সারা বিশ্বে মনে হচ্ছে আরো একটা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। সকাল সকাল এমন নিউজ দেখে অচেনা একটা ভয় কাজ করছে, জানিনা আগামী দিন গুলি কেমন যাবে। এভাবে চলতে থাকলে খুব খারাপ কিছু যে হবে এটা অনুমেয়।
জ্ঞান বিজ্ঞানের চরম উন্নতি সত্ত্বেও মানুষ এখন আর শান্তিতে নেই। শান্তিতে বাচতে হলে মানুষের মধ্যে যে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার প্রয়োজন পড়ে তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষ নিশ্চিন্তে এখন আর ঘুমাতে পারে না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার কারণে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ গুলো যেন এক নম্বর হবার লড়াইয়ে লিপ্ত। আগেরদিনে মানুষ যুদ্ধ করতো বন্য প্রাণী থেকে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যে, কিন্তু এখন মানুষ মানুষের সাথে যুদ্ধ করছে ক্ষমতার দাপট দেখাবার জন্য। পৃথিবীর কোন না কোন অঞ্চলে যুদ্ধ যেন লেগেই আছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন এর যুদ্ধ চলমান দীর্ঘদিন ধরে। হাজার হাজার মানুষ এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে আরো কত মানুষ তার হিসেব নেই, কিন্তু এই যুদ্ধ কি আদৌ সে অঞ্চলের মানুষের উপকারে এসেছে?
যুদ্ধ কখনোই মঙ্গোল বয়ে আনতে পারে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ না হতেই ইরান-লেবানন-ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মানে একটা যুদ্ধ বন্ধ না হতেই আরেকটা যুদ্ধ শুরু, এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই আরো একটা বিশ্ব যুদ্ধ যে শুরু হবে তা বলার অপেক্ষা রাকে না।
একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোকে নিয়ে যেন দাবার চাল দিচ্ছে অন্যন্য দেশ গুলো। সবাই যেন চাচ্ছে ওরা ওরাই যুদ্ধ করে ধ্বংস হয়ে যাক, কেউ এই যুদ্ধ বন্ধ করতে এগিয়ে আসছে না, উলটো কোন কোন দেশ যুদ্ধে লিপ্ত দেশ গুলোকে সমর্থন দিয়ে, অস্ত্র গোলাবারুদ দিয়ে উলটো যেন আগুনে ঘি ঢালছে। কিন্তু এমন তো হবার কথা নয়?
মানুষের মধ্যে মানবিকতা থাকলে প্রতিটি দেশের প্রতিনিধীরা একজোট হয়ে যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নিতে পারতো। সবাই একজোট হয়ে যদি ঘোষণা দিত আর একটি গোলাবারুদের ব্যবহার যেন না হয়, কোন নিরপরাধ মানুষের যেন প্রাণ না যায়। যুদ্ধের জন্য যে গোলাবারুদের ব্যবহার হয়, এর পেছনে যে বাজেট বরাদ্দ থাকে তা যদি বিশ্বের জলবায়ু পরিবরর্তনে কাজে লাগানো যায়, রোগ-ব্যধী নিরাময়ে কাজে লাগানো যায়, দারিদ্র্যতা দূরীকরণে ব্যয় করা হয় তাহলে পৃথিবীটা হবে সুন্দর, সবার জন্য বসবাসের যোগ্য।
মানুষের জন্যে নিশ্চিত ও শান্তিতে বসবাসের আবাসস্থল হিসেবে আসুন আমরা এই প্রথিবীকে নতুন করে গড়ে তুলি, সবাই মিলে ঐক্যের ডাক দেই, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।*