নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
আজকে কাটানো শীতের মিষ্টি সকালের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এতদিন গ্ৰামের মিষ্টি সকালের গল্প শেয়ার করেছি। আজকে একটু অন্যরকম গল্প শেয়ার করব। আপনারা হয়তো সকলেই জেনে থাকবেন আমার মায়ের কিছুদিন আগে একটা অপারেশন হয়েছে। সেই সূত্রেই কিছুদিন আগে দেখা শোনার জন্য মামার বাড়িতে যাওয়া আসা করতে হয়। কিন্তু গত চারদিন ধরে আমি মামার বাড়িতে রয়েছি। গত তিনদিন ধরে আবারো নতুন প্রচন্ড ঠান্ডা পরা শুরু হয়েছে। কিছুদিন ঠান্ডা পড়া একটু কম ছিল। আমার মামার বাড়িতে থাকতে খুবই ভালো লাগে। শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন ঘুম থেকে উঠতে প্রায় সকাল সাড়ে নটা দশটা বেজে যায় কিন্তু মামার বাড়িতে যে আটটা বেজে বেজে যাই তখন থেকেই দিদার হাঁক ডাক শুরু হয়ে যায়।
দিদা আগেকার দিনের মানুষ তাই বেশি বেলা পর্যন্ত ঘুমানো একদমই পছন্দ করে না। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে যখনই একটু বাইরে বেরোলাম বাইরে তো রোদের একদমই দেখা মেলেনি। কুয়াশা ভরা সকাল। অনেক বেলাতে রোদ ওঠে। তারই মধ্যে একটা সুন্দর দৃশ্য আমার চোখে পড়ল ।শুধু আজকে বলেই না প্রায়ই চোখে পড়ে ।কিন্তু আজকের ঘটনাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আপনারা হয়তো যারা প্রত্যেকদিন আমার পোস্ট পড়েন অনেকেই জেনে থাকবেন আমার বড় মামা মাছের আরতে থাকে। মামা যখনই মাঝে আরত থেকে বাড়ি আসবে ।তখনই রাস্তার বেশ কয়েকটি বিড়াল ,কুকুর সমস্ত মামার পিছু নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসবে। মামা যতক্ষণ না মাছ দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ঘরের দুয়ার সামনে অপেক্ষা করবে।
মামার মাছ দেওয়া হয়ে গেলে সেই সমস্ত মাছ সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া হয়ে যায়। এরপর দিদা যখন মাছ কাটতে বসে তখনো প্রায় তিন থেকে চারটি বিড়াল অপেক্ষা করে কখন মাছ কেটে মাছ খেতে দেবে। কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল বিড়াল সব ধরনের মাছ খায়। এটা হয়তো আমরা সকলেই জানি। আজকে দিদা যখন মাছ কাটছিল। তখন দেখলাম ল্যাটা মাছ কেটে যখন মাছের মাথা গুলো বিড়ালকে দিচ্ছিল। তখন কিন্তু বসে থাকা বিড়াল গুলো ল্যাটা মাছের মাথা ছুঁয়েও দেখল না। আজকে জানতে পারলাম বিড়ালের ল্যাটা মাছ খায় না। কেন খায় না সেটা আমার জানা নেই। সমস্ত মাছ কাটা হয়ে গেলে দিদা অন্যান্য মাছের যে বাদবাকি অংশগুলো থাকে সবকিছু বিড়াল গুলোকে খেতে দিল ।খেতে দেওয়ার সাথে সাথে সমস্ত বিড়াল একেবারে মারামারি বাঁধিয়ে দিল। বিড়াল গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে।সব বিড়াল গুলো রাস্তার বিড়াল।
আমি একদমই মাছ কাটতে পারি না। তাই বসে বসে দেখছিলাম। এরই মধ্যে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ি একটা বাচ্চা ছেলে সম্পর্কে আমার ভাই হয়। এক বিরাট বন্দুক নিয়ে আমাকে দেখানোর জন্য এসেছে। তার বায়না তার সাথে সকালবেলায় খেলতে হবে। আজকের সকাল বেলার এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। শেষের ছবিটা অনেক দিন আগের তোলা।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
দিদি এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পারসোনালি আমার কাছে অন্য সব ঋতুর থেকে শীত বেশ ভালো লাগে। আর শীত কালে গ্রামের চিত্র পুরোটাই বদলে যায়। শীতের সকালের মিষ্টি রোদ পোহাতে আমার বেশ ভালো লাগে। আর বিড়াল যে ল্যাটা মাছ খায় না এটা আমি আগে জানতাম না,আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।
ভালো থাকবেন দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার শীতের সকালের গল্পটি সত্যিই খুব সুন্দর এবং প্রাণবন্ত। গ্রামীণ পরিবেশের সে বিশেষ মুহূর্তগুলো যেমন দিদার হাঁক ডাক, বিড়ালদের মাছের জন্য অপেক্ষা করা, এবং ছোট ছেলের বন্দুক নিয়ে খেলার বর্ণনা, সবকিছু একসাথে একটি চমৎকার চিত্র তৈরি করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে এমন সম্পর্ক আর গ্রামের জীবনযাত্রার অদ্ভুত মাধুর্য সবসময় এক ভিন্ন অনুভূতি তৈরি করে। শীতের সকালের নিরিবিলি মুহূর্তগুলো যে কতটা বিশেষ হতে পারে, তা আপনার গল্পে খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit