শুভ রাত্রি বন্ধুরা, আজ বুধবার ১০ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, কেমন আছেন সবাই, আশা করি ভালো আছেন এবং খুব সুন্দর দিন কাটছে। আজ আমি "আমার জীবনের অনুপ্রেরণা" নামে একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি যা আমাদের কমুনিটি দ্বারা আয়োজিত।
Who is the role model in your life(one or more)? Why? |
---|
বর্তমানে আমাদের পাঠ্যপুস্তক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে বিভিন্ন উদাহরন দিয়ে দেখানো হয় যে কীভাবে সফল মানুষেরা তাদের জীবনে সফলতা অর্জন করে থাকেন। তাই টলস্টয়, রবার্ট ব্রুস,আব্রাহাম লিঙ্কন, থেকে শুরু করে হালের বিল গেটস, স্টিভ জবস আর জুকারবার্গদের আমারা রোল মডেল হিসেবে গ্রহন করি। তবে দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হল আমাদের মাঝে অনেক তরুণেরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এতটাই প্রভাবিত হয়েছে যে তারা রোল মডেল হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার সেলেব্রেটিদের বেছে নেয়। বিপুল উদ্যমে এসকল সোশ্যাল মিডিয়ার সেলেব্রেটিদের ফলো করার মাধ্যমে আমরা বেশিরভাগ সময় মানব জন্মের উদ্দেশ্য ও করণীয়গুলো ভুলে যাই। পার্থিব জীবনের বস্তুগত বিষয়ের দিকে এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে আমাদের ধর্মের সর্বশেষ নবী হলো হযরত মুহাম্মদ (সা:) হচ্ছেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ রোল মডেল। আমাদের সকলেরই উচিত তার দেখানো পথের অনুসরণ করা। এতে আমরা সহজে পথ হারা হয়ে যাব না। আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে চরম পর্যায়ের সফল একজন মানুষ ছিলেন। ডক্টর মাইকেল এইচ হার্ট সহ একাধিক বিধর্মী মনীষীদের মতেও পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সফল, প্রভাবশালী এবং স্মার্ট ব্যক্তি হলো হযরত মুহাম্মদ (সা:)। তাই আমি আমার একমাত্র রোল মডেল হিসেবে তাকেই বেছে নিতে চাই। যদিও আমার মত চরম লেভেলের অলস মানুষের পক্ষে তার মতো মহান মানুষ হওয়া কোনভাবে সম্ভব বলে মনে করি না, তবে তার সৎ ভাবে জীবন যাপন, অমায়িক ব্যবহার এবং তার আদর্শ নিজের জীবনে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করি।
Do you believe we all need some guidelines to grow in our practical life? Justify. |
---|
হ্যাঁ, আমি অবশ্যই মনে করি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তোমার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দেশিকা সাধারণ প্রয়োজন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এবার অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এ সকল নির্দেশিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি আমাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের প্রধান পথ প্রদর্শক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এগুলো আমাদের মূল্য বোঝে নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এতে করে আমরা সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য সহজেই করতে পারি। গাইডলাইন তারা আমাদের দৈনন্দিন জীবন অন্ধকারে চলে যেতে পারে এবং আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যেতে পারি। এটি আমাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এবং এতে করেআমরা সঠিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে সক্ষম হই।
আমরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকি। আমাদের জীবনের সংকটময় সময় যদি আমাদের কাছে কোন ধরনের আদর সভা মূল্য বোঝে না থাকে তবে সকল সংকটময় মুহূর্ত কাটিয়ে ওঠা আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ সকল গাইডলাইন আমাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিকে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের জীবন ভালোভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অতীতের সফল ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া, তাদের অভিজ্ঞতা এবং কার্যক্রম থেকে শিক্ষা নেওয়া, এবং তাদের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের জীবনকে গড়ে তোলা অত্যন্ত কার্যকর উপায় বলে আমি মনে করি। এতে করে আমরা আমাদের জীবনের ভুলগুলো থেকে যেমন শিক্ষা নিতে পারি তেমনিভাবে একটি সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে খুব সহজে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে যা আমাদের ব্যক্তিগত,সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Which things have you learned from your role model that helped you to grow? |
---|
আমার জীবনের আদর্শ মানবের জীবনী থেকে অনেকগুলো মূল্যবান শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি যা আমার ব্যক্তিগত সামাজিক পর্যায়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন আমি এ সকল বিষয়ে আপনাদের সামনে শেয়ার করতে চলেছি।
ক্ষমা ও সহনশীলতা : হযরত মুহাম্মদ (সা:) যে বিষয়টি আমাকে সব থেকে আকৃষ্ট করেছে তাহলে ক্ষমা ও সহনশীলতা। তিনি আমাদেরকে মানুষের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করতে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন অন্যদের ভুল ত্রুটি গ্রহণ করে তাদের ক্ষমা করার মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক গুলো কীভাবে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ করা যায়।
নম্রতা ও বিনয়: তিনি একাধারে যেমন বিনয়ী ছিলেন তেমনি ভাবে খুবই নম্র একজন মানুষ। এমনকি সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গায় থেকেও অন্যদের সাথে যে নম্রতা দেখিয়াছেন তা সকলের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে রয়েছে। তিনি আমাদেরকে শিখিয়েছেন নম্রতা ও বিনয় আমাদের চরিত্রকে মহৎ করে তুলে এবং সমাজে আমাদের গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি করে।
সহযোগিতার মনোভাব : হযরত মুহাম্মদ (সা:) সর্বদা অসহায় বঞ্চিত মানুষদের সহযোগিতা করেছেন এবং অন্যদের এ সকল মানুষদের সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করেছেন। তার জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি মানবতার কল্যাণে কাজ করা আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের কর্তব্য। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্বের মাঝে পড়ে।
আদর্শ পারিবারিক জীবন: তিনি পরিবারের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল ও দায়িত্বশীল ছিলেন। তার কাছ থেকে শেখা যায় কিভাবে পরিবারকে সম্মান ও ভালোবাসা দিতে হয়। তিনি আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে শিখিয়েছেন।
সমান অধিকার এবং ন্যায় বিচার : হযরত মুহাম্মদ (সা:) তার সারা জীবন ন্যায় বিচারের পক্ষে ছিলেন। তিনি সবার জন্য সমান অধিকার এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেছিলেন। তার কাছ থেকে আমি শিখতে পারি সমাজে ন্যায়বিচার এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আত্মসংযম ও উন্নতি: তিনি আমাদেরকে নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং নিজেদের ভুল শুধরে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে শিক্ষা দিয়েছেন। তার জীবনী থেকে আমি এই শিক্ষা পাই যে কিভাবে আমার নিজের ভেতরের দুর্বলতা গুলোকে কাটিয়ে ওঠে একজন উন্নত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারি।
হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনী থেকে পাওয়া এ সকল শিক্ষাগুলো আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করে। আমাকে একজন ভালো মানুষ হতে সর্বদা অনুপ্রেরণা দেয়। তার জীবনী থেকে পাওয়া এই শিক্ষাগুলো আমার চরিত্র গঠন এবং জীবনের সফলতার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
SL No. | I would like to invite |
---|---|
1 | @yoyopk |
2 | @sampabiswas |
3 | @baizid123 |
Well said brother wish you luck
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit