নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন ।
অন্যান্যদিনের মতো আজকে ও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ।আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব ।এখন শীতের মৌসুম ।এই শীতের মৌসুমটি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির মৌসুম । এই শীতের মৌসুমের সবজি,মাছ ও আমার নিজের হাতে তৈরি করা কলাইয়ের ডালের বড়ি দিয়ে তৈরি করা একটি রেসিপি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।এই রেসিপিটি আমি আমার মা কাকিদের কাছ থেকে শিখেছি ।আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।আর কথা না বাড়িয়ে এখন রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়ায় চলে যাই ।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে সিমগুলোকে দু টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি এবং ধনেপাতা পরিমাণ মতো নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে কুচিকুচি করে কেটে নিয়েছি। পুটি মাছগুলো আগেই কেটে ফ্রিজে রাখা ছিল। পুটি মাছ গুলো হলুদ , লবণ মেখে নিলাম।শীতের মৌসুমের পুঁটি মাছ দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে দারুন লাগে!
দ্বিতীয়ধাপ
এ পর্যায়ে একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা ভালো করে গরম হওয়ার পর এর মধ্যে মাছগুলো ভালো করে ভেজে নিলাম ।মাছগুলো বেশি কড়া করে ভাজা যাবে না । বেশি করা ভাজা হয়ে গেলে মাছগুলো খেতে শক্ত লাগবে । হালকা ব্রাউন কালার করে ভেজে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন পরিমাণ মতো তেল দিয়ে কলাই এর ডালের বড়ি গুলোকে হালকা লবণ ও হলুদ দিয়ে ৫-১০ সেকেন্ডের মতো ভেজে নিলাম । এ পর্যায়ে চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখতে হবে নয়তো পুড়ে যাবে।
চতুর্থ ধাপ
এই রেসিপিটা তৈরি করতে বেশী কোন মসলা প্রয়োজন লাগে না। শুধু হলুদ, লবণ, মরিচ ও কালোজিরা হলেই চলে ।এখন এই পর্যায়ের কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে দিলাম ।তারপর পরিমাণ মতো মরিচ, হলুদ ও লবণ দিয়ে মসলা কষিয়ে নিলাম।কয়েক সেকেন্ডের মতো মসলা কষিয়ে নেওয়ার পর এর মধ্যে দিয়ে দিলাম কেটে রাখা সিমগুলো। সিমগুলো দেয়ার পর ভালোভাবে নাড়াচাড়া দিয়ে ঢেকে দিলাম ।১০ মিনিটের মত ঢেকে রাখতে হবে।
সিমগুলোর সাথে আমি কিছু আলু অ্যাড করেছিলাম যাই হোক ,সবজিগুলো কষানো হয়ে গেছে। এখন আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিব ।
পঞ্চম ধাপ
আরেকটি কথা, ডালের বড়ি গুলো দেওয়ার পর জলের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে হবে। কেননা এ বড়িগুলো সেদ্ধ হওয়ার জন্য জল শুষে নেবে। তাই জলের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে হবে।জলের পরিমাণ কতটুকু বাড়িয়ে দিতে হবে এটা রাধুনীরা বুঝে যাবে।
ডালের বড়িগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে এখন এর মধ্যে ধনেপাতা দিয়ে দিলাম ।তরকারি নামানোর একটু আগে সাদমতো চিনি দিয়ে দিলাম । সত্যি কথা বলতে তরকারিতে লবণের সাথে হালকা একটু মিষ্টি না দিলে তরকারির আসল টেস্ট আসেনা।
এইতো এই পর্যায়ে আমার রেসিপিটা কমপ্লিট হয়ে গেল ।খুব সুন্দর একটা কালার চলে এসেছে। দেখতে যেমন সুন্দর লাগছে তেমন খেতেও দারুন লাগে!
শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে এই তরকারিটা খেতে দারুন লাগে !আমার এই রেসিপিটা যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে বাসায় একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আরেকটি কথা আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!!
তো বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন ।শুভরাত্রি।
@monikarmakar সবই ঠিক আছে মনি, কিন্তু একজন বাঙালি সুস্বাদু মাছ রেঁধে আরেক বাঙালিকে লোভ দেখাচ্ছে তাও এমন একজন যে কিনা বিড়াল!🤔
আপনার লেখা পড়তে গিয়ে মুখ ভিজে যাচ্ছে, এটা কি ঠিক?
মানে এভাবে মাছভক্ত একজনকে উপাদেয় মাছের পদ কেবল পড়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে!
তাও যদি উপকরণ কতটা কি ব্যবহার করেছেন জানতাম, নয়তো বাজার থেকে কিনে একদিন চেষ্টা করতাম রান্নার!
কিন্তু সে গুড়েও বালি! এখন শুধু লেখা পড়ে শুরুত শুরুত করে মুখের জল আটকানো ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা আপনি খোলা রাখেননি!
যাইহোক এতক্ষণ সবটাই মজার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে লিখলাম।
এবার যেটা বলবো সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার এই প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয় খাবারের রেসিপি দিয়েই।
কাজেই, যেকোনো রান্না আপনি তুলে ধরুন না কেনো তার আসল দিক হলো উপকরণ এবং পরিমাণ আর পরিমাপ!
এগুলো উল্লেখ করলে যেকোনো দেশের মানুষ যারা রান্না ভালবাসেন তারা সেটা ঘরে তৈরি করতে পারেন।
এরকম একবার আমার রান্নার রেসিপি দেখে সাউথ আফ্রিকার লেখিকা আমাকে মন্তব্যে লিখেছিলেন তিনি কখনও সর্ষের তেল ব্যবহার করে রান্নাটি করেননি যেভাবে আমি লিখেছিলাম, তার স্বামী প্রায়শই নদী থেকে তাজা মাছ ধরে নিয়ে আসেন, এবং তিনি রান্না করেন নিজের পদ্ধতিতে।
তবে এরপর তিনি আমার লেখা উপকরণ এবং পরিমাণ দিয়ে পরবর্তীতে মাছ রান্না করবেন!
এই যে বিষয়টি, সেটা তখনই করা সম্ভব যখন আমরা নিজেদের রান্নায় কোন উপাদান কতখানি ব্যবহার করেছি সেটা উল্লেখ করবো।
আশাকরি আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি, কি করলে রান্নার লেখা উন্নত করে যায়।
ভালো থাকবেন সবসময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকে খুব সুন্দর একটা রান্না আপনি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শীতকালে বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে যেকোনো তরকারি রান্না করে খেতে খুব ভালো লাগে। শীতকালে তো বড়ি আমার ভীষণ প্রিয়। এরকম বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল খেতে আমার দারুন লাগে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit