Photo & Videography of Bangladesh Irrigation. বাংলাদেশের ইরি ধান আবাদের ফটো ও ভিডিওগ্রাফি।steemCreated with Sketch.

in hive-120823 •  2 years ago 

Tuesday 21 February 2023

Assalamu alaikum

I am @mrnazrul from Bangladesh.

Photography of Bangladesh Irrigation.

Picsart_23-02-21_21-36-05-266.jpg

Header Image Created by@mrnazrul

আসসালামু আলাইকুম
আমি @mrnazrul আপনাদের বাংলাদেশী বন্ধু ।

Post Related Video

বন্ধুরা

সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ থেকে সপরিবারে আনন্দ উপভোগের মাধ্যমে সময়গুলো উপভোগ করছেন। মহান আল্লাহর কাছে কামনা করি সবাই সুস্থ থেকে ,নিজ নিজ সময় গুলো অতিবাহিত করুন ।আমিন ।আলহামদুলিল্লাহ
আমিও সবার দোয়া নিয়ে মহান আল্লাহর রহমতে সুস্থ থেকে আজকের দিনের কাজগুলো সুন্দরভাবে পাড়ি দিয়ে, এখন আমি আজকের নিয়মিত পোস্টটি নিয়ে, আপনাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে লিখতে বসলাম। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন । আমিও যেন সবার মত সুস্থ থেকে নিজ নিজ কার্যগুলো সুন্দরভাবে পরিচালনা করে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করতে পারি।

20230221_143524.jpg

20230221_143322~4.jpg

বন্ধুরা,

ছোটবেলায় স্কুলে গিয়ে জানতে পেরেছিলাম যে, ধান আবাদের দুইটি পর্যায়। "আমন""আউশ" । আষাঢ় শ্রাবণ মাসে যেসব ধান প্রাকৃতিক পানি দিয়ে আবাদ করা হতো ,সেগুলোকে আমাদের এলাকায় "আমন" আবাদ বলেই অবহিত করা হতো এবং বই-পুস্তক থেকেও এভাবে জানা যেত। ফাল্গুন চৈত্র মাসে শুকনো জমিতে ধান ছিটিয়ে যে আবাদ করা হতো তাকে "আউশ" আবাদ বলে অভিহিত করা হতো। পরবর্তীতে ইরি ধান আমাদের দেশে আসলে আমরা তখন ধান আবাদের তিনটি পর্যায় সম্পর্কে জানতে পারি, "আমন" "আউশ" ও "ইরি"। আর এই "ইরি" ধান আবাদ করা হতো শীতের প্রথম অর্ধেই। এ সময়টি শুকনা থাকায় বিভিন্ন মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করে প্রথমে "ইরি" আবাদ শুরু হয়েছিল ।এমনকি প্রতি জমিতে একটি মাটির কূপ খনন করে বালতি দিয়ে সেই জমিতে ইরি আবাদ করা শুরু হয়েছিল। সাথে পানি সংরক্ষণের জন্য জমির বিশেষ জায়গায় বড় বড় গর্ত করে সেখানে পানি সংরক্ষণ করা হতো এবং তা বিশেষ উপায়ে জমিতে সেচ কার্যের জন্য ব্যবহার করা হতো। এভাবে আস্তে আস্তে ইরি ধান আবাদের সম্প্রসারণ হতে থাকলে, তা আস্তে আস্তে সমস্ত জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর একসময় বাঁশের নলকূপ বসিয়ে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এ অবস্থার উন্নতি হতে থাকলে বাসের কলে লাগানো হয় ঢেঁকি কলঢেকিকলটি তৈরি হতো বিশেষ এক ধরনের বাসের ঢেঁকি দিয়ে। দুটি বিশেষ মাপের বাশের মাথায় টিনের নলকূপের ভিতর পিস্টন লাগিয়ে পা দিয়ে উঠানামা করে পাম করা হতো ।এই পাম্পের সাহায্যেই পানি দুটি কলের মাধ্যমে স্বজোরে উঠতে থাকতো। আস্তে আস্তে বিজ্ঞানের প্রসারতায় এক সময় শুরু হয় ডিজেল চালিত অগভীর নল কূপএর প্রচলন। এসব অগভীর নলকূপ ডিজেল ইঞ্জিলের সাহায্যেই পরিচালনা করা হতো। তারপর বিজ্ঞানের এবং ইরি ধান আবাদের আরও সম্প্রসারণ হতে থাকলে অগভীর নলকূপগুলো বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে চালানো শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গভীর নলকূপ এর প্রচলন শুরু হয়ে যায় ।সে সময় গভীর নলকূপ গুলো সরকারি আওতায় থাকলে ম্যানেজার সিস্টেমে তা চালানো হতো। পরে সব গভীর নলকূপ আস্তে আস্তে মালিকানায় পরিণত হলে ,তাতে বৈদ্যতিক মটর সংযোগ দিয়ে স্বল্প খরচে নিচের পানি উঠানোর ব্যবস্থা করা হয় ।যে ব্যবস্থাটি আজও প্রচলিত আছে। সময় বলে দেবে আরো কোন কোন ব্যবস্থা আমার কৃষি বিজ্ঞানী চাষী ভাইদের জন্য উপকারী ও আশীর্বাদ হয়ে আসবে।

20230221_144210.jpg

20230221_143904.jpg

বন্ধুরা

যাক সেসব কথা, আজ আমি ইরি আবাদের শেষ পর্যায়ের উন্নতিটুকু আপনাদের মাঝে সামান্যভাবে উপস্থাপন করে, আজকের পোস্ট সাজানোর চেষ্টা করছি। বলাই বাহুল্য সমস্ত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে বৈদ্যুতিক মোটর চালিত অগভীর নলকূপ ও গভীর নলকূপ গুলো বহাল তবিয়তে টিকে আছে ।যার উপকার বুঝে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানী কৃষক ভাইয়েরা আজও তাদের ইরি আবাদের জমিতে সেচ কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

20230221_143453.jpg

20230221_143408.jpg

20230221_143427.jpg

আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ আমন ও আউশ ধান আবাদ করে কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিনাতিপাত করলেও তাদের পেটে ঠিকমত দুবেলা দুমুঠো ভাত জুটত না। আলহামদুলিল্লাহ আজ দেশে প্রায় ২০ কোটি লোকের খাদ্য আমার দেশের "কৃষি বিজ্ঞানী" কৃষক ভাইয়েরা তাদের শ্রম লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সকলের মুখে সুন্দর ভাবে খাদ্যের যোগান দিয়ে ,নিজেরাও ভালো ভাবে দিনাতিপাত করছেন।

20230221_143350.jpg

20230221_144240.jpg

বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের জন্য সমসাময়িকি বিষয়ক বিষয়, ইরি ধান আবাদের কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র নিয়ে আজকের পোস্টটি সাজিয়েছি

20230221_143335.jpg

পোষ্টের ভিডিও ও স্থির চিত্রগুলি আজ বিকাল চারটার দিকে আমি আমার স্থানীয় ধান ক্ষেতের মাঠ থেকে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে ,আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছি ।আশা করি ভালো লাগবে।

বন্ধুরা

এই ছিল আমার আজকের ইরিগেশনের( Irrigation) উপর ফটো ও ভিডিওগ্রাফি। আপনারা সবাই জানেন আমি প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে কাজ করে থাকি। এজন্য আমার সকল পোস্টে প্রায় প্রকৃতির ছবি ও ভিডিও দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করি ।আমার পরবর্তী প্রাকৃতিক পোস্ট দেখার জন্য আপনাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকের মত এতটুকুই।

সাথেই থাকুন।

Enjoy With Love
Photo Captured with Handset

Best Regards.

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...
  • আলহামদুলিল্লাহ আজ দেশে প্রায় ২০ কোটি লোকের খাদ্য আমার দেশের "কৃষি বিজ্ঞানী" কৃষক ভাইয়েরা তাদের শ্রম লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সকলের মুখে সুন্দর ভাবে খাদ্যের যোগান দিয়ে ,নিজেরাও ভালো ভাবে দিনাতিপাত করছেন।

  • আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের দেশের কৃষক শ্রমিক অনেক কঠোর পরিশ্রমী। বাংলাদেশের কৃষকদে আমার দেখা সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। কৃষকদের কারণে আজ 20 কোটি মানুষ খেয়ে বেঁচে আছে। আপনি আপনার পোস্টে ধানের বীজ বপন ও ধান উৎপাদন বিষয়ে সুন্দরভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করলাম খুব ভালো লাগলো। তো ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এটাই সব সময় কামনা কর। আসসালামুয়ালাইকুম

আসলে কৃষকরা কষ্ট করে বললেই হয়তো বা বাংলাদেশের বাকি মানুষগুলো ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখলাম অনেকেই কৃষিকাজ থেকে পিছিয়ে নিয়েছে। কারণ তাদের এত পরিমাণে টাকা খরচ হয়। সেই অনুপাতে তাদের ধান সেভাবে ফসল উঠে না। যার কারণে তারা কৃষি কাজ করা থেকে বিরতি নিয়েছেন।

এভাবে যদি প্রত্যেকটা মানুষ কৃষিকাজ করা থেকেও অনিহা প্রকাশ করে। এতে করে আমাদের খাবার-দাবারে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে। বিশেষ করে বাঙালি ভাত খেয়ে বাঁচে আর বাঙ্গালীকে বলা হয় ভাতে মাছে বাঙালি।

আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার কৃষি ক্ষেতের পর্যবেক্ষণ বীজ বপন। সবকিছু সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আমি আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে একদমই গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যের মধ্যে হারিয়ে গেলাম। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম কৃষিকাজ যারা করে তারা কতটা কষ্ট করে। আজকে চিন্তা করলাম আমাদের যে জমিন করা হয়েছে, সে জমি নিয়ে ঘুরতে যাব দেখি কতটুকু কি হয়েছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ভিডিও এবং তার সাথে ফটোগ্রাফি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট করে তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো।