Edit by Canva
Hello,
My dear friends.
যে যেখানেই আছেন আশা করি সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকের পোস্টে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হলো শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম হলো সায়েরা খাতুম।তিনি তার পিতা মাতার তৃতীয় সন্তান ছিলেন।
বিশ্ব রাজনীতির অবিসংবাদিত নেতা এবং বাঙালির জাতির জনক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবসময় গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দারাতেন।তিনি তাদের কষ্ট নিজের মধ্যে অনুভব করতেন।তিনি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না।সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতেন। অন্যায়কারী যতো শক্তিশালী হোক না কেন তিনি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন।
ছাত্র অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে যোগদান করেন। রাজনৈতিক জীবনের পিছনে তার বিশাল অবদান রয়েছে। তার একটাই স্বপ্ন ছিল এদেশকে মুক্ত করার। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও পাকিস্তানি সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। কিন্তু আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা হতে দেয়নি। তিনি ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১৮ মিনিটের একটি বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাঙালিরা অনেক সাহস অর্জন করতে পারে।
পাকিস্তানি সরকার আমাদের বাংলা ভাষাকেও পরিবর্তন করে উর্দু করতে চেয়েছিলো। তারা চেয়েছিলো তাদের ভাষায় যেন আমরা কথা বলি।কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা হতে দেয় নি।আবারও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সবাই সাড়া দিয়ে শুরু করে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালে শুরু করা হয় ভাসা আন্দোলন।এবারও বাঙালির জয় লাভ করে।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ৬ দফা আন্দোলন সহ বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন শুরু করা হয়।এই ৬ দফাই আমাদের বাঙালিদের ছয়টি বিষয় তুলে ধরা হয় যেগুলো পাকিস্তান সরকার আমাদের দিতে চাচ্ছিলো না।তারা আমাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করতে শুরু করে।
এরপর সাল ১৯৭১। শুরু হয়ে যায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে,৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পাই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ।আর এই সবকিছুর পিছনে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জন্যই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশে বসবাস করতে পারতেছি।তার এসব অবদানের কথা লিখে রাখা হয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
আজকের মতো আমার পোস্ট এই পর্যন্তই। আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
বাংলাদেশ এই নামটি অর্জন করতে শেখ মুজিবুর রহমান অনেক কষ্ট করেছে এবং তার সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে অনেক লড়াই করেছে।
তার সেই রেসকোর্স ময়দানের ১৮ মিনিটের ভাষণে অনেক জনতা উৎসাহিত হয়েছে এবং নিজের দেশকে ভালোবাসার জন্য তাদের রক্ত বিলিয়ে দিয়েছে। মাতৃভাষা বাংলা অর্জনের লক্ষ্যে অনেক কষ্ট এবং রক্ত বিলীন হয়েছে।
সর্বোপরি কথা হচ্ছে এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং দেশের জনগণ সহ। তার এই নেতৃত্ব কে অনেক সম্মান করি এবং সততাকে।
পরিশেষে এটাই বলব অন্যদেরকে সমর্থনের মাধ্যমে নিজের voting CSI বৃদ্ধি করো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে,, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদান অপরিসীম! যা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,, রেসকোর্সের ময়দানে যেই ভাষণ দিয়েছেন! সেই ভাষণ আমাদের বাঙালি জাতিকে উৎসাহ করেছে! দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে,,, আর সেজন্যই বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে! তিনি বলেছিলেন তোমাদের যা কিছু আছে! তা দিয়ে লড়াই কর! এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম! একটা কথাতেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি! সাধারণ মানুষ তাদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে,,, ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে এবং তার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে! আমাদের দেশটাকে স্বাধীন করে নিয়েছেন।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পরেই,, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি! আর এর পেছনে রয়েছে,, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক বড় অবদান! তার প্রতি এখনো আমরা শ্রদ্ধা জানাই! বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে,, ইতিহাসের পাতায়! শেখ মুজিবুর রহমানের কথা ততদিন থাকবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে! এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit