নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন । আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকের দিনটা খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। আজকে ব্যস্ততম দিনের গল্পই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গত দুই দিনের মতো আজকেও প্রচন্ড ঠান্ডা সকাল থেকেই ঠান্ডা হাওয়া বইছে। তারই মধ্যে আজকে সারাদিন কাজের প্রচন্ড চাপ। গতকাল থেকেই বাড়িতে আবারো মিস্ত্রির কিছু কাজ বাকি ছিল সেটা শুরু হয়ে গেছে। বাড়িতে যে কোন কাজ শুরু হলেই সমস্ত কিছু আমাকে দেখাশোনা করতে হয়। কারণ আমার বরের এসব দিকে কোন ধ্যান জ্ঞান কিছুই নেই। সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর এইসব কাজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম ।তারই মধ্যে আজকে মাকে নার্সিংহোম থেকে ছাড়ার কথা ছিল। সকাল বেলায় দশটা নাগাদ ছোট মামা চলে গিয়েছিল নার্সিংহোমে। সেখানে অনেক নিয়ম কানুন থাকে সেই সব কিছু মামা কমপ্লিট করে আমাকে ফোন করল মাকে নিতে যাওয়ার জন্য।
আমি বাড়ি থেকে এগারোটা নাগাদ একটা টোটো ওয়ালাকে নিয়ে চলে গিয়েছিলাম নার্সিংহোমে মাকে বাড়ি আনবার জন্য। টোটো ওয়ালা টা আমাদের পাড়ার চেনা জানা। উনি খুব ভালোভাবে মাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল ।বাড়ি আনার পর আমি মা কে স্নান করিয়ে মায়ের যাবতীয় জিনিসপত্র ধুয়ে চলে এসেছিলাম আবারো নিজের বাড়িতে। বাড়িতে আবার মিস্ত্রিদের খাবার দেবার সময় হয়ে গিয়েছিল। এসে তাড়াতাড়ি করে মিস্ত্রিদের খেতে দিয়েছিলাম। আজকে একটু তাড়াতাড়ি মিস্ত্রিদের সমস্ত কাজ হয়ে গিয়েছিল। এদিকে আমাদেরও সমস্ত কাজ কমপ্লিট হয়ে গেল। তবে এখনো অন্যান্য মিস্ত্রিদের কাজ বাকি আছে ।সেগুলো আস্তে আস্তে হবে। এদিকে মিস্ত্রি যাওয়া মাত্রই আমার কাছে যে বাচ্চাগুলো পড়ে তারা সকলে এসে হাজির। তাদের পড়ানো শুরু করে দিয়েছিলাম। তাদেরকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত পড়ানো শেষ করে আমি আর আমার বর দুজনেই বেরিয়ে পড়েছিলাম একটু ঘরের জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য।
বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা তাই বর একদমই যেতে রাজি হচ্ছিল না। কোন রকমে জোর করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার বর বাড়ির কোন কাজে ধ্যান জ্ঞান না দিলেও বাড়ির সমস্ত কিছু ওকে দিয়েই পছন্দ করানো হয়। বাড়ির জন্য একটা বেসিন ,কল সমস্ত কিছু কেনাকাটা করে ছিলাম। এছাড়াও আরো অন্যান্য জিনিসপত্র কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরেছিলাম রাত আটটা নাগাদ। আমাদের সমস্ত কিছু কেনাকাটা দেখে শাশুড়ি তো অবাক হয়ে গিয়েছিল। কারণ এইসব কেনাকাটা শাশুড়িকে নিয়ে করার কথা ছিল। আমরা বাইরে বের হবো সেটা শাশুড়ি মা একদমই জানতেন না। সমস্ত কিছু বাড়িতে রেখে আবারো চলে গিয়েছিলাম মাকে মামার বাড়িতে দেখার জন্য।
এখানে মায়ের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর পর বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। আজকের পুরো দিনটা আমার এই ভাবেই কেটে গেল। এর মাঝেও আমার প্রচুর কাজ ছিল ।রাতে বসে বসে মাটির কাজগুলো করতে হবে। আমার মত হয়তো সকলকের প্রত্যেক দিনটি খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়, আজকে আমি আমার নিজের ব্যস্ততা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আজ এখানে শেষ করছি ।আবারো নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
সত্যি বলতেই হবে আজকে আপনি অনেক ব্যস্ত কয়েকটা দিন কাটিয়েছেন, হসপিটাল থেকে আপনার মাকে আনা, বাড়িতে আনার পরে তাকে গুছিয়ে রাখার পর আবার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া. সেখানে গিয়ে মিস্ত্রিদের খাবারের দায়িত্ব পালন করা। এরপরে আবার আপনার হাজব্যান্ডকে নিয়ে বাহিরে বের হওয়া কেনাকাটা করার জন্য।
আর আমার একটু হলেও ধারণা আছে এমন জিনিসপত্র কেনাকাটা করা অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে সুস্থ মতো বাড়িতে ফিরেছেন এটাই অনেক কিছু। ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো তোমায় পোস্ট পরে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit