নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
কিছুদিন আগেই গেল গণেশ চতুর্থী পূজা। হিন্দু ধর্মে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। যত দিন যাচ্ছে ততই পুজোর পরিমাণ যেন আরো বেড়ে চলেছে । সব পুজো নিয়ে মানুষের আবেগের শেষ নেই। আমাদের এখানে গণেশ পূজা বেশিরভাগ যারা ব্যবসা করে সেই সব ব্যবসার জায়গাতেই বেশি হয়। আমাদের কৃষ্ণনগরে যেখানেই বড় বড় ব্যবসায়ীরা থাকে সেখানেই বড় বড় গণেশ ঠাকুর পূজা করা হয়। এছাড়াও অনেক ক্লাব , অনেক বারোয়ারি তে গণেশ পূজা করা হয়। কিন্তু আমরা যখন ছোট ছিলাম। তখন এত পরিমাণে গণেশ পূজা করা হতো না। যত দিন যাচ্ছে ততই পূজার পরিমাণ বেড়েই চলেছে।প্রত্যেক বছরেই শুনি কৃষ্ণনগরে নাকি অনেক গণেশ পূজা হয়। কিন্তু কোন বছরেই সেইভাবে গণেশ ঠাকুর দেখতে বেরোতে পারি না।
এই বছরই প্রথমবার আমি গণেশ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম । ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে তো আমি অবাক ।এত ধুমধাম করে পূজা করা হয় আমার জানা ছিল না। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পূজার সময় যেমন লাইটিং করে সাজানো হয়। ঠিক অনেকটাই গণেশ পূজার দিন গুলো ও লাইটিং করে সাজানো হয়েছিল। একেক জায়গায় একেক রকম ভাবে সাজানো হয়েছিল। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি তো রয়েছে। অনেক জায়গায় বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান চলছিল। প্রত্যেকটা পুজোর মতন মেলাও বসেছিল। আসলে আমি তো কোনদিন এরকম দেখিনি ।তাই আমার কাছে একটু নতুন লাগছিল। আমার আগে এতটা ঘোরার অভ্যেস ছিল না ।হয়তো এই প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য একটু ঘোরার চাহিদা বেড়ে গেছে।
প্রত্যেকটা গণেশের মূর্তি দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। প্রত্যেকটা মন্ডপে মণ্ডপে মানুষে ভিড় করে রয়েছে। আমরা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম ।তখন প্রায় রাত দশটা বাজে। প্রত্যেকটা পুজোর মতনই গণেশ পূজোয় ও কত মানুষ রাতে রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। আমরা বাড়ির কাছাকাছি ঠাকুর গুলো দেখেছিলাম। বেশি দূর পর্যন্ত যায়নি। কারণ অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল। সারা রাতেও হয়তো ঠাকুর দেখে শেষ করা যেত না। কারণ সারা কৃষ্ণনগর জুড়ে বহু জায়গায় গণেশ পূজা হয়েছিল। গণেশ ঠাকুর দেখবার পর আমরা চলে গিয়েছিলাম ।নদীর ধারে একটা পার্কে। এই পার্কের কথা হয়তো আপনারা বহুবার শুনেছেন। তাই বেশি কিছু আর বললাম না।
পার্কে গিয়ে দেখি পার্ক বন্ধ হয়ে গেছে। সব লোকজন পার্কের বাইরে বসে আছে । তখন প্রায় অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিল ।নদীর ধার তাই ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছিল। তাই হয়তো মানুষজন বসে হাওয়া খাচ্ছিল। এছাড়া সকলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল।আবার অনেক জন রাতের বেলায় বাড়ীর গনেশ ঠাকুর জলে ডোবাতে এসেছিল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবার পর চলে এসেছিলাম বাড়িতে। ইচ্ছে ছিল আবার খাওয়া দাওয়া করে রাত্রে ঠাকুর দেখতে বের হব। কিন্তু খাওয়া দাওয়ার পর আর একদমই ইচ্ছে করেনি। সব ঠাকুরের ছবি দেওয়া হয়নি।
আজ এইখানেই শেষ করছি, আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে। পরবর্তী আবার কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
আমরা শুনেছি হিন্দু ধর্মালম্বীরা ১২ মাসে ১৩ পূজা পালন করে থাকে, প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে অনেক আনন্দ হয়, যে কোন অনুষ্ঠানে সবাই একত্রে আনন্দ করে থাকে, আপনার সুন্দর উপস্থাপনা দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হিন্দুরা বারো মাসে তেরো পার্বণের অনুষ্ঠান করে থাকে। তার মধ্যে গণেশ পূজার একটি বিশেষ ধরনের পূজা। এই পূজাটি ব্যবসায়ীরা করে থাকেন ।এই গণেশ পূজা ব্যবসায়ীরা অ
নেক ধুমধাম করে করেথাকেন ।এই গনেশ পূজা সবাই জাঁকজমক ভাবে না করলেও ঘরোয়া ভাবে অধিকাংশ মানুষই এই পূজা করে থাকেন ।
রাতের বেলা গণেশ পূজা দেখতে বেরিয়েছে, সত্যি কথা বলতে রাতের বেলা সবাই ফ্রি থাকে তাই সবাই রাতের বেলা পুজো দেখতে বের হয়।
গনেশ পূজায় ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার পোস্টে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit