Better Life With Steem | The Diary game 19-2024

নমস্কার বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি ঈশ্বরের অশেষ কৃপা আপনার সকলে ভালো আছেন।আমার আজকের দিনলিপিতে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগতম।

আজ ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেল ।আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন ভোরের আলো ফুটবে। অপেক্ষা করতে করতে কখন যেন আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই চড়ুই পাখিগুলো মিষ্টি সুরে ডাকতে শুরু করল ।এই মিষ্টি সুরে আমার ঘুম ভাঙলো।আমার বিছানার পাশেই জানালা আর জানালার বাইরে একটি জায়গায় চড়ুই পাখির বাসা ।সত্যি কথা বলতে ওদের মিষ্টি সুরের ডাকে আমার প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে।আজ ঘুম থেকে জাগার পর জানালা দিয়ে ওদের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম ।পাখিগুলো খুব ছোট কিন্তু এদের চাহনিতে অনেক মায়া ।ওদের চাহনি এবং মিষ্টি সুর খুব মায়া জড়ানো।তাছাড়া ওদের আমি অনেক ভালবাসি ।প্রতিদিন ওদেরকে আমি সময় করে খাবার দিই অন্যান্য পাখির মত ওরাও পোষ মানে ।ওদের খুব ধরতে ইচ্ছে করে কিন্তু ওদের ধরা খুবই মুশকিল ওরা অত্যন্ত চঞ্চল।

দেখতে দেখতে ইংরেজি বছরটা শেষ হয়ে এলো এবং শীত ও চলে এলো ।শীত মানেই একরাশ অলসতা জড়ানো শরীর। শীত এলেই শরীরে একরাশ অলসতা জড়িয়ে থাকে।যাইহোক, বিছানা ছেড়ে সকালের দৈনন্দিনকাজগুলো সেরে নিলাম।

তারপর সকালে নাস্তার জন্য সবজি পরোটা তৈরি করলাম।আজ নাস্তা তৈরি করার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ করে গ্যাস চলে গেল ।আজ আর দুপুরের রান্না করা হলো না।একজনের কাছে জানতে পারলাম আজ দুপুরে নাকি গ্যাস আসবে না ।গ্যাস আসতে আসতে প্রায় রাত ৯টা বাজবে।কি আর করা আজকের দুপুরটা রুটি খেয়ে কাটাতে হবে!

আজ দুপুরের দিকে সবাই মিলে পেয়ারা লবন মরিচ দিয়ে মেখে খেলাম ।আমি আবার গরম কালের পেয়ারা ও কলা খাইনা ।শীতের সিজনে যে পেয়ারা ও কলা পাওয়া যায়, সেইগুলো আমি খাই না কেন না শীতের সিজনের পেয়ারা ও কলা খেতে খুব মিষ্টি ।গরমকালের পেয়ারা ও কলা তেমন একটা মিষ্টি হয় না।

অবশেষে রাত নয়টার পরে গ্যাস আসলো ।তারপর রান্না করলাম।আলু দিয়ে পাবদা মাছ ও ডিমভুনা রান্না করেছি ।তো বন্ধুরা আমার আজকের দিনটি এভাবেই অতিবাহিত করলাম।

বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন ।শুভ রাত্রি।