Better Life With Steem | The Diary Game |30January2025

in hive-120823 •  7 days ago  (edited)
1738033806798.jpg
কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েআমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।

1738036985776.jpg

শীত যদিও চলে গেছে কিন্তু তারপরও আজকের সকালটা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।আজ সকালে ছাদে পূজার ফুল তুলতে গিয়ে দেখি আজকের সকালটা কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে ।সূর্যদেব কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে।আমাদের ছাঁক বাগানের জবা ফুল গাছগুলোতে আজ অনেকগুলো জবা ফুল ফুটেছে এই যে দেখতে পাচ্ছেন জবা ফুলটি, এই জবা ফুলটি আমার অনেক পছন্দের একটি জবা ফুল ।অন্যান্য জবা ফুলের চাইতে এই জবা ফুলগুলো কমই ফুটে থাকে ।এই ফুলগুলো দেখতেও খুব সুন্দর।

1738036985811.jpg
আমার ছেলের স্কুলে কাটানো কিছু মুহূর্ত আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ওঠার পর আমার ব্যস্ততা আরও বেশি বেড়ে গেছে। আমার প্রতিটা দিনই খুব ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। তার মধ্যে এখন আবার ছেলেকে দুইবার করে স্কুলে আনা নেওয়া করতে হয়। এই আনা নেওয়া করতে গিয়ে আমার ৪ ঘন্টা চলে যায়। এমনিতেই আমি একা মানুষ তার মধ্যে এখন আবার আরো বেশি ব্যস্ততা বেড়ে গেল । যাই হোক, আজ আমার ছেলের স্কুলে পিঠা উৎসব । তাই সকাল সকাল সময় মত স্কুলে উপস্থিত থাকতে হবে ।
1738036985805.jpg

তাই পূজার ফুল তুলে ছাদ থেকে এসে সকালের কাজকর্মগুলো সেরে স্নান করে ঠাকুর পূজা দিলাম। ঠাকুর পূজা দিয়ে সকালে হালকা কিছু খাবার খেয়ে নিলাম ।খেয়ে দুপুরের রান্নাটা বসিয়ে দিলাম। রান্না করে গেলাম কেননা স্কুল থেকে আসতে আসতে প্রায় দুপুর হয়ে আসবে । জার্নি করে এসে আর রান্না করতে ইচ্ছা করবে না তাই দুপুরের রান্না শেষ করে স্কুলে যাব। রান্না শেষ করে রেডি হয়ে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলাম।

স্কুলে গিয়ে দেখি সবাই খুব সুন্দর সুন্দর পিঠা তৈরি করে এনেছে। আমিও পিঠা তৈরি করে নিয়ে গেছি। সবাই পিঠে পরিদর্শন করছে ।আবার কেউ কেউ পিঠা খাচ্ছে। আবার কেউ কেউ পিঠা বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছে ।পিঠা পরিদর্শন শেষে প্রত্যেক গার্জিয়ানকে ছাত্রদের শ্রেণী অনুযায়ী তাদের ক্লাসে গিয়ে গার্জিয়ানদের মতামত এবং কোন অভিযোগ আছে কিনা তা জানানোর অনুমতি দেয়া হলো ।যাদের অভিযোগ ছিল তারা অভিযোগ করেছে । যাদের মতামত ছিল তারা তাদের মতামত প্রকাশ করেছে । তারপর সবশেষে আমি ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । বাসায় আসতে আসতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এসেছিল প্রায় ।

1737643810201.jpg
1738036985796.jpg

আজ দুপুরের জন্য রান্না করেছিলাম ডিম ভুনা ও আলু, ফুলকপি দিয়ে ভাজি ।স্কুল থেকে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

1737011381196.jpg

সন্ধ্যা বেলায় সন্ধ্যা পূজা ও প্রার্থনা শেষ করে আজ সন্ধ্যা টিফিন এর জন্য সবজি দিয়ে নুডুলস তৈরি করেছিলাম ।শীতকালে সবজি দিয়ে নুডুলস কিন্তু খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় সবজি দিয়ে নুডুলস তৈরি করার চেষ্টা করি ।এটা আমার ছেলেও খেতে খুব ভালোবাসে।

আজকাল আমি ছোট ছোট বিষয় খুব রেগে যাই। রাগের মাথায় ছেলেকেএলোমেলো কথা বলে ফেলি ।যেটা আমার করা একদমই উচিত নয়। কিন্তু যখন রেগেযাই ।তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনা।মাঝে মাঝে যখন গভীর রাতে জেগে থাকি তখন এই রাগের জন্য অনুতপ্ত হই।আমার ছেলেটা যে সবকিছু বুঝার বয়স এখন পর্যন্ত হয়নি এ কথাটা আমি ভুলে যাই, যখন আমি খুব রেগে যাই।

আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি যে ,ভগবান আমি রাগের মাথায় যে কথাগুলি আমার ছেলেকে বলে ফেলি সে কথাগুলো যেন তুমি গ্রহণ করো না।আমার ছেলের যেন কোন ক্ষতি না হয়। আমার ছেলে যেন ভালো থাকে। সুখে থাকে।

মায়ের আশীর্বাদ হচ্ছে একজন সন্তানের আলোকিত জীবন তৈরির সবচাইতে বড় শক্তি । তাই আমি বলব প্রত্যেক সন্তানেরা যেন তাদের মাকে সদা সর্বদা সম্মান করে এবং সর্বোচ্চসুখ ওশান্তি প্রদান করার চেষ্টা করে।মা এবং মায়ের আশীর্বাদ হচ্ছে একজন সন্তানেরইহলোকওপরলোকের শান্তি ও শক্তির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই সমাপ্ত করছি ।সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন ।আবার কথা হবে নতুন কোন পোস্টে ।

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার দিনের বর্ণনা সত্যিই মুগ্ধকর! ছোট ছোট মুহূর্তগুলো, যেমন পিঠা উৎসবে অংশ নেওয়া বা ছেলের জন্য রান্না করা, খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। রাগের কথা আপনি যেভাবে প্রকাশ করেছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়, কারণ এটি মা-বাবার মধ্যে এমন মুহূর্তগুলোর বাস্তবতা। মায়ের আশীর্বাদ সত্যিই সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি। আপনার প্রতিদিনের জীবনের চিত্র খুবই অনুপ্রেরণামূলক। আশা করি, আপনার দিনগুলো আরও সুন্দর হবে এবং আপনি শীঘ্রই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শান্তি পাবেন।

  ·  6 days ago (edited)

দিদি আপনাদের ওখানে হয়তো শীত চলে গেছে কিন্তু আমাদের এখানে শীত এখনো রয়ে গেছে হয়তো এই মাসটা পুরোটাই শীতের মধ্যে কাটাতে হবে।।

এখন আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারণ ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করতে হবে।। ছেলের স্কুলে পিঠা উৎসব ছিল দেখতেই পাচ্ছি অনেক রকমের পিঠা।। অনেকদিন পর আপনার একটি পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো।

Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Application for community curator for February 2025 (8.5 x 3 cm)_20250130_064622_0000.png

Curated By @rosselena

আসলে বাচ্চাদের যত ক্লাস ওপরে উঠতে থাকে তত তাদের পড়ার পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় এবং অভিভাবকদের দায়িত্বটা অনেক বেশি বেড়ে যায় আপনি যেহেতু একা মানুষ সবকিছু সামনে নিতে হয় প্রতিনিয়ত ব্যস্ততা বেড়েই যাচ্ছে তবে স্কুলের মধ্যে আজকে ভালো একটা আয়োজন ছিল সব ধরনের অভিভাবকরা তাদের নিজেদের মতো করে পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছে আমরা মা যখন কোন কথা বলি তখন কিন্তু উপরওয়ালা সেটা কবুল করে নেয় তবে আপনি তার জন্য আবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের আশা পূর্ণ করে দেবেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্ট পরিদর্শন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো , সংসারের প্রত্যেকটা দায়িত্ব যেভাবে আপনি নিখুত ভাবে সম্পন্ন করছেন সেটা সত্যি প্রশংসা করার মত, বাচ্চাদের এমন উৎসব অনেক কিছু শেখায়,, আমরা মায়েরা যতই সন্তানের উপর রাগ করি না কেন অভিমান করে থাকি না কেন কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চায়না। এবং এ বিষয়টা নিয়ে পড়ে আবার অনুশোচনা হয় যেমনটা আপনি করছেন।।

আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্ট পরিদর্শন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।