ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুশাক রান্নার রেসিপি

in hive-120823 •  2 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন?

আশা করি অনেক অনে ভালো আছেন। গতকালের পোস্টে বলেছিলাম নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হবো। আজকে সেই মজাদার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আমরা কচুশাক পছন্দ করি বা না করি ডাক্তারের কাছে গিয়ে যখন আমরা বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে রক্তে হিমোগ্লোবিন বা আয়রণের ঘাটতির কথা জানাই তখন ডাক্তার মহাশয় ওষুধের পাশাপাশি আমাদের কচুশাক বেশি বেশি খেতে বলেন।

কচুশাকের নানাবিধ গুণাগুণের কারণেই ডাক্তার বাবুরা আমাদের বেশি বেশি কচুশাক খেতে বলেন। কচুশাকে একদিকে যেমন প্রচুর আয়রণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, অন্যদিকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও প্রচুর পাওয়া যায়। রাতকানা রোগ বা চোখে ছানি পড়া রোধ করতে কচুশাকের ভুমিকা অপরিসীম।

কচুশাকের পাশাপাশি ইলিশ মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম ই পাওয়া যায়। আজকে সেই সুস্বাদু ইলিশ মাছ দিয়ে কচুশাক রান্নার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। চলুন মূল রেসিপিতে যাবার আগে উপকরণগুলো জেনে আসা যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

প্রধান উপকরণপরিমাণ
কচু শাক২ আটি
ইলিশ মাছমাথা ও লেজ
লবণপরিমাণমতো
শুকনা মরিচ৬-৮ টি
কাচা মরিচ৩-৪ টি
পেয়াজ কুচি১/২ কাপ
হলুদ গুড়া২ চামচ
আদা বাটা১ চামচ
রসুন বাটা১ চামচ
সয়াবিন তেল২ কাপ
তেজপাতা১-২ টি
জিরাপরিমাণমতো
দারুচিনি, এলাচ১-২ টি
লেবু১ ফালি

রান্নার পদ্ধতি :

ধাপ - ১ :


প্রথমেই সতেজ কচু পাতা ও কচি ডাটা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিবো, আমি যেহেতু বাজার থেকে কিনে এনেছি তাই চাইলেও গ্রামের মতো অত কচি কচুপাতা কিনতে পারি নি, তার পরেও মন্দের ভালো বললে যা হয় আরকি। আপ্নারা চেষ্টা করবেন সকাল বেলা নতুন কচু পাতা সংগ্রহ করার। এবার সেগুলোর পানি ঝড়িয়ে নেয়ার জন্যে ১০ মিনিটের মত রেখে দিলাম।

20240928_120238.jpg

ধাপ - ২ :


যেহেতু ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করছি, তাই এই পর্যায়ে আমি মাথা ও লেজ হলুদ দিয়ে গরম তেলে হালকা করে কষিয়ে নিবো।

20240928_120518.jpg

ধাপ - ৩ :


এখন কচু পাতা গুলো সেদ্ধ করে নেবার পালা। একটি প্যানে অল্প পরিমাণ তেল দিয়ে কচু পাতা গুলো তুলে দিলাম, এখন অল্প পরিমাণ লবণ, হলুদ গুড়া, ও তেজপাতা দিয়ে ঢাকনা দিয়ে চুলোয় বসিয়ে দিলাম।

20240928_120943.jpg20240928_121511.jpg

ধাপ - ৪ :


দশ মিনিটের মধ্যেই কচুপাতা গুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে, পানি শুকিয়ে এলে কচুর ডাটা গুলো খুন্তি দিয়ে ভালো করে চেপে চেপে গলিয়ে নিতে হবে।

20240928_121502.jpg20240928_122454.jpg

ধাপ - ৫ :

এবার অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে পেয়াজ কুচি, রসুন বাটা,জিরা ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে পেয়াজ গুলো ভালো ভাবে ভেজে নিবো। এবার সেদ্ধ করে রাখা কচু শাক গুলো প্যানে দিবো, পাশাপাশি ইলিশ মাছে মাথা ও লেজ গুলো প্যানে দিয়ে দিব।

20240928_122850.jpg20240928_123246.jpg

ধাপ - ৬ :

20240928_123609.jpg

কচুশাক খেলে অনেকের গলায় চুলকানি হয়, তাই রান্নার সময়ই এক ফালি লেবু কেটে তার রস দিয়ে দিলাম, এতে আর গলায় চুলকানির যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না।

আমার আজকের রান্না প্রায় শেষ, চলুন দেখে আসা যাক কেমন হলো আজকের কচুশাক রান্না।

20240928_123832.jpg20240928_123836.jpg

20240928_123851.jpg

20240928_123857.jpg

20240928_123903.jpg

পোস্ট বিবরণ

CategoryRecipe
DeviceSamsung M31
Photographer@mukitsalafi
LocationDhaka, Bangladesh

তো এই ছিল আমার আজকের ইলিশ মাছ দিয়ে কচুশাক রান্নার রেসিপি। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায়, অনেক অনেক ভালো থাকবেন সবাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

ইলিশ মাছ দিয়ে কচু শাক পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই আছে। তবে আগে ছোটবেলায় যে কচু শাক খেতাম এখনকার শহরের কচুশাক অতটা ভালো লাগে না খেতে। আমি কচুশাক রান্নায় আদা ব্যবহার করি না বরং রসুন দেয় একটু বেশি করে। আমার শাশুড়ি মা বলতেন যে ,রসুন দিলে গলায় ধরে না। সত্যি কিনা সেটা জানি না কিন্তু তার সেই কথাই ফলো করি রান্নার সময়।