আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো স্টিমিয়ান বন্ধুরা, আমি @memamun
#Bangladesh থেকে বলছি।
প্রিয় বন্ধুরা, সবাইকে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের লেখাটি। লেখাটি incredible india কমিউনিটির এনগেজমেন্ট কনটেস্টের। যার বিষয়বস্তু হলো। Steem engagement challenge S12/W6 | What is the grand festival in your country?। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
সুন্দর একটি প্রশ্ন, প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো আমাদের দেশের জমকালো উৎসবের উৎযাপন। আমরা মুসলিম, আমাদের উৎসব মুসলিম কেন্দ্রীক হবে। পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে তারাও তাদের ধর্মীয় অনুযায়ী উৎসব উৎযাপন করে থাকে।
এবার আসি আমাদের দেশের মুসলিম জাতিরা কিসের উৎযাপন করে থাকে, ব্যাক্তিগত ভাবেও আমি সবচেয়ে বেশি কিসের উৎযাপন টা করে থাকি। মুসলিমরা খুব কমই আছে যারা দুই ঈদ ব্যাতিত অন্য কিছুর উৎসব করে থাকে। তাই আমিও এই দুই ঈদেরই উৎসব উৎযাপন করে থাকি।
ইদ মানেই আনন্দ, এটি আরবী শব্দ, যার অর্থ আনন্দ, খুশি। এই ঈদ দ্বয়ের যে আনন্দে আমি উপভোগ করি, তা হলো সকালে খুব ভোরে উঠে আমাদের ফ্যামিলির পূর্ব পুরুষ যারা কবরে শায়িত আছেন তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করি।
তারাও একদিন ঠিক এই ঈদ দ্বয় পালন করতেন৷ কিন্তু সৃষ্টি কর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে পরকালে গমন করেছেন। তাই তাদের রুহের মাগফিরাত কামনার জন্য ঈদের দিন এই কাজ টা করে থাকি। তারপরেই ফ্যামিলির সবাই মিলে, ভালো ভালো ও সুস্বাদু খাবার ভক্ষণ করি।
এই পবিত্র উৎসবের দিনে প্রায় সকল মুসলিম জাতিরা তাদের সকলের প্রিয় মানুষদের নিয়ে উৎযাপন করে, তাই সবাইকে পবিত্র দিনের উছিলায় কাছে পায়, সুখ দুঃখের গল্প করে, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে।
এই পবিত্র দিনে গরিব মানুষের জন্য আরও বেশি উৎসব বলে আমি মনে করি, কারন এই পবিত্র দিনে মানুষ অনেক দানশীল হয়ে থাকে, তারা গরিব মিসকিনদের সাহায্য করে, তাদের পাশে দাড়ায়, ফলে গরিবরা অনেক আনন্দ পায়, ভালো ভালো কিছু খাবার ও পোশাক পরিধান করে।
এই তো...! সব মিলিয়ে সকলেই এমন ভাবেই উৎসব উৎযাপন করে, মা তার সন্তানদের নিয়ে উৎসব করে, সন্তান তার মা বাবাকে নিয়ে উৎসব করে, গরিব মিসকিনরাও সেই একই ভাবে আনন্দ উপভোগ করে, সবাই যার যার প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়ে আনন্দিত হয়।
আমি যেহেতু চাকরি করি সেজন্য আমাকে বাসা থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হয় , আমি এই মুহুর্তে যেখানে থাকি, সেটা আমার মা বাবার বাসা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আমি আজ পর্যন্ত কোন দিনও মা বাবাকে ছাড়া এই ঈদের উৎযাপন করিনি।
এই ঈদের উৎযাপনের সময় ঘনিয়ে আসলেই ছুটে চলে যাই আমার নিজের গ্রামে, নিজ মাতৃভুমিতে, মায়ের আচলে আশ্রয় নিয়ে আমি এই উৎসবের আয়োজন মাতিয়ে রাখি। কেন আমি সেখানেই ঈদ উৎযাপন করি.?
জন্মের পর থেকেই এই উৎসব পালন করে আসছি, আমাকে শিখিয়েছেন আমার মা বাবা-মা কিভাবে এই উৎসব পালন করতে হয়, তাদের মায়া আর ভালোবাসা ছাড়তে পারি না৷ ঈদ মানেই মা-বাবাকে ঘিরে আনন্দ।
তারাও আনন্দ উপভোগ করে সন্তানদের পেয়ে, তারা অপেক্ষা করে থাকে এই ঈদে তাদের কোলে ফিরে যাবে তাদের সন্তানরা, তাদেরকে নিয়ে উৎসব উৎযাপন করবে বলে। তাই আমি সর্বদা নিজের দেশে নিজের মাবাবার সাথেই এই উৎসব পালন করে থাকি।
উৎসবের দিনে আমার একটি কষ্টদায়ক স্বরনীয় ঘটনা জড়িয়ে আছে, উৎসব হলেও সেই দিনটি ছিলো একদম কষ্টে ভরপুর। আর তা হলো আমার নানুর মৃত্যু, সকালে আমরা উৎসব উৎযাপন করে, যখন মাঠ থেকে নামাজ শেষ করে আসি।
তখন খবর আসে আমার নানু আর বেঁচে নেই, তিনি পরকালে গমন করেছেন, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে। সেদিন আমার মায়ের আর্তনাদ দেখেছি, দেখেছি উৎসবের বদলে বেদনায়ক দিন। সেদিন সেই উৎসব কষ্টে পরিনত হয়েছিলো।
এমন স্বরণীয় উৎসব সত্যিই ভুলে যাওয়ার মতো নয়, 🥲 এখন উৎসবের দিন হটাৎ মনে পড়ে আমার নানুর কথা, যাকে আমরা এই উৎসবের দিনেই হারিয়েছি। তবে তার জন্য এখনো সেই উৎসবের দিনেই প্রার্থনা করি, আর স্মৃতির সাগরে ভাসিয়ে যাই।
promotion link
https://x.com/mealmamun143/status/1713530267581985192?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই খুশি একজন মুসলমান হিসেবে, আমাদের কাছে ঈদের আনন্দ কতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আপনার পোস্ট পড়ে আমি অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারলাম।
আপনি আপনার বাবা-মায়ের সাথে সবসময় ঈদ করেন, কারণ চাকরির সুবাদে আপনাকে সারা বছর বাইরে থাকতে হয়। এই আনন্দের মুহূর্তটা আপনি আপনার বাবা-মায়ের সাথে উদযাপন করে থাকেন।
তবে এই ঈদকে ঘিরে আপনাদের একটা কষ্টের মুহূর্ত আছে। যেটা আপনি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। এই ঈদের সময় আপনার নানু মারা গেছে, ঈদের দিন যদিও আনন্দের দিন হয়ে থাকে। তার পরেও কিছুটা কষ্ট আপনাদের মধ্যে রয়ে গেছে।আসলে যার সময় হয়ে গেছে সেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। একদিন আমাকে আপনাকে সবাইকে যেতে হবে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার নানুর জন্য প্রার্থনা করি,তিনি যেন আপনার নানুকে পরকালের আজাব থেকে রক্ষা করেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর চমৎকার ভাবে দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hello @rubina203 আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এমন একটি মন্তব্য পেশ করার জন্য। আপনার মুল্যবান সময়টি আমার পোস্টে ব্যায় করার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Certainly all Muslims in the world are looking forward to this celebration. Very interesting post I hope you are lucky in this contest.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
नमस्कार मेरे प्रिय सहयोगी मेममुन, मैं वास्तव में सराहना करता हूं कि आपने सप्ताह की चुनौती में हमारे साथ जुड़कर अपना प्रकाशन साझा किया है।
मैंने उन क्षेत्रों के कई प्रकाशन पढ़े हैं जहां मुस्लिम धर्म मुख्य है और वे जो छुट्टियां मनाते हैं वे उस स्मारक दिवस पर पूरे परिवार के साथ इकट्ठा होकर मनाई जाती हैं।
मुझे यह देखकर ख़ुशी हुई कि आप उस दिन को अपने माता-पिता के साथ और अपनी माँ की देखरेख और संरक्षण में मनाकर गौरवान्वित महसूस कर रहे हैं।
यह आपके दादाजी के बारे में दुखद है, लेकिन जैसा कि आप उल्लेख करते हैं; बेहतर है कि इसे अपनी यादों के विशाल सागर में तैरने दिया जाए।
इतने सारे लोगों के साथ साझा करना सबसे गरीबों के लिए एक आशीर्वाद है जो उनके साथ ईद का त्योहार मनाएंगे, और हर कोई एक बड़े परिवार की तरह अपना भोजन साझा करता है।
आपके प्रकाशन मित्र को सफलता।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit