হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। যখন আজকের ব্লগটি লিখছি ততোক্ষণে হয়তো সবাই বাংলাদেশের জয় উদযাপন করে ফেলেছেন। হ্যাঁ, টাইটেল দেখেই অনুমান করতে পেরেছেন আজকে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের রিভিউ করতে চলেছি।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
বাংলাদেশ বনাম ভারত, ক্রিকেটের এই সংস্করণে যে কোন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে সব সময় টান টান উত্তেজনা থাকে। তবে সেটা যদি যুবাদের বিশবকাপ বা এশিয়া কাপ হয় তাহলে উত্তেজনার পারদ যেন আরো বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের ফাইনাল মানেই যেন বাংলাদেশের একচ্ছত্র আধিপত্য, মানে বাংলাদেশের বিজয়। সেটা আরো একবার প্রমাণিত হলে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ১১তম আসরের ফাইনালে। এদিন বাংলাদেশের যুবারা ইন্ডিয়ান যুবাদের বধ করে আরো একবার ফাইনালের ট্রফি উচিয়ে ধরলো।
টস আপডেট ও স্কোয়াড
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ফাইনালে টসে জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ওপেনার ব্যাটার জাওয়াদ প্রথম ওভারেই ছক্কা হাকিয়ে রানের খাতা খুলেন। মনে হচ্ছিল আজকেও ভালো একটা স্কোর দাড় করাতে যাচ্ছে বাংলার যুবারা। কিন্তু দলীয় ১৭ রানে কালাম সিদ্দিক ১৬ বলে মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের সামনে অন্ধকার নেমে আসে।
যুবাদের সবথেকে বর তারকাও স্কোর বড় করতে না পারলে মাত্র ৬৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর মিডল অর্ডারে হাল ধরে শিহাব ও রিজান। দলীয় ১৩২ রাতে শিহাব আউট হলে আবারো বাংলাদেশের ইংস হুড়মুড়িয়ে পরে। ১৬৭ রানে যখন ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের রান ১৭৫ ও হবে না। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদে ৩১ রানের জুটিতে ভর করে ১৯৮ রান এ অলয়াউট হয় যুব টাইগার রা।
১৯৯ রানে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪ রানেই ওপেনার Ayush Mhatre হারায় ইন্ডিয়া। এরপর ইন্ডিয়ার ওয়ান্ডার কিডস এবারের আইপিএল নিলামের সবথেকে আলোচিত নাম *Vaibhav Suryavanshi * কে মারুফ মৃধা আউট করলে চাপে পড়ে ইন্ডিয়া।
এরপর কোন ইন্ডিয়ান ব্যাটারই আরো বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাড়াতে পারেনি। ৮১ রানেই ৬ উইকেট হারানোর পর মনে হচ্ছিল ১০০ রান পার করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ। তবে লোয়ার অর্ডারে ভালো করলেও তা জয়ের ব্যাবধানটা শুধু কমিয়েছে। শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন ১৩৯ রানে চেতন শর্মা আউট হয় সাথে সাথে বাংলাদেশ শিবিরে উদযাপন শুরু হয়ে যায়। আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শুকড়িয়া স্বরূপ মাঠেই সিজদার দেয় যে দৃশ্য ছিল দেখার মতন।
মোবাইল থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
বাংলাদেশের জয়ে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশে। খেলোয়ার থেকে শুরু করে কোচ, স্টাফ ও দর্শক সবাই বাধভাংগা উদযাপনে নেমে পরে। ক্যাপ্টেন আজিজুল হাকিমকে কাধে নিয়ে বাংলাদেশের প্লেয়াররা মাঠের চারপাশে ঘুরতে থাকে,দর্শকরাও হাত তালি দিয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সব বড় অর্জন যুবাদের হাত ধরে এসেছে। আর প্রতিবারই প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে এসেছে ইন্ডিয়ান যুবারা। বড়দের ক্রিকেটে দুই দলের মধ্যে ইন্ডিয়ার একক আধিপত্য থাকলেও যুবাদের ক্রিকেটে বাংলার যুবারাই সেরা সেটা আরো একবার প্রমানিত।
বাংলার যুবারা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ভালো খেললেও কোন এক অজানা কারণে জাতীয় দলে এসে খারাপ খেলে। তবে আমরা স্বপ্ন দেখি এই যুবারাই বড় হয়ে একদিন বড় কোন টুরনামেন্টের ট্রফি উপহার দিবে। সেই দিনটি দেখার অপেক্ষায়।