Better Life With Steem || The Diary game || 06 June 2024 ||

in hive-120823 •  4 months ago 
"সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি"

আশা করছি আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আমি আজকে ৬ জুন এর কাটানো দিনটি শেয়ার করছি।

20240608_070029.jpg

কভার ফটো

সকাল সকাল ঘুম থেকে ঊঠেই পাওয়ার ব্যাংক ও চার্জার ফ্যান চার্জে দিলাম। যেহেতু রাতে আমরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি তাই সব কিছুর ব্যাটারি ব্যাকআপ এর প্রয়োজন। ফজরের নামাজ পড়ে বেলকনির গাছ গুলোতে পানি দিলাম। দু দিনের অনাহারে থাকবে এই গাছ গুলো।

20240606_064821.jpg

বারান্দা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি পুরো আকাশ মেঘে ঢাকা। ছোটবেলা ঘুম থেকে ঊঠে এমন আকাশ দেখলে আনন্দে মন ভরে যেত। কারণ বৃষ্টি শুরু হলেই তো আর স্কুলে যেতে হবে না। কি মজা। কিন্তু এখন দোয়া করি যেন বৃষ্টি সকাল বেলা না হয়। অফিস তো আর স্কুল না, যে মন চাইলো গেলাম না।

20240606_064802.jpg

বৃষ্টি এলো ঠিক, কিন্তু ৩-৫ মিনিটের মত ছিল। এই কারণেই মনে হয় বলে যত গর্জে ততো বর্ষে না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা গুলোতে পানি জমে থাকে। তখন মোটরবাইক ড্রাইভ করাটা একটু কষ্টের মনে হয়। রেইনকোট নিবো নাকি নিবো না এই দোটানায় পড়ে অবশেষে বাইক নিয়ে অফিসে চলে গেলাম। পথে আর বৃষ্টির সাথে সাক্ষাৎ হয় নি।

১০ টার দিক টি-ব্রেক নিয়ে অফিসের নিচে মোল্লার হোটেলে চলে গেলাম। এখানকার সিংগাড়া, নূডলস আর ছোলার চাহিদা এতটাই বেশি যে ১১ টা বাজতে বাজতেই সব ফুড়িয়ে যায়।

20240606_103823.jpg

আমি ও আমার কলীগ দুইটা করে গরম গরম সিংগাড়া খেলাম। সিংগাড়া খাবার সময় মন চায় আরো খাই, আরো খাই, কিন্তু খাবার পরেই দেখবেন পেট গ্যাসের খনিতে রূপান্তর হয়ে যাবে। সেদিক চিন্তা করে দুটাতেই থেমে গেলাম।

সারাটাদিন কাজের প্রেসার ছিল। বৃহসপতিবার বলে কথা। তার উপর মাথায় চিন্তা আজকে রাতে ট্রেন ভ্রমণ। সব মিলিয়ে যেভাবে অন্য দিন গুলো কাটে তার থেকে একটু বেশি চিন্তার মধ্য দিয়ে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো।

বিকেল বেলা আজকে তারাতারি বস অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেন। অফিসে বস নেই মানে কাজ গুলো কেমন যেন গায়েব হয়ে যায়। আমাদের বেলাতেও তেমন ই হয়। সবাই কাজ বাদ দিয়ে গল্প শুরু হয়ে গেল। এর মাঝে একজন রাজশাহী থেকে আম আনবে, তাই সবার থেকে রিকুইজিশন নিলো, কে কত কেজি আম নিবে। তা শুনে অনেকেই আমাকে বললো যেন দিনাজপুর থেকে আমি লিচু নিয়ে আসি। আমি ঠিক আছে বলে কেটে পড়লাম।

অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে ভাতিজার জন্য একটা পোলো টি-শার্ট কিনলাম। সবার জন্যে কেনাকাটা আগে হলেও সে বাদ ছিল, কারণ তার বয়সের সাথে গ্রোথের মিল নেই। অনেক চিন্তা ভাবনা আর মাপ যোগ নিয়ে তার কাপড় কিনতে হয়। কারণ ৭ বছর বয়সেও তার ওজন ১৪ কেজি

20240606_220143.jpg

রাতে খাবার খেয়ে মনে পড়লো জিলহাজ মাসের চাঁদ ৭ তারিখ দেখা যাবে। তাই তারাতারি নেইল কাটার নিয়ে হাতের বাড়তি নখ কেটে নিলাম। আমাদের ধর্মে জিলহাজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে চুল,দাড়ি, নখ কাটার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। চেষ্টা করি মেনে চলার।

20240606_215438.jpg

রাতের খাবার খেয়ে একটা সিএনজি নিয়ে আমরা কমলাপুর স্টেশনে চলে গেলাম। ট্রেন ১১:৪৫ এ থাকলেও প্রায় ১ ঘন্টা বিলম্ব। ট্রেন ভ্রমণ করবেন আর লেট হবেনা এমনটা আসলে বাংলাদেশে খুব কম দেখা যায়।

20240606_231024.jpg

ট্রেন লেট হচ্ছে দেখে মেয়ে ভীষণ চিন্তিত। কখন সে দাদা বাসায় যাবে এই একটাই চিন্তা মাথায়। শহরের বাচ্চারা দাদা বাড়ি আর নানা বাড়ি যাবার কথা শুনলে যে কি পরিমাণ খুশি হয় তা বলে বোঝানো সম্ভব না।

আমাদের ট্রেন জার্নির মধুর ও কষ্টের অভিজ্ঞতা আমি আমার পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

পাওয়ার ব্যাংক চার্জ দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন কারন গ্রামের দিকে লোডশেডিং এর যে অবস্থা তাতে সমস্যায় পড়তে পারেন তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করেছেন।

মেঘলা আকাশের ফটোগ্রাফিটা ভালো হয়েছে। রাস্তায় জল জমে থাকলে রাস্তা ভালো বোঝা যায় না তাই বাইক চালানোটা অনেক রিস্ক হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

যে দোকানের খাবার ভালো হয়। তার খাবার একটু তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার আপনাদের ছুটির আগের দিন। রাজশাহীর আমের অন্য রকম স্বাদ যেটা খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনারা সবাই মিলে রাজশাহী থেকে আম আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলেই ছোট বাচ্চারা যখন কোথাও যাওয়ার কথা শুনে তখন অনেক বেশি খুশি হয়। আবার একটু দেরি হলে ওদের টেনশন বেড়ে যায়। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।