বাড়িতে খাঁটি ঘি তৈরির সহজ পদ্ধতি

in hive-120823 •  2 months ago  (edited)

প্রিয় স্টিমীট বন্ধুরা,


আজকে একদম নতুন একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো বলে চলে এলাম। ঘি ভালো বাসেনা এমন মানুষ হাতেগোনা পাওয়া যাবে হয়তো। ঘি এর যে সুঘ্রাণ তা যে কোন খাবারের মান যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আবার গরম ভাতের সাথে যাদের ঘি খাবার অভ্যাস আছে তাদের কাছে ঘি এর কোন তুলনাই হয় না। তবে, এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার যে খাঁটি ঘি কোথায় পাবো?

দোকান থেকে যত দাম দিয়েই কিনে নিয়ে আসুন না কেন, আসলেই তা খাঁটি কি না তার সন্দেহ কিন্তু থেকেই যায়। সেই সন্দেহ দূর করতেই আজকে এই রেসিপি নিয়ে আসা। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সবাই নিজ বাড়িতেই খাঁটি ঘি বানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরী না করে চলুন মূল লেখায় চলে যাই।

20240924_111231.jpg

বাড়িতে খাঁটি ঘি বানানোর পদ্ধতি


প্রয়োজনীয় উপকরণ


উপকরণের নামপরিমাণ
দুধের স্বরযতটুকু জমাতে পারবেন
পরিস্কার ঠান্ডা পানি১ লিটার
অন্যান্য উপকরণবাটনা, ছাকুনি, খুন্তি

ধাপ-০১


ঘি বানাতে সবার প্রথম যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে গাভীর দুধের স্বর। আর এই স্বর আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে কোন পাত্রে জমিয়ে রাখতে হবে, এটা কম বেশি সবারই জানা। প্রতিদিন দুধ জ্বাল দেবার পর উপরে যে স্বর পরে তা কোন বাটিতে জমিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।


ধাপ-০২


আপনার প্রয়োজন মতো স্বর জমানো হয়ে গেলে তা ফ্রিজ থেকে বের করে একটি বাটনায় ভালো ভাবে পিষে নিন। একদম মিহি করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে, এতে ভালো ঘি হবে।

20240914_084913.jpg20240914_085011.jpg
20240914_085226.jpg

ধাপ-০৩


20240914_085747.jpg

স্বর মিহি হয়ে এলে এবার পরিস্কার পানি ঢেলে দিন। এবার একটি ছাকনির সাহায্যে পানি আলদা করে নিন। এই পানিটাই মুলত ঘোল হিসেবে খাওয়া যায়। পানি ছাড়া অবশিষ্ট যা থাকবে তা দিয়েই মূলত ঘি বানানো হবে। আপনি চাইলে অবশিষ্ট স্বর ঘুলো সুতি কাপড়ে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন, এতেকরে পানি আর স্বর একবারে আলাদা হয়ে যাবে।

20240914_090037.jpg

ঘোল পানি


ধাপ-০৪


পানি সব ঝড়ে গেলে চুলোয় একটি বাটি বা পাতিল বসিয়ে দিন। এবার পানি আলাদা করা স্বর গুলো বাটিতে দিয়ে একদম অল্প আচে জ্বাল দিতে থাকুন পাশাপাশি অনরবত নাড়তে থাকুন যেন কোনভাবেই পাতিলে লেগে না যায়। একটু পরেই স্বর ফুটতে থাকবে আর স্বর থেকে ননী ও ঘি আলাদা হতে থাকবে। এটি যত সময় নিয়ে করবেন ঘি ততো ভালো হবে, অবশ্যই মনে রাখবেন যত পারবেন কম আচে জ্বাল দিতে হবে।

20240914_090022.jpg20240914_090145.jpg
20240914_090429.jpg

ধাপ-০৫


৫-১০ মিনিট পর যখন দেখবেন ননী ও ঘি একদম আলাদা হয়ে গিয়েছে এবং সুন্দর রঙ চলে এসেছে তখন ননী গুলো তুলে নিন। তলনীতে শুধু ঘি জমে থাকবে।

20240914_090708.jpg
20240914_090844.jpg

ধাপ-০৬


20240914_100235.jpg

আপনি চাইলে আলদা করা ননীগুলোতে হালকা চিনি মাখিয়ে লাড্ডুর মতো বানিয়ে ফেলতে পারেন, এটি খেতে কিন্তু দারুণ লাগে আমার কাছে।


শেষ ধাপ


ননী আলাদা করে ঘি একদম ঠান্ডা করে কোন কাচের জারে ভরে আপনি দীর্ঘদিন এটি সংরক্ষণ করতে পারবেন। চলুন দেখে আসা যাক কেমন হলো আমদের বানানো ঘি।

20240914_091028.jpg
20240914_091034.jpg
20240914_091052.jpg

বাজারে খাঁটি ঘি পাওয়াটা যতটা কঠিন তার থেকে অনেক সহজ বাসায় নিজ হাতে খাঁটি ঘি বানিয়ে ফেলা। তাহলে আর দেরী কেন, আমার পদ্ধতি অনুসরণ করে খাঁটি ঘি বানানোর কাজে নেমে পড়ুন জলদি।


সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য


ডিভাইসস্যামসাং এম-৩১
ফটোগ্রাফার@mukitsalafi
লোকেশনDhaka
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

খুব সুন্দর ভাবে ঘি তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ঘি আমাদের অনেক কাজেই ব্যবহার করা হয় ।ঘি দিয়ে ভাত খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে বাপের বাড়ি বেড়াতে গেলে পাশের বাড়িতে অনেক গরু আছে। তাদের দেখতাম দুধ দিয়ে ঘি তৈরি করতে। ঘি তৈরীর পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

অসম্ভব সুন্দর সত্যি কথা বলতে আমি এমন একটা রেসিপি খুঁজছিলাম মনে মনে, তবে আজ তা মিলে গেল আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তাই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটা শেয়ার করার জন্য।।

তবে করার পরে নুন দিয়ে যে লাড্ডু তৈরি করা যায় এটা কিন্তু আমার জানা ছিল না। যেহেতু লাড্ডু খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি তাই দুইটা রেসিপি একদিন তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।।