অতিরিক্ত ঘুমে স্বাস্থ্যের ক্ষতি

in hive-120823 •  last month 

ঘুমের অভাব যেমন মানুষকে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগায়, তেমন অতিরিক্ত ঘুমও। অতিরিক্ত ঘুমের সঙ্গে যদি শরীরচর্চার অভাব যোগ করা হয়, তাহলে হতে পারে ত্রিমাত্রিক সর্বনাশ। তাছাড়া এতে মৃত্যুঝুঁকিও অনেকটাই বেড়ে যায়। বয়স এবং শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী প্রায় প্রত্যেক দিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। বেশি ঘুমও কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমোলে শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেগুলি কী জানেন?

image.png

Source

অতিরিক্ত ঘুমের কারণে মানসিক বিকাশ খুবই স্বল্প হয়। এতে কাজের অগ্রগতি লোপ পায় ও মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বেশি ঘুমের কারণে দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। এসব মানুষের ওজন বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ বেশি থাকে। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্থূলতা দেখা দিতে পারে। ন’ঘণ্টার বেশি সময় নিয়মিত ঘুমোলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত ঘুমোন, এমন তিন হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অন্যদের অপেক্ষা দ্বিগুণ পরিমাণে করোনারি আর্টারি রোগের ঝুঁকিতে ভোগেন তাঁরা। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা বেশি ঘুমোন তাঁদের দ্রুত মৃত্যুর আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি থাকে এবং গবেষণাগুলো প্রায় ১৪ লাখ মানুষ এর উপর করা হয়েছে।

রক্তে শর্করার বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে জীবনযাপনের উপর। সারা দিনের খাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনও রুটিনই সঠিকভাবে মেনে চলা যায় না। তা ছাড়া শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা করা জরুরি। বেশি ঘুমোলে সেই অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে পরিমিত ঘুমের বিকল্প নেই। যাদের বেশি সময় ধরে ঘুমের অভ্যাস, একদিন কম ঘুমালেই, তাদের মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

image.png

Source

বেশি ঘুমালে দিনের অনেকটা সময় বিছানায় কেটে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তাই নয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমালে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ হতে পারে। এসকল রোগের ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনের বেশি ঘুমনো ঠিক নয়। বেশি বেশি ঘুমের কারণে আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ। বেশি ঘুমের কারণে কোমরে, পিঠে যন্ত্রনা হতেও দেখা যায় অনেকের। নারীরা পাঁচ ঘণ্টার কম অথবা ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিয়মিত ঘুমালে দুই বছরের জন্য তাঁদের মগজের কর্মক্ষতা কমে যেতে পারে।

বেশি ঘুমালে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন ধরে রাখতে অতিরিক্ত ঘুম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই। তাই কমও নয়, আবার বেশিও নয়—প্রয়োজন মাফিক ঘুমোন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
  ·  last month 

@tipu curate

Loading...