খরগোশ, কিনবেন নাকি? আরে, খরগোশের বাচ্চা কিনবেন নাকি?এমন আওয়াজ কানে আসলে, বামের দিকে তাকাতেই দেখি, একটি ছেলে একটি লোহার খাঁচায় দুটো খরগোশ ভরিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করেই এ কথাগুলো বলতেছিলেন।
তারপরও আমি তার কোন কথার উত্তর না দিলে, সে বাড়ির দরজা পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে। গেট পেরিয়ে এসে সেখানে বসে থাকা কয়েকজন মহিলা ও ছেলে-মেয়েদেরকে, সে তার খরগোশের জোড়া সম্পর্কে দারুন ভাবে বলতে থাকে। আমি হাত দশেক দূরে চেয়ারে বসে তার এমন গল্পের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতেছিলাম।
বিক্রেতা ছেলেটি প্রথমে খাঁচাটি রেখে বলে, আমি এই এক জোড়া খরগোশ দুই দিন আগে হিলি বাজার থেকে ৮০০ টাকায় কিনে এনেছি। আজকে আমি আমার টাকার প্রয়োজনে এই বাচ্চা দুটোকে বিক্রি করে দিব ।একজন মহিলাকে উদ্দেশ্য করে সে বলল তুমি কিনবে নাকি? সে মহিলা কোন প্রকার উত্তর না দিলে পাশে থাকা আর একজনকে উদ্দেশ্য করে সে বলতেছিল, তুমি কিনবে নাকি? সে মহিলা তার উত্তরে বলেছিল আমারও কেনার শখ ছিল। কিনবও বটে ।তবে এখন না ।আর কিছুদিন যাক ।হাতে টাকা পয়সা হলে প্রয়োজনে বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসব ।
এ সময় ছেলেটি বলতেছিল ,এটি বিক্রি হবে ৮০০ টাকা দামে। তুমি আপাতত ৫০০ টাকা দাও ।বাকি তিনশ টাকা কয়েক দিন পরে দেবে ।আমি দেখতেছি এ সময় মহিলা ,এ কথাও রাজি হলেন না।
আমি তাদের দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে থেকে দেখলাম ।ছেলেটি এবার খাচার দরজা খুলে তার মধ্যে হাত প্রবেশ করিয়ে ,বারবার খরগোশ দুটির গায়ে আলতোভাবে হাত বুলিয়ে দিয়ে আদর করিতেছে ।দেখতে পারলাম, খরগোশ দুটিও তার আদরে মুগ্ধ হয়ে কেমন কেমন যেন করিতেছে ।খরগোশ দুটি খাঁচার ভিতর থাকায় সেখানে ভিডিও করতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হলে ,আমি ভিডিও করা থেকে বিরত থেকে শুধুমাত্র ছবি ধারণের চেষ্টা করলাম।
এবার ছেলেটি একটি খরগোশের বাচ্চা খাচা থেকে বের করে বুকে তুলে আদর করার চেষ্টা করছিল। এমন সময় পাশে বসা আর এক মহিলা বাচ্চাটিকে তার কাছ থেকে নিয়ে কোলে তুলে আদর করতে থাকে।
এবার বিক্রেতা ছেলেটি আরেকটি বাচ্চা খাচার মধ্য থেকে বের করে একেবারেই বুকে তুলে নিয়ে দারুণভাবে আদর করতে থাকে । আমি খাঁচার ভিতর থাকতে কয়েকটি ছবি ধারণ করলেও, এবার কোলে থাকা খরগোশ দুটির কয়েকটি ছবি ধারণ করলাম ।এ সময় সবাই বলতে ছিল যে খরগোশের চোখ লাল ।তখন আমি তাদেরকে বলি, আমি শুধু চোখের ছবি তুলব ,তোমরা ভালোভাবে ধরো। তাঁরা খরগোশ দুটিকে সুন্দরভাবে ধরলে,তখন আমি চোখের ছবি তোলার চেষ্টা করলাম।
অবশেষে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আমিও খরগোশ দুটি কিনব কিনা ? আমি তখন এক বাক্যে বললাম যে, না এখন প্রয়োজন নাই। আমি কোয়েল পাখি আগে কিনব। তারপর খরগোশ কিনব। এভাবেই কথোপকথনের মাধ্যমেই বেচাকেনার আসরটি শেষ হয়ে গেলে, ছেলেটি তার খরগোশের খাঁচা নিয়ে বাড়িতে চলে গেলো। আমিও সেখান থেকে উঠে, চেয়ারটা সরিয়ে পূর্বের জায়গায় গিয়ে বসে পোস্ট দেখতে শুরু করলাম।
বন্ধুরা
আমাদের এলাকায় গরম নরম হয়ে এসেছে। তাপের তীব্রতা কমিয়ে , অনেকটা সুশীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে। জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্থির নিঃশ্বাস।
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ থেকে সময় পার করছেন।
আলহামদুলিল্লাহ
আমিও সবার দোয়া নিয়ে মহান আল্লাহর রহমতে ভালো একটি সময় পার করছি।
আজকের একজোড়া খরগোশ পালন ও তাদের ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু কথা।
সাথেই থাকুন।
Enjoy With Love
Photography by | @mrnazrul |
---|---|
Camera | Handset |
Category | Nature, Photography ,Flower |
Edit | No Editing and Filtering |
Capture | One by One |
Location | Bangladesh |
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার খরগশের ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও খরগোশ খুব পছন্দ করি। সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি ও লিখনি। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবসময় সবকিছু ঠিকঠাক রাখা সম্ভব না হলেও, কোন কোন সময় তা ,তার মত হয়। ভালো বলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit