নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজ সকাল থেকেই প্রচন্ড ঠান্ডা। সকাল থেকেই রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু একটু বেলা হলেই বেশ ভালোই রোদ উঠেছিল। আর কিছুদিন পরেই পৌষ মাস শেষ হয়ে যাবে ।তাই পৌষ মাসের শেষের দিকে এইরকমই ঠান্ডা করে। শুরু হয়ে গেছে গঙ্গা সাগরের মেলা অনেকে বলে গঙ্গা সাগরের মেলার সময় এইরকম আবহাওয়া থাকে। যাইহোক আজকে শুরু করছি আমার পোস্টের বিষয়বস্তু। বেশ কিছুদিন আগে আমি গিয়েছিলাম আমার বাপের বাড়ি বেড়াতে। আপনারা হয়তো আমার বেশ কিছু পোস্ট পড়ে সেটা জেনে ছিলেন। সকলের মত আমিও বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সারাদিন ঘুরে ঘুরে বেড়াই। কারণ আমাদের শহরাঞ্চলে আমি গ্রামের মত প্রকৃতিকে অনুভব করতে পারিনা। তাই যখনই বেড়াতে যাই তখনই মাঠ , পুকুর, এছাড়াও চারিপাশে বেড়াতে ব্যস্ত থাকি।
এখন শীতকাল তাই শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গাতেই মেলা অথবা নাচ ,গানের অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। আমি যেদিন আমার নিজের বাড়িতে গিয়েছিলাম সেই দিন পাশের এক পাড়াতে চলছিল একটি অনুষ্ঠান। ওখানকার লোকের মতে ওটাকে বলে ডান্স প্রোগ্রাম। যেখানে ডান্স প্রোগ্রামটি হচ্ছিল আমার বোন সেখানে কখনো যায়নি। অনুষ্ঠান টি বাড়ি থেকে ভালোই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু আমি বাড়িতে যাবার সাথে সাথেই আমার বোন বলছিল দিদি আজকে রাতের বেলায় ডান্স দেখতে যাব। আমারতো এইসব একদমই ভালো লাগেনা। কিন্তু বোনের বায়না শুনে বলছিলাম ঠিক আছে যাব। তখনও ঠিক আজকের মতই প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল।
রাত ঠিক সাড়ে আটটা নাগাদ আমি, বোন আর পাশের বাড়ি কাকু ,কাকিমা এই চারজন মিলে যাচ্ছিলাম ডান্স প্রোগ্রাম দেখার জন্য। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কাছে পিঠে হবে। কিন্তু যতই যাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল অনেকটা দূরে আগে জানলে আসতাম না। কোন একটা জঙ্গলের ভেতর ফাঁকা মাঠে সেই অনুষ্ঠান হচ্ছিল। হুহু করে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। ফাঁকা মাঠ তাই আরো বেশি শীত করছিল ।এরই মধ্যে এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য গ্রামের মানুষরা ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তেমন কোনো অনুষ্ঠান নয়। কয়েকটা ছেলে মেয়ে এসে নাচ-গান করছিল। আমি তো এসব দেখতে একদমই অভ্যস্ত নয়। কিন্তু বোনের আবার গান শুনতে ভীষণ ভালো লাগছিল।
মা কালী পূজা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানটি গ্রামের মানুষজন করেন। চার থেকে পাঁচটা গান শোনার পর বোনকে যতই বলা হচ্ছে বাড়ি যাওয়ার জন্য বোন কিছুতেই বাড়ি যেতে চাইছিল না। শেষে আমি বাধ্য হয়ে আমি আর কাকু দুজনেই চলে আসছিলাম। তখন বোন আর কাকিমা, দুজনেই আমাদের সাথে বাড়ি চলে এসেছিল। মেলা উপলক্ষে কিছু খাবারের দোকান, এছাড়াও খেলনা এইসব কিছুই বসেছিল। আমার তো মনে হয় মেলায় খেলার খাবারের দোকান ছাড়া মেলায় চলবে না।যখন বাড়ি আসি তখন রাত্রি প্রায় ১০ টা। রাত্রি দশটার সময় তখনও কিন্তু মানুষের ভিড় জমে রয়েছে। আসলে গ্রামের মানুষ সারাদিন কাজের শেষে এইরকম নাচ, গান হয়তো পছন্দ করেন। তবে বাড়িতে এসেও দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল গানের শব্দ। রাত প্রায় বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলেছিল।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। আপনার ছোট বোনের বায়না ছিল আজকে ড্যান্স দেখতে যাবে, এই শীত কালে এই সব অনেক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে গ্রাম বা শহরে, আপনার দুই বোনের ভালোবাসা দেখে অনেক ভালো লাগলো! বোনদের ভালোবাসা এই রকম হয়ে থাকে, আর বড় বোন হল মায়ের সমান বা বন্ধুর মতো। আপনাদের দুই বোনের এত সুন্দর আনন্দ মূহর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো। থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটদের বায়না অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে থাকে আজকে যদি আপনি আপনার এই বোনের অনুরোধ না রাখতেন তাহলে কিন্তু আপনি নিজেও নাচের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারতেন না বা কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করতে পারতেন না আসলে শীতের সময় আপনাদের ওখানে মেলা উৎসব বা আপনাদের বিভিন্ন পূজা নিয়ে অনেক ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের মুসলমান ধর্মে শুধুমাত্র ওয়াজ মাহফিল এবং টুকটাক মেলা বসে।
এভাবে কোন কনসার্টের আয়োজন করা হয় না কেননা এটা আমাদের ধর্মের জন্য একেবারেই হারাম তবে আপনারা অনেক বেশি আনন্দ করেছেন আপনার বোন শেষ পর্যন্ত আসতে চাইলো না তারপরে আপনার অনেকটা জোর করে তাদেরকে নিয়ে এসেছেন বিষয়টা একটু অন্যরকম হয়ে গেল না যাইহোক ধন্যবাদ নিজের ছোট বোনের বায়না বা আবদার পূরণ করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit