আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
কিছুদিন আগে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম।যেখানে লিখেছিলাম যে আমি একা বড় বোনের বাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকদিন ধরে আমার ছোট বোন আমাকে আবার বলছে, বড় আপুর বাসায় যাবে। বড় আপু ফোন করে বলল, ছোট বোনকে নিয়ে তাদের বাসায় যেতে। তাই চিন্তা-ভাবনা না করে আমি তাকে নিয়ে গেলাম।
সকাল দশটার দিকে আমরা বাসা থেকে বের হলাম। ঢাকা শহরের জ্যামের কথা সব সময় মাথায় রাখতে হয়। কখন রাস্তায় জ্যাম হবে, তা বলা মুশকিল। দুই ভাই-বোন রিস্কায় চড়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, গাজীপুর পরিবহনের নাই। তাই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অন্য গাড়ি কিছুটা আছে, কিন্তু আমাদের গাজীপুর পরিবহন বাসটি আসছে না। গাজীপুর পরিবহন বাসটি ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করে, তাই সময়ও কম লাগে। প্রায় ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর, অবশেষে আমারা বাসে উঠতে পারলাম।
এই রাস্তাটা আপুদের বাড়ির পিছন দিক থেকে বাসায় যাওয়ার একটি রাস্তা।
আমার ছোট্ট ভাগ্নি বড় আপুর বাসায় যাওয়ার জন্য সবসময়ই পাগল থাকে। যখন আমরা বড় বোনের বাসার সামনে পৌঁছালাম, সে আমাকে বলল! আমার হাতটা ছেড়ে দাও, আমি দৌড়েয়ে যাব! শুনে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও বাবা-মাকে বলতাম, আমার হাতটা ছেড়ে দাও, আমি বাসা চিনি। ছোট্ট মনের এই আনন্দ দেখে অতীতের কথা কিছু টা মনে পড়ে গেল।
অবশেষে আমরা আপুর বাসায় পৌঁছালাম। আমার বড় আপুর একটি মেয়ে আছে, সে আবার কেক বানাতে পারে। আজ সে আমার ছোট ভাগ্নির জন্য কেক বানিয়ে রেখেছে। সুমাইয়া তো কেক দেখার জন্য পাগল হয়ে গেছে! ছোট ভাগ্নি কেককে খুব ভালোবাসে। যদি কোথাও কেক দেখতে পায়, তাহলে কান্নাকাটি শুরু করে কেক খাওয়ার জন্য।
|
---|
|
---|
আমার বড় ভাগ্নি প্রজাপতি কেক বানিয়েছে, ছোট ভাগ্নির জন্য। সময়ের অভাবে কেকটি পুরোপুরি তৈরি করতে পারেনি, কিন্তু আমার ছোট ভাগ্নি তো কেক খাওয়ার জন্য অস্থির। পরে, আমরা সবাই মিলে কেক কাটার জন্য একটি fake জন্মদিন পালন করলাম। ছোট্ট সুমাইয়া খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। সে প্রায়ই বলে, তার জন্মদিন বলে প্রতিদিন। যদি মানুষের মনে সব সময় আনন্দ থাকে তাহলে তার জন্মদিন প্রতিদিনই হয়ে থাকে।
রাতে যখন আমরা ঘুমাতে যাই, তখন আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে ঘুমাতে যাই। আমরা জানি না, পরের দিন সকাল হবে কিনা এবং এই সুন্দর পৃথিবীটি আবার দেখবো কিনা। এই অনিশ্চয়তার মাঝে, আমার ছোট্ট ভাগ্নির কথাগুলো মনে পড়ে যায়। যেটি মনে হয় একদম সত্যি-প্রতিটি মানুষের জন্য প্রতিদিন সকালে এক নতুন জীবন শুরু হয়। শিশুদের কাছ থেকেও আমাদের মাঝে-মাঝে অনেক কিছু শিখতে পারি, কারণ তাদের সহজ, নির্মল দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পৃথিবীকে নতুন করে দেখতে শেখায়।
আমি আমার দুই বোন, দুই ভাগ্নি নিয়ে অনেক মজা করলাম বড় আপুর বাসায়। গল্প, খাওয়া-দাওয়া-সবকিছুই দারুণ হয়েছে। বিকালে বড় আপু তাদের এলাকায় একটি সুন্দর স্থানে ঘুরতে নিয়ে যাবে।
আজকের এই পোস্টটি এখানেই শেষ করলাম। আশা করি পরের পর্বে আমরা ভাই-বোন সবাই মিলে কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলাম তা জানাবো। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে সবাই ক্ষুদৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ @memamun স্যার 💕💕💕
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি আর বলব কেকটা দেখে তো আমার এই ভীষণ লোভ লাগছিল কেক বানাতে আমি অনেক পছন্দ করি, বলতেই হবে আপনার বড় বোনের খুব পারদর্শী, আমার কাছে বেকারি আইটেমগুলো ভীষণ ভালো লাগে হাতে বানিয়ে কাউকে খাওয়াতে পারলে তো আরো বেশি আনন্দ বোধ কাজ করে,,
ভাই বোনের সম্পর্ক এ পৃথিবীতে অনেক বড় একটা সম্পর্ক যার সাথে কোন সম্পর্কই তুলনা করা হয় না, বোনের বাসায় গিয়েছেন অনেক আনন্দ খাওয়া দাওয়া মজা এবং আড্ডার সাথে দিনটা খুব ভালোভাবে কেটেছে।। এমন আনন্দদায়ক পোস্ট করেও আমার ভীষণ ভালো লাগলো।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি সত্য কথাই বলেছেন, ভাই বোনের সম্পর্ক পৃথিবীর সবচাইতে দামি এবং মূল্যবান সম্পর্ক যার সাথে যে কোন কিছু তুলনা করা যায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit