Better Life with Steem || The Diary Game || 13 September 2024 ||

in hive-120823 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন, আমিও ভাল আছি,‌ গতকাল খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে ওযু করে নামাজ পড়ার‌পরে কিছু আমল করে নিলাম, এরপর রুম ঝাড়ু দিয়ে রান্না বসানো শুরু করলাম।

রান্না শেষ করে সবাইকে খাওয়ার জন্য সবকিছুর রেডি করি, ভাত তরি তরকারি সব টেবিলে রাখলাম, তারপর পানি লবণ প্লেট সবকিছু দিয়ে আমার বরকে খাইতে দিলাম, সাথে আমার বড় ছেলে, আমার শশুর শাশুড়িকে খাইতে দিলাম।

photo_1_2024-09-14_21-42-19.jpg

গতকাল সকালে যমুনা নদীর ছোট মাছ রান্না করেছিলাম, আমার শ্বশুর ছোট মাছ খেতে খুব পছন্দ করে, ছোট মাছ কাটা সহ খাওয়া যায় এই জন্য সে খেতে পারে, সে বড় মাছ খেতে পারে না, কাটা বেছে দিলে খেতে পারে।

গতকাল আমার এক চাচী শ্বাশুড়ি মারা গেছেন, আমরা সকালের খাবার খাওয়ার সময় তার মৃত্যুর খবর পাই, তাই তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে‌ তাকে দেখতে যাই, সে অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর গতকাল মারা গেছেন। চাচী শ্বাশুড়ির মৃত লাশ সামনে রেখে তার ছেলে মেয়েরা কান্না করছে, আমি তাদের একটু স্বান্তনা দিলাম।

এরপর বাড়ি ফিরে আসলাম, তারপরে রুমে এসে মেজো ছেলেকে খাওয়ালাম, ছোট ছেলেকে খাওয়ালাম, তারপরে অতিরিক্ত খাবার ফ্রিজে রাখলাম, তারপরে আমি রুম আবার ঝাড়ু দেই, বিছানা ঝাড়ু দেই, বাহিরে সব কাজ করি, মুরগির খাবার দেওয়া হয়, পানি দেওয়া হয়।

photo_6_2024-09-14_21-42-19.jpg

তারপরে আমি রুমে এসে ছোট ছেলেকে নিয়ে একটু বিশ্রাম করি, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের রান্নার জন্য প্রস্তুত হই, আমার বাসায় মেহমান আসবে, ঢাকা থেকে বড় ভাইয়া আসবে, তাহার জন্য গরুর মাংস ছোট মাছ ডাউল আলু বেগুন ভর্তা সব রান্না করা হলো, রান্না শেষ করে বড় ছেলেকে গোসল করাইয়া দিলাম, মেজো ছেলেকে গোসল করাইয়া দিলাম, তারপরে ছোট ছেলেকে গোসল করে নিয়ে আসলাম।

তারপরে আমার বরকে গোসলের পানি তুলে দেওয়া হল, সে গোসল করলো করে জুম্মার নামাজ পড়তে যাবে, সে শুক্রবারে একটূ আগেই মসজিদে যায়, কারণ সে জুমার নামাজ পড়ায়, শুক্রবার বারোটার আগেই গোসল করে।

photo_4_2024-09-14_21-42-19.jpg

সে গোসল শেষ করে মসজিদে যাওয়া পর আমি গোসলের জন্য চলে গেলাম, তারপর শাশুড়ি গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়লেন, জোহরের নামাজ পড়ে এসে আমার বরকে এবং বড় ভাইয়াকে খাবার টেবিলে খাবার খেতে দিলাম, তাদের খাওয়া শেষ করে বাকি সবাই খাওয়া হলো, তারপরে কিছুক্ষণ পরে বিশ্রাম নেয়া হলো।

আসরের আযান হওয়ার পর নামাজ পড়তে যাওয়া হলো, নামাজ শেষ করে কিছু নাস্তা করা হলো, বাচ্চারা খেলাধুলা করতে মাঠে চলে গেল,‌ তারা‌ খেলাধুলা শেষ করে মাগরিবের নামাজের আগেই বাড়িতে আসলো, তারা বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসল, আমরা নামাজ পড়তে বসলাম, নামাজ শেষ করে কিছু আমল করা হলো।

তারপর এশার নামাজের সময় হলো, এশার নামাজের পরে রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমাবো, এর মাধ্যমে আমার গতকাল শেষ করলাম, আপনারা সবাই ভাল থাকবেন, দোয়া করেন সবাই।

DeviceName
AndroidRealme C35
Camera50M camera
LocationBangladesh
Short by@moriom
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনি সুন্দর একটা দৈনিক কার্যক্রম শেয়ার করেছেন।
মৃত্যু সবার জন্য অবধারিত, কখন কার মৃত্যুর খবর আসে বলা যায় না। আপনার চাচী শাশুড়ি র জন্য দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত নসিব করুক।
আপনার ছেলে দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর, আশা করছি আপনার ছেলেদের নিয়ে খুব সুন্দর দিন কাটে। সুন্দর স্পষ্টভাবে গুছিয়ে একটা দৈনিক কার্যক্রম লিখে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার দিনটি কেমন কাটল, তা পড়ে ভালো লাগলো। সকালে উঠেই নামাজ ও আমল করা, রান্না করা, এবং পরিবারের সবার জন্য যত্ন নেওয়া—এগুলো সত্যিই প্রশংসনীয়। চাচী শ্বাশুড়ির মৃত্যুর খবরটি দুঃখজনক, তবে আপনি তাদেরকে স্বান্তনা দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন।পরিবারের জন্য সব কিছু আয়োজন করা এবং সবার খোঁজখবর রাখা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।আশা করি, আল্লাহ আপনার পরিবারকে সবসময় সুস্থ ও আনন্দিত রাখুক। আপনার ভালো থাকার কামনা করছি!