে কি হবে সেটা আমি জানিনা। যা হবে আমার জন্য মঙ্গল হবে, ভালো হবে।আর সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য যেটা ২০২৫ সালে নির্ধারণ করেছে ওইটাই হবে।
Source
একটি মানুষের ভাগ্যে কি আছে। এই সব কিছু শুধু আল্লাহ্ জানে, কার ভাগ্যে কি রয়েছে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না। আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে । এটা আমার বিশ্বাস। আমরা সবাই জানি, ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস। এই পৃথিবীতে আল্লাহ অনেক প্রকার প্রাণী সৃষ্টি করেছে, তার মধ্যে মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টি কর্তা, মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছে, যা সঠিক বিচার করার জন্য, আমি শুধু আমার মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই পৃথিবীতে কিছু অদৃশ্য শক্তি, আমাদের আশেপাশেই রয়েছে। তা আমি মনে করি, তারপরও সর্বশক্তিমান হলো; আল্লাহ যে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছে। যদি আমার কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
১৬ই- ডিসেম্বর-২০২৪ সাল