নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি, সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
গতকাল পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম জগদ্ধাত্রী পুজো প্রথম বিসর্জন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে বেশ অনেক ঠাকুর দর্শন করেছিলাম। পুজোর কদিন সারাদিন ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। প্রথম বিসর্জন সারারাত জেগে দেখা হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় বিসর্জন দেখতে যাওয়ার একদম ইচ্ছেই ছিল না। প্রথম বিসর্জন হতে হতে প্রায় সকাল হয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় বিসর্জন রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সারাদিন রেস্ট নেওয়ার পর প্রায় রাত বারোটা নাগাদ গিয়েছিলাম দ্বিতীয় বিসর্জন দেখতে। কারণ দ্বিতীয় বিসর্জন প্রায় রাত আটটা থেকে শুরু হয়ে যায়।
ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া |
---|
দ্বিতীয় বিসর্জনে পরপর ঠাকুর লেগেই থাকে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সকলে আনন্দ করতে করতে প্রতিমা নিরঞ্জন এর পথে রওনা দেয়। তাই সন্ধ্যা থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একভাবে দেখা অসম্ভব। আমরা ইচ্ছে করে দেরি করে গিয়েছিলাম। তবে আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন সকলে ঠাকুর বিসর্জন দেখে বাড়ি ফিরছিল। আমি যেতে যেতে মনে মনে ভাবছিলাম । সমস্ত ঠাকুর হয়তো বিসর্জন হয়ে গেছে আমরা গেলে কিছুই দেখতে পাবো না। আমরা দুজনে যখন অত রাতে ঠাকুর বিসর্জন দেখতে যাচ্ছিলাম। সকলের আমাদের মুখের দিকে তাকাচ্ছিল।
যাইহোক আমরা যাওয়ার পর অনেক ঠাকুর বিসর্জনে দেখেছিলাম। রাত রাতে তিনটে অবধি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছিল। রাস্তা দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয়ে যাবার পর। আমরা দুজনে মিলে চলে গিয়েছিলাম যেখানে প্রতিমা বিসর্জন হয় সেই নদীর ধারে। সেখানে সমস্ত প্রতিমা দাঁড়িয়ে রয়েছে। এক এক করে বিসর্জন হচ্ছিল। যেহেতু দ্বিতীয় দিন প্রচুর প্রতিমা বিসর্জন হয়। তাই নদীর ধারে প্রচুর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য দাঁড় করানো ছিল। সমস্ত প্রতিমার ধীরে ধীরে গয়না খোলা হচ্ছিল তারপরে পৌরসভার লোকজন প্রতিমা গুলি নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দিচ্ছিল।
দ্বিতীয় বিসর্জনের দিন একটু ঠান্ডাও পড়েছিল। তাই পৌরসভার লোকজনদের জলে কাজ করতে হয় তো অসুবিধেই হচ্ছিল। প্রতিমা গুলি বিসর্জন দেওয়া মাত্রই তারা আবার টেনে টেনে নদীর পাড়ে নিয়ে আসে। আর ক্রেনের সাহায্যে সেগুলিকে একপাশে ফেলে দেওয়া হয়। নদীর ধারে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া দেখছিলাম। তবে ঠাকুর বিসর্জন দেওয়ার লোকজন ছাড়া নদীর ধারে বেশি ভিড় ছিল না।
আমরা নিজে থেকে ঠাকুর বিসর্জন দেখে আবার নদী নিচে পর্যন্ত নেমে ঠাকুর জলে দেওয়া দেখছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত ঠাকুর বিসর্জন দেওয়া দেখিনি। অনেকটা রাত হয়েছিল তাই দুজনে আবার বাড়ি ফেরার পথে রওনা দিয়েছিলাম। এ বছরের প্রায় প্রত্যেকটা দিনই ঠাকুর দেখতে অনেকটা রাত করে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। দুজনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে প্রায় অনেকক্ষণ লাগে বাড়ি আসতে। বাড়ি থেকে অনেকটা পথ আমাদের কদমতলা ঘাট। যেহেতু কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পূজা মানে রাস্তাঘাট পুরো ফাঁকা। জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দ্বিতীয় বিসর্জনের সমস্ত ভিডিওর লিংক দেওয়া আছে আপনারা চাইলে সমস্ত প্রতিমা দর্শন করতে পারেন।
আজ এখানে শেষ করছি। আবার পরবর্তী কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Congratulations!!! because your post has been upvoted by Team 7 using steemcurator09. Keep up the good work and keep making quality posts. Curated By <@ripon0630>
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit