বাবার জিবনের গল্প থেকে নেওয়া (পর্ব ২) (একজন পরিশ্রমী ছাত্র))

in hive-120823 •  2 years ago  (edited)


ছোটবেলা থেকে একটা কথা বারবার শুনে আসতেছি, কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে৷ কষ্টের পরেই রয়েছে সুখ। তাই ধৈর্য ধারন করা আর চেষ্টা করার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষকেরা একটা কথা বার বার বলতেন, সকল কিছুতেই সফলতা অর্জন করতে চাইলে, দু'টো কথা সব সময় মাথায় রাখবে, ১. চেষ্টা, ২. ধৈর্য।



Picsart_23-03-05_23-31-00-985.jpg

🌹Edited By Picsart App🌹


আসসালামু আলাইকুম /আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টি কর্তার কৃপায় সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি গতকালকের বাবার জিবনের বাস্তব ঘটনার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করছি, সবাই মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো ।



3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPzdEQiWDfbHaFtwpTYZ24Pn8j8Rogkpug7DYDWChVZdbWe2GKp4DVxoFo6azN...P7PzM6VyB4UmYnRwQEmMRRNb3dcyPUtKTj1PoADiVdF66hnjPSzb7ETPfYxUTTixDAPBbS7b4Bp2R6uq74DG2HvkbaUXiRkc7EGGNeVHUgjmtGLrweDcqqvatn.png


play-5134828_1280.jpgsrc

এখনো বাড়িতে গেলে যখন সবাই গল্পে মেতে ওঠে, তখন আমার বাবা কিন্তু সেই সময়ের বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলো আমাদেরকে বলে। আমরাও মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনি, অনেক ভালো লাগে।

যাইহোক আমার বাবা খুব কষ্ট করে নিজের শরীরের ঘাম ঝরে, নিজেই টাকা উপার্জন করতেন এবং সেই টাকা দিয়ে নিজে পড়াশুনা করতেন।

একটা কথা শুনে আমি সব সময় অবাক হই,তখনকার মানুষদের মধ্যে কি পরিমান জেদ থাকলে, এত দূরে হেঁটে হেঁটে গিয়ে পড়াশোনা করতেন।

অথচ যদি আমরা বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটু ভাবি, তাহলে দেখা যায় এখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরেই কেউ হেঁটে যেতে চায় না।

সবাই রিক্সা করে যায়, কেউ যাই সাইকেলে, আবার কেউ যায় মটর বাইকে।এখনকার ছেলেপেলেরা পড়াশোনা করে, কষ্ট তো দূরের কথা বরং আরো শান্তি সুখে ভরপুর। তবুও নাকি পড়তে মন চায় না।

যাই হোক আমার বাবা ঠিক এভাবেই তিন থেকে চার বছর ধরে পড়াশোনা করতে থাকেন। নিজেকে কষ্টের মধ্যে থেকে পড়াশোনা করে মোটামুটি ভালো একটা শিক্ষা অর্জন করেন।

এখন আমার বাবা পড়াশোনা করে সুন্দর ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারতেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতে পারতেন এবং ছোটখাটো ওয়াজও করতে পারতেন।

selfie-5219202_1280.jpgsrc

গ্রামের সবাই আমার বাবাকে ভালোবাসা শুরু করেন, এবং তাকে নিয়ে গর্ব করেন যে তার মত আর কোন ছেলে নাই,যে সুন্দর ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে, ভদ্রভাবে চলাফেরা করতে পারে, সেরকম কোনো ছেলে এই গ্রামে নাই।

এভাবে যখন চলতে থাকে তখন আমার দাদা নিজের ভুল বুঝতে পারেন যে হ্যাঁ শিক্ষার গুরুত্ব কতটা দরকার। তখন থেকে আমার দাদা যতটা পারে আমার বাবাকে সাহায্য করতেন, যদিও এতটা পারেনা,কিন্তু সব সময় সাপোর্ট দেওয়া এবং যতদূর সম্ভব সহযোগিতা করতেন।

যাইহোক এভাবেই সবার ভালোবাসা এবং সবার দোয়া নিয়ে, আমার বাবা কোনমতে মাওলানা পাস করেন,( অর্থাৎ মাদ্রাসা শিক্ষকতা অর্জন করেন)

কিন্তু আমার বাবা আরো বেশি পড়তে চাইতেন আরও অনেক কিছু শেখার আগ্রহ ছিল কিন্তু টাকার অভাবে এবং আর্থিক সমস্যার কারণে আর পড়াশোনা করতে পারেননি।

পরবর্তীতে একটা ট্রেনিং করেন, ট্রেনিং করার পর একটা চাকরি পান বগুড়া এক মাদ্রাসায়। নতুন চাকরি,নতুন অভিজ্ঞতা। গ্রামের সবাই খুশি। দাদা দাদিও অনেক খুশি।

চলবে......

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScFTTYTBZQKf9zEiHwbMqibupfSRsuJpNeHCAgSfWXiFKJtSJpWEPHFDTPHYUgoQ8DEMZqHPQCGtzmAZUryhRjcb4S314oaz5km7ZK6ahdiW.png

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই ইতি টেনে বিদায় নিচ্ছি, আগামীকাল ইনশাআল্লাহ পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবো, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScFQwsegjSMcaxzgnE9NyDmB8brNUHZggouRont6jYSeg44b4d4oaK4ZxBr8mpcB6yjs58bBhdaYHAJqdtAs2q8NmBchJUifzAy8oi53Vi2i.png

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScvz9dthUQrdpr5f9UcisyxdeAZkfojghv5jvwTkDcmGjRb3HThbFPjq2Dqkp7SwCuBtLmxZJnEgLdrBNn7atvgGx6NRHudbwaH2pqfiGPhQ.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে মানুষ চেষ্টা করলে অনেক কিছুই করতে পারে। যেমন আপনার বাবা তার কঠোর পরিশ্রম। এবং নিজের জেদ আর চেষ্টা দিয়ে, শেষমেষ কিছুটা হলেও সাফল্য অর্জন করেছেন।

তার সাফল্য দেখে যখন গ্রামের সবাই তাকে ভালবাসতে শুরু করল। তখন আপনার দাদাও তাকে সাপোর্ট করা শুরু করল। নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিল।

যাক অবশেষে আপনার বাবা একজন মাওলানা হলেন। এবং একটা চাকরিও পেয়েছিলেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

হুম, চেষ্টা আর জেদই নিয়ে গেছে সাফল্যের চুড়ায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Loading...

জেদ যেমন ভালো তেমন খারাপ জেদ ধরে অনেকেই অনেক কিছুই করে ফেলছে আবার অনেককেই অনেক কিছু হারিয়ে ফেলছে তবুও আপনার বাবার গল্প শুনে খুবই ভালো লাগলো যে সে জেদ ধরে তার সফলতা অর্জন করেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার বাবার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

আপনার বাবাকে নিয়ে গল্পটি আমার খুব ভালো লেগেছে আমি দোয়া করি আপনার বাবা সবসময়ের জন্য ভালো থাকুক। এবং চাকরিটা সে যাতে সুস্থভাবে করতে পারে সেই দোয়াই কামনা করছি।