হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েআমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।
সকাল |
---|
পূজার ফুল |
---|
চোখ মেলে সকাল ,আর নয় তো পরকাল ।তারপরেও যে মানুষের কিসের এত অহংকার তা বুঝি না! যাই হোক, ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় নতুন একটি সকালের দেখা পেলাম। আজ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পূজার ফুল তুলতে ছাদে চলে গেলাম ।আজ ছাদে গিয়ে দেখি অনেকদিন পর জবা ফুল গাছে একটি লাল জবা ফুটেছে। শীতের সিজনে জবা ফুল তেমন একটা ফোটে না শুধু গাঁদা ফুল ফোটে প্রচুর।লাল জবা ফুলটি দেখতে ভারী সুন্দর লাগছিল।তাই আপনাদের সাথে এই জবা ফুলের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করলাম। এটা কিন্তু রক্ত জবা নয় । এটা এক ধরনের লাল প্রজাতির বড় সাইজের জবা ফুল।শীতের সিজনে ফুটেছে তো তাই ফুলটি ছোট দেখাচ্ছে কিন্তু গরমের সিজনে এই ফুলটি আকারে অনেক বড় হয়।
আজ সকালের নাস্তার জন্য তৈরি করেছিলাম চিতই পিঠা ,পাটিসাপটা পিঠা ও পায়েস। এই পিঠা পায়েস দিয়ে আজ সকালে নাস্তাটা সবাই সেরে ফেলেছি।এখন আবার নতুন করে একটি কাজ বেড়ে গেছে। আর সেটি হল ,ছেলের স্কুলে দুপুরে টিফিনের জন্য ছেলেকে কিছু একটা খাবার তৈরি করে দিতে হয়।তাই নাস্তা খাওয়ার পর ছেলের স্কুলের টিফিনের জন্য ছেলেকে পাস্তা তৈরি করে দিয়েছি পাস্তা তৈরি করে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলাম ।ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাসায় এসে স্নান করে ঠাকুর পূজা দিয়ে নিলাম ঠাকুর পূজা দিয়ে রান্নার আয়োজন করতে চলে গেলাম ।দুপুরের রান্না করতে করতে আবার ছেলেকে নিয়ে আসার সময় হয়ে আসে। আজকাল নিজেকে বড় বেশি ক্লান্ত লাগে ।একা একা সব কিছু সামলাতে গিয়ে মনে হচ্ছে যেন ভিতরে ভিতরে আমি ভেঙে পড়ছি ।কিছু কিছু মানুষের জীবন বিধাতা চোখের পলকে এলোমেলো করে দেয় ।যেগুলোর ব্যাখ্যা দেয়ার কোন ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না.... ।
দুপুর |
---|
আজ দুপুরের জন্য রান্না করেছি ছোট ছোট দেশি চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ পাতুরি এবং লাউয়ের চোকলাগুলো কুচি কুচি করে কেটে ছোট ছোট চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করেছি।এই ভাজিটি দারুন মজা লাগে! আজকে সবগুলো রেসিপি আমার খুব পছন্দের। এবং ছোট ছোট বেলে মাছ পেঁয়াজ ও ধনেপাতা দিয়ে ভুনা করেছি। এই ভুনাটা তো খেতে আরো দারুন লাগে!রান্না শেষ করে আমি আর আমার শাশুড়ি মা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আজ দুপুরে একটু ভাত বেশিই খেয়েছি! কারণ আমার পছন্দের রেসিপি গুলো আজ রান্না করেছি। তাই আজ একটু ভাত বেশি খেতে পেরেছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার চলে গেলাম ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার জন্য।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার দিনলিপি। আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন । সুস্থ থাকবেন । শুভরাত্রি।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকান্ড আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার পোস্টেটি জানতে পারলাম আপনি আপনার ছেলের স্কুলের টিফিনের জন্য পাঁস্তা তৈরি করে দিয়েছেন। পাস্তা আমারও প্রিয় একটি খাবার। আমি যখন স্কুলে টিফিন নিয়ে যেতাম তখন আমার মা প্রাই আপনার মত পাস্তা তৈরি করে দিত।
ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পর আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো আসলে আগের মত আমরা কেউই কাজ করছি না।।
ফুল দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে আসলে ফুলকে সকলেই পছন্দ করে।। আজ সকালে নাস্তা গুলো বেশ লোভনীয় ছিল।। এছাড়াও দেখতে পেলাম সংসারে বেশ কাজ করেছেন ছেলেকে স্কুলে দিয়েছে আবার দুপুরে রান্না বান্না সব মিলিয়ে একটু ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit