My Halloween 24 : Dressed up as a ghost

in hive-120823 •  3 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আবারো নতুন একটা কনটেস্ট জানতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। খুব ইচ্ছে করলো এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবার। প্রথমে ধন্যবাদ জানাই যিনি এই কনটেস্টটা আয়োজন করেছেন। এই কনটেস্টের টপিক হল হ্যালোইন।

IMG_20241028_184225.jpg

হ্যালোইন সম্পর্কে আমার তেমন কিছু জানা নেই। টিভি দেখে যতটুকুনই জানতে পেরেছি। বিদেশে নাকি ভূত সেজে প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখালে তারা চকলেট দেয়। এর থেকে বেশি কিছু আমার জানা নেই।

তবে ভূতে আমি একদমই বিশ্বাসী নয়। ভূত নেই, এটাও বলা সঠিক নয়। আগেকার দিনে শুনেছি, এমনকি আমার বাড়িতে আমার দাদু দিদা প্রত্যেকেই নাকি ভুত দেখেছেন। আমি নিজের চোখে না দেখে কখনোই বিশ্বাস করব না। তবে এটা বিশ্বাস করব আগেকার দিনে ছিল কিছু। ছোট থেকেই দিদার কাছে অনেক ভূতের গল্প শুনেছি। তবে ছোটবেলায় ভুতের ভীষণ ভয় পেতাম। তখন ভূত সম্পর্কে কিছুই বুঝতাম না। বড় হবার পর যখন বুঝতে শিখেছি,ট তারপরে ভূতের ভয় আমি একদমই পাইনা।

IMG20241027182836.jpg

এই কনটেস্ট দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করব ।আমি খুব ভালো ছবিও আঁকতে পারি না । এই কনটেস্ট টা দেখে প্রথমেই আমার মনে হয়েছিল আমি নিজে বুঝ সাজলে কেমন হয়, কারণ মানুষজন আমাকে এমনিতে দেখেই ভয় পায়। তাহলে এই নিয়ে একটা কথা বলি।

আমার অভ্যেস রাত করে স্নান করা। তারপর স্নান সেরে চুল শুকোতে আমি মাঝেমধ্যেই আমাদের ছাদে হাঁটাহাঁটি করি চুল ছেড়ে দিয়ে। শোয়ার আগে স্নান করে শুলে দারুন ঘুম হয়। অত রাতে আমাকে ওইভাবে ছাতে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে অনেকেই ভয় পায়।

মাঝেমধ্যেই পাশের বাড়ির লোকজন আমার শাশুড়িকে সকালবেলা উঠে জিজ্ঞেস করে, আপনাদের ছাদে রাতের বেলায় কে হাঁটাহাঁটি করছিল। চুল ছেড়ে কেমন যেন ভূতের মতন। আমার শাশুড়ি হাসতে হাসতে উত্তর দেয়, ওটা আমার বউমা ছিল।

আপনারা বুঝতেই পারছেন রাতের বেলায় চুল ছেড়ে হাঁটাহাঁটি করছি যখন তাহলে আমার ভয়টা কতটা কম। ভয় আমি সত্যিই অনেক কম পাই। আমার বাড়ির পেছন দিকটা পুরো অন্ধকার গাছ পালাতে ভর্তি। তাও আমার ভয় লাগে না। রাত বারোটার পরে আমি কতদিন আমার বরের সাথে রাস্তায় হেঁটে বেরিয়েছি। কতদিন ছাদে হাঁটাহাঁটি করেছি অনেক রাত অব্দি।


প্রসেস

যাইহোক আমার ভূত সাজাটা ঠিকঠাক বলে মনে হলো। ভূত সাজবো যখন তাহলে একটু হেল্পার দরকার। আর আমার সবথেকে বড় হেল্পার হল ঈশা @isha.ish. ঈশার সাথে যুক্তি বুদ্ধি করে,ভূত কিভাবে সাজা যায়, আলোচনা করলাম।

IMG_20241028_183626.jpg

IMG_20241028_183702.jpg

তারপর আমারই একটা সাদা রংয়ের নাইট ড্রেস আমি পড়ে নিলাম। তখন সন্ধ্যেবেলা। ঈশাদের বাড়িতে ঈশার আইশ্যাডো প্যালেট থেকে কালো আইশ্যাডো ব্যবহার করতে শুরু করলাম নিজের মুখের উপর। ঈশা কিছুটা হেল্প করলো।

IMG-20241027-WA0000.jpg

মুখের যাতে কোন সমস্যা না হয় ,তাই প্রথমেই আমি একটা মুখে বডি অয়েল ব্যবহার করেছি। তারপরে আইশ্যাডো চোখের নিচে কালো দেখানোর জন্য ব্যবহার করেছি । ঈশা আমার সারা ঠোঁটের চারিপাশে লাল রঙের লিপস্টিক মাখিয়ে দিল, এর সাথেই লাল রঙের ফেব্রিক রং কিছু কিছু জায়গায় ও লাগিয়ে দিল। ব্যাস আর কিছু ব্যবহার করতে হয়নি। চুলটা ছেড়ে দিতেই, ঘর অন্ধকার করে দিতেই, ঈশা নিজেই আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছিল।

IMG_20241028_184416.jpg

IMG_20241028_184328.jpg

ঈশাদের বাড়িতে অনেক অনেক জায়গা আছে। যেখানে ফটোশুট করা যাবে, সেই মতোই আমি, ঈশা এবং ঈশান মিলে ফটোশুট করতে চলে গেলাম। আমি হয়ে গেলাম মডেল। বলতে গেলে ভুতুড়ে মডেল। আর ঈশা আর ঈশান দুজন মিলে হয়ে গেল ফটোগ্রাফার। তারপর দারুণ দারুণ পোজ দিয়ে ভুতের ছবি তোলা হলো। আমি যে এত সুন্দর ভূত হতে পারব ,আমি নিজেও কল্পনা করতে পারিনি।

IMG_20241028_184158.jpg

আমার এক একটা ছবি দেখে আমি নিজেই ভয় পাচ্ছিলাম। বিশেষ করে সিঁড়ি থেকে উকি মারা ছবিটা, যেটা একেবারেই ঈশানের আইডিয়া ছিল, ওটা আমাকে পুরো চমকে দিয়েছে। আর সাথে যদি এত ভালো ফটোগ্রাফার থাকে, তাহলে ভূত নিজেও ভয় পাবে।

IMG_20241028_184139.jpg

IMG_20241028_183953.jpg


IMG_20241028_184030.jpg

IMG_20241028_183745.jpg


কাজটা করার সময় আমাদের তিনজনার মধ্যে সবথেকে বেশি ভয় পাচ্ছিল ঈশা। একটা করে ছবি ক্লিক করার সাথে সাথেই বাড়ির লাইটগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছিল ও। আমরা সবাই আলোচনা করছিলাম আমরা রাতে ঠিকভাবে ঘুমোতে পারব কিনা। সত্যিই কাজটা করে আমি ভীষণ মজা পেয়েছি।
যদি আমার কাছে ফল্‌স নেল থাকতো, তাহলে আমি আমার হাতের আরও কায়দা করতে পারতাম।


সবশেষে আমার ভূত সাজার বিষয়টি আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে। এই অবস্থায় আমার সামনে যে আসবে, যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। আমি ছবিগুলি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি এবং হাসবেন্ডকে দেখিয়েছি। তারা রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিল, এবং আমাকে কেউ চিনতেও পারেনি।

ভীষণ ইচ্ছা আছে এরকম সেজেগুজে কিছু কিছু মানুষকে ভয় দেখানোর। যাইহোক আমি এখানেই পোস্ট শেষ করছি। আপনাদের সকলের কেমন লাগলো, অবশ্যই জানাবেন। প্রত্যেকটি ছবি আমার Oppo A15s ফোন থেকেই তোলা।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

HI @mou.sumi, you did your homework very well! For people who do not have this tradition on Halloween to get dressed, to scare people that was a great result.

I think eveyrone since a childhood heard some ghost stories although many of us, never seen anything in reality but we all despite of not believing of ghost still have a feeling that this is something that could co-exist.

For children, it is something that brings fun and also kids like to be scared but of course, for fun the same they like to scare their parents and grandparents and to see the expression of their faces, that is why Halloween is one of the popular holidays but mostly for children and parents, that is why many of us enjoyed that too.

I like your idea about turning herself in a ghost costume and make up. I must say I was also frightened seeing you, so you did very good job!

I like the shots on steps and how you are crawling , you and your helpers did such amazing photos that you could do a scary movie and you are very good actor.

Thank you for such entertaining entry!

Thank you 🙏

Loading...

এই দেশে বসবাস করে হ্যালোইন উপলক্ষে এই রকম একটা পেত্নী সাজবা , কখনো ভেবেছো? মানে আমি তো কখনোই ভাবিনি। এই প্ল্যাটফর্ম আমাদের ভূতও সাজিয়ে দিল। হা-হা-হা....

তোমার ছবিগুলো সত্যিই সাংঘাতিক হয়েছে। যে কেউ ছবিগুলো দেখে ভয় পাবেই। সাথে অবশ্যই মেকআপ এবং ড্রেসটাও দারুন হয়েছে। তবে যেহেতু আমি তোমাকে একটু একটু চিনি তাই ছবিগুলো দেখে একটু হাসিও পেয়েছিল🤣🤣🤣🤣 ঠিক যেমনটা নিজে সেজে ফটো তুলতে গিয়ে পাচ্ছিল। 🤣🤣

আমাদের এখানে এইরকম ভাবে তুমি যদি রাস্তায় ঘুরে বেড়াও মানুষজন লাঠি নিয়ে তাড়া করবে। কি বলো?

অসাধারণ মন্তব্য 🤣🤣 সত্যি এর আগেও একটা পোস্টে মৌসুমী লিখেছিল রাতের বেলায় ছাদে হাঁটাহাঁটি করে আর প্রতিবেশী ভূত মানে ওই পেত্নী মনে করে! এইবার ভাবার বিষয় যদি তোমার আর মৌসুমীর মত মেকআপ যদি করে কেউ অমাবস্যায় ছাদে হাঁটা শুরু করে তাহলে দুর্বল চিত্তের মানুষের পরিস্থিতি কি হবে।
ইস্ সাথে যদি একটা ভুতুড়ে গান দিয়ে ভিডিও করত দারুন জমে যেতো।

🤣🤣🤣🤣 তা যা বলেছো দিদি। গানের কথা টা মাথায় ছিল না‌। আইডিয়া টা আগে দেবা তো!

আমি ইশাকে বলেছিলাম

🤣🤣🤣🤣..... নিজের পোস্ট দেখে এই মাঝ রাতে নিজেই ভয় পাচ্ছি। আমি যা ভিতু এর সাথে আবার গান অ্যাড করলে অন্যকে ভয় দেখানোর আগে নিজেই টপকে যাবো 🤣

সত্যি দিদি যে আমাকে ভূত সাজিয়ে দিল সেই আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছিল। আমার ভূতের সাজা সবার ভালো লেগেছে এটাই জেনে ভালো লাগলো। ভুতুড়ে গান দিয়ে ভিডিও করা এটা আমার মাথাতেই আসেনি। তবে একটা ভিডিও আমি বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঈশা যা ভীতু ও অন্ধকারে যেতে ভয় পাচ্ছিল। তাই ওকে আর জোর করিনি।

সত্যি এরকম যে ভূত সাজবো আমি কোনদিন কল্পনা ও করতে পারিনি। এই প্লাটফর্ম আমাকেও ভূত সাজিয়ে ছাড়লো।🤣🤣 সবার ভালো লেগেছে জেনে এটাই ভালো লাগলো ।তার মানে ভূত সাজাটা আমার সার্থক হয়েছে। আমার বাড়ির লোকজন আমার ছবি দেখে কেউ আমাকে চিনতেই পারছিল না।

দিদি ভাগ্য ভালো আপনি ভিডিও তৈরি করেন নাই অন্যদিনের মত। যদি ভিডিও তৈরি করতেন তাহলে রাত্রে বসে কখনোই কমেন্ট করতে পারতাম না আপনার পোস্টে

আপনার ওঠানো ছবিগুলো দেখেই তো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি । বিশেষ করে সিঁড়ির সাথে যে ছবিটা তুলছেন এটা ওয়াজিনের ভূতনি।

আপনি ভুতে ভয় পান জেনে হাসি লাগছে। আমার ভূত সাজা সকলের ভালো লেগেছে এতেই আমি অনেক খুশি।

এই পোস্টটি @philhughes এর মাধ্যমে টিম 5 দ্বারা আপভোট/সমর্থিত হয়েছে। আমাদের দল সম্প্রদায়ে যোগ করে এমন সামগ্রী সমর্থন করে৷

image.png