নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন ।
অন্যান্যদিনের মতো আজকে ও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ।আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব ।রেসিপিটি হচ্ছে নদীর টেংরা মাছের রেসিপি পোষ্ট।
একটা সময় আমরা নদী এবং পুকুরের মাছ খেয়েছি কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা চাষের মাছ খেয়ে থাকি ।বলতে গেলে আমরা চাষেরর মাছ খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কেননা এখন আর তেমন একটা নদীর বা চাষবিহীন পুকুরের মাছ পাওয়া যায় না। নদীর মাছে যে স্বাদ পাওয়া যায় সে স্বাদ কিন্তু চাষ করা মাছের পাওয়া যায় না ।নদীর মাছগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে এবং ভেজাল মুক্ত। নদীর মাছ যেভাবে রান্না করা হয় সেভাবে ভালো লাগে। টেংরা মাছ কিন্তু দুই ধরনের হয়ে থাকে ।একটি হচ্ছে দেখতে কালো আর একটি সাদা ।সাদা যে ট্যাংরাটি সেটিকে বলা হয় গুলশা টেংরা ।গুলশা টেংরা মাছগুলো খেতে খুব সুস্বাদু এবং সফট হয়ে থাকে।
আজ আমি নদীর তর্ তাজা টেংরা মাছের একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন চলে যাই রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়ায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
প্রথম ধাপ
এই রেসিপি তৈরিতে আমি তেমন কোন একটা মসলা ব্যবহার করব না ।তাই ফরমেটে দেখালাম না ।প্রথমে মাছগুলোকে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য হলুদ লবণ মেখে রেখে দিলাম। আজকে রেসিপিটা তৈরিতে আমি মাছগুলো তেলে ভেজে নেব না।
দ্বিতীয়ধাপ
এ পর্যায়ে এই রেসিপিটি তৈরি করতে যে উপকরণ গুলো লাগবে সে উপকরণগুলো একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি ।এখানে আমি নিয়ে নিয়েছি পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি। একটি টমেটো কুচি। আধা টেবিল চামচ জিরা বাটা। আধা টেবিল চামচ রসুন বাটা ।চার থেকে পাঁচটি কাঁচামরিচ এবংএক চা চামচ মরিচ বাটা। ঝালটা আমি আমার স্বাদমতো দিয়েছি ।মরিচবাটা কম দিয়েছে কারণ এখানে কাঁচামরিচ ব্যবহার করেছি তাই । পরিমাণ মতো হলুদ । স্বাদমতো লবণ ও পরিমান মত তেল দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মেখে নিয়েছি ।সবগুলো উপকরণ মেখে নেওয়ার পর হলুদ লবণ মেখে রাখা মাছগুলো এই উপকরণ এর সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম ।
আমি বাজারের কেনা গুঁড়া মসলা রান্নায় ব্যবহার করি না ।আমি বাজারের কেনা গুড়া মসলার রান্নার স্বাদ পরিপূর্ণ পাই না তাই আমি কেনা গুড়া মশলা ব্যবহার করি না। আমি সব সময় ঘরে বাটা মশলা ব্যবহার করি।ঘরে বাটা মসলার রান্নার স্বাদটাই থাকে অন্যরকম!
তৃতীয় ধাপ
এ পর্যায়ে আমি উপকরণ গুলোর মধ্যে দুই কাপের মতো জল দিয়ে দিলাম ।জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে চুলোর ওপর বসিয়ে দিলাম।১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত সেদ্ধ করে নেব।
চতুর্থ ধাপ
১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দিলাম ।খুলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তরকারির ঝোল যখন ঘন হয়ে আসলো তখন এর মধ্যে দিয়ে দিলাম ধনেপাতা কুচি। ধনেপাতা দেওয়ার ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড পর নামিয়ে নিলাম। আরেকটি কথা ,নামানোর আগে স্বাদমতো একটু চিনি দিয়ে দিলাম । কারণ যে কোন রান্নায় চিনি না দিলে এর আসল স্বাদ পাওয়া যায় না । আমার সব রান্নাতেই চিনি ব্যবহার করতে হয় নয়তো আমি পরিপূর্ণ স্বাদ পাই না ।
এখন রেসিপিটা কমপ্লিট। বন্ধুরা আজকের আমার এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু !
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো এক পোস্টে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 0/6) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit