Better Life With Steem | The Diary game 30November-2024

in hive-120823 •  21 days ago 
Untitled design (44).png

Hello,

Everyone,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি ঈশ্বরের অশেষ কৃপা আপনার সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।অন্যান্য দিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে চলে এলাম আমার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য ।তো চলুন শুরু করা যাক আমার দিনলিপি

আজ আমি খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেছি ।আজ আমার ভাই আসবে । আজকের দিনটা আমার জন্য খুব খুশির দিন।এর সাথে আরও একটি খুশির খবর আছে ।এই খুশির খবরটি পরে বলছি ।আজ আমার দিনটি বেশ ভালো কেটেছে ,ভাই আসবে বলে কথা! পৃথিবীতে ভাই বোনের সম্পর্কটি হচ্ছে খুব মধুর একটি সম্পর্ক ।আসলে এই সম্পর্কের কথা ব্যাখ্যা করে শেষ করা যাবেনা ।শুধুই অনুভব করা যায় ।যাই হোক,আজ ঘুম থেকে উঠে ঠাকুর প্রণাম করে ফ্রেশ হয়ে সবার প্রথমে চলে গেলাম রান্না ঘরে ।কারণ খুব তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করতে হবে ।আমার ভাই ৯ টার মধ্যে আমার বাসায় চলে আসবে। আমি যদি রান্না না করি তাহলে ওকে খাবার খাইয়ে দিতে পারবো না ।কারণ ও এসে আমার বাসায় বেশিক্ষণ দেরি করবে না। ও আবার দোকানের কিছু মাল কেনার জন্য ঢাকা চলে যাবে। দোকানের মাল কিনতে কিনতে অনেক রাত হয়ে যাবে ।তাই সেখান থেকে আমার বাসায় আসা সম্ভব হবে না।ও যখনই ঢাকায় মাল কিনতে আসে তাই আমাদের বাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে সবার প্রথমে আমার সাথে দেখা করে যায়।

1733020831760.jpg
''ছাদ থেকে তুলে আনা পূজার ফুল''

যাই হোক, আটটার মধ্যে আমার রান্না কমপ্লিট। আজ আমি নিরামিষ রান্না করেছি ।কারণ শনিবারে আমরা আমিষ জাতীয় খাবার খাই না তাই নিরামিষ রান্না করেছি। রান্না শেষ করে পূজার ফুলগুলো ছাদ থেকে তুলে নিয়ে আসলাম। তারপর ঘরে অন্যান্য কাজগুলো সেরে নিলাম।

আজ আবার আমাবস্যা। ঘরে মায়ের নামে ঘট স্থাপন করা আছে ।আজকে ঘট বদলাতে হবে সেজন্য আবার অন্য জায়গা থেকে গিয়ে আমের পল্লবও দুর্বা আনতে হয়েছে। ৯ টা বেজে গেল ভাই আসছে না ।ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম কিন্তু ভাই আসছে না । আসতে আসতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। কোন একটা কারণে বাসায় আসতে আসতে প্রায় দুপুর বারোটা বেজে গেল।

202401130_154524.jpg

ভাই আসার পর ফ্রেশ হল। ফ্রেশ হওয়ার পর ভাইকে খাবার দিলাম ।খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেল বেশি একটা দেরি করেনি। কারণ আমার বাসায় আসতে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে ।আবার ঢাকায় গিয়ে মাল কিনতে অনেকটা সময় লাগবে ।তাই খাওয়া দাওয়া করে তাড়াহুড়ো করে চলে গেল।

উপরে উল্লেখিত আমার দ্বিতীয় সুখবরটি হলো,আমার ভাই আমার জন্য স্মার্টফোন কিনে নিয়ে এসেছে।অনেকদিন পর স্মার্টফোন হাতে পেয়ে খুব খুশি লাগছিল।২০২৪ সালের প্রথম দিকে আমার স্মার্ট ফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আবার ২০২৪ সালের শেষের দিকে নতুন স্মার্টফোন হাতে আসলোএখন আপনারা বলতে পারেন আমি যে এতদিন পোস্ট লিখেছি সে পোস্টে ছবিগুলো কি করে পেলাম আসলে সত্যি কথা বলতে আমার বা পাশের ফ্ল্যাটে দূর সম্পর্কের ছোট বোন আছে ওর ফোন দিয়ে ছবি তুলে আমি আমার পোস্টে ছবিগুলো ব্যবহার করেছি জানেন তো সময় যখন খারাপ হয় সবদিক দিয়েই খারাপ হয় যখন আমার স্মার্ট ফোনটা নষ্ট হয়ে গেছিল তখন আমার ল্যাপটপ , টিভি তিনটা ডিভাইস নষ্ট হয়ে গিয়েছিলর তখন ভাবলাম যে ,কি করব? তারপরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে ,সবার প্রথমে আমার ল্যাপটপটা প্রয়োজন। তাই সবার প্রথমে ল্যাপটপ কিনলাম। তারপর আর আমার পক্ষে স্মার্ট ফোন কেনা সম্ভব ছিল না ।আমি একা মানুষ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হয় ।তাই ল্যাপটপ কেনার পর স্মার্টফোন কেনা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু একটা স্মার্টফোন একান্তই প্রয়োজন ছিল। বর্তমান যুগে অনলাইনে উপার্জন করতে হলে ল্যাপটপের পাশাপাশি একটা স্মার্টফোন খুবই প্রয়োজন। কোনটা ছাড়া কোনোটা চলে না।

20241128_190023.jpg

এ বছর আমার ছেলে প্রাইমারি লেভেল শেষ করে হাইস্কুলে পা দেবে সুতরাং লেখাপড়ার খরচও বেড়ে যাবে ।তাই আমাকে অর্থ উপার্জন ও বাড়াতে হবে ।তাই ভাইকে সব কথা খুলে বললাম। খুলে বলার পর আমাকে স্মার্ট ফোন কিনে দিল।

IMG_20241130_233016.jpg
তালের ক্ষীর

মা বাড়ি থেকে ভাইয়ের সাথে কিছু নারকেল পাঠিয়ে দিয়েছিল। নারকেল গুলো দেখে ভাবলাম ফ্রিজে তালের রস রাখা আছে সে রস নামিয়ে নারকেল ও দুধ দিয়ে তালের ক্ষীর তৈরি করি। যেই কথা সেই কাজ, সন্ধার দিকে ছেলেকে পড়তে বসিয়ে দিলাম । পড়তে বসিয়ে আমি ফ্রিজ থেকে তালের রসের বক্সটা নামিয়ে কিছুক্ষ জলে ভিজিয়ে রাখলাম বরফ ছাড়ার পর রসগুলো দুধ, ,নারকেল ও চিনি দিয়ে জাল দিয়ে ক্ষীর তৈরি করলাম।ক্ষীরটা কিন্তু দারুণ মজা হয়েছে!

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কর্মব্যস্ততা।আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Thank You So Much For Reading My Blog 📖

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রকৃতপক্ষে কিছু সম্পর্ক আছে যেটার গভীরতা পরিমাপ করা আমাদের সাধ্যের বাইরে। ঠিক তেমনি ভাই বোনের মধ্যকার সম্পর্কটাও এতটাই গভীর এবং মধুর। তবে বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটার ব্যতিক্রম বেশি দেখা যায়। হয়তোবা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য কারণের জন্য যেটার কারণে ভাইবোনের সম্পর্কেও বর্তমানে ফাটল ধরেছে।

তবে আপনার দিনলিপির প্রথম অংশ পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাদের ভাইবোনদের মধ্যে খুব ভালো একটা সম্পর্ক বিদ্যমান। যে কারণেই আপনি অতি উৎফুল্ল ছিলেন আপনার ভাইয়ের আগমনী বার্তাতে।

সময়ের বড্ড অভাব আমাদের এবং আপনার লেখা পড়ে আমার এটাই মনে হলো যে আপনার ভাই আরো কিছু সময় আপনাদের সাথে থাকলে আপনাদের আরো বেশি ভালো লাগতো। এটাই স্বাভাবিক যেমন আমার মন বাড়িতে আসলে বাড়িটা যেন আনন্দ মুখরিত হয়ে ওঠে। কিন্তু যাওয়ার পর বাড়িটা আবার নীরব হয়ে পড়ে।

আপনার স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসের সমস্যা হয়েছিল যেটা সম্পর্কে আমিও অবগত রয়েছি। এটা দেখে আমারও ভীষণ ভালো লাগলো যে বর্তমানে আপনার কাছে একটা স্মার্টফোন রয়েছে। এখন থেকে হয়তোবা আপনার নিয়মিত লেখা পরিদর্শন করতে পারবো।

Loading...