ফজরের নামাজ পরে ঘুমিয়েছিলাম, ঊঠতে ঊঠতে প্রায় ৭ টা বেজে গেল। বেশকিছুদিন ধরে সকালে ঊঠলেই দেখি বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে আজকের সকলটা একটু আলাদা, সকাল সকাল ঝলমলে রোদ দেখা দিয়েছে। সকাল বেলা মেয়েকে নিয়ে আইসিডিডিআরবিতে যাবার কথা, তার নতুন করে আরো দুইটি ব্লাড টেস্ট দিয়েছে। যদিও সে এখন পুরোপুরি সুস্থ তবে রিপোর্ট বলছে সে অসুস্থ। আগের ইউরিন রিপোর্ট এ দেখাচ্ছে তার ইউরিনের সাথে ১০-১২ টা ব্লাড সেল যাচ্ছে, এই রিপোর্ট করিয়েছিলাম ইবনে সিনা থেকে। তবে ডাক্তার তার শারীরিক কন্ডিশন ও অন্যান্য রিপোর্ট থেকে বলেছেন ইবনে সিনার ইউরিন রিপোর্ট ভূল হয়েছে। মূলত এই কারণেই নতুন করে ও রিপোর্ট সহ আরো দুইটি রিপোর্ট করতে দেয়া। মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে গিন্নিও অসুস্থ, গতরাতে প্রেসার মেপে দেখেছিলাম ৯০/৭০, খুব বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছি ।
মেয়েকে ডেকে ঘুম থেকে তুলতে পারলাম না, এদিকে আমার অফিসও এলোমেলো অবস্থা, কখন যাই কখন ফিরি ঠিক নাই। ভাব্লাম আজকে সময়মতো অফিসে যেতে হবে। ফ্রিজে আগের রাতের বাসি খাবার ছিল সেগুলো হাল্কা গরম করে খেয়ে নিলাম।
খাবার খেয়ে দু কাপ চা বানিয়ে আমি ও গিন্নি খেলাম। সকাল বেলা চা খেলে রিফ্রেশ মনে হয়। অফিসে আসার আগে ডাক্তারের সব প্রেস্ক্রিপশন বুঝিয়ে দিয়ে এলাম, ১০ টার পর মেয়েকে নিয়ে ব্লাড স্যাম্পল দিয়ে আসবে বারিধারাতে।
টানা রাত জাগা আর দৌড়াদৌড়িতে নিজের শরীরটাও তেমন ভালো নেই, কেমন একটা ম্যড়ম্যাড়ে ভাব। অফিসের ছাদে গিয়ে একটু ১০ মিনিটের মত গায়ে রোদ লাগালাম। ছাদের একটা টবে অরিগ্যানো পাতায় ভরে গিয়েছে, এই অরিগ্যানো পাতার নানাবিধ ওষধি গুণাবলী রয়েছে। আমি মাঝে এই পাতার চা বানিয়ে খাই।
সকাল থেকে একটানা অফিসে বসে পেন্ডিং কাজ গুলো সেড়ে নিলাম। কাজের মধ্যে ঢুকে পড়লে কোনদিকে ভাব্বার অবকাশ থাকে না। একদম লাঞ্চ বিরতির আগ অব্দি একটানা কাজ করে গেলাম।
দুপুরের খাবার খেয়ে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এর মধ্যেই অনলাইন পত্রিকায় খবর পেলাম সরকারি ছুটি টানা ৪ দিন হতে যাচ্ছে। সাথে সাথে মনে পড়লো ব্যাংকের লেনদেন গুলো তাহলে আগেই সেড়ে নেয়া উচিৎ, চলে গেলাম ব্যাংকে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক গুলশান ২ এর এই শাখায় তেমন একটা ভীড় থাকে না, আমি চেক জমা দিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। কাজ শেষ হতে হতে প্রায় ৪ টা বেজে গেল।
অফিস ছুটির পর তারাতারি বাসায় ফেরার তাগদা থাকে, কেননা মেয়ে আমার অপেক্ষায় থাকে। রাস্তায় জ্যাম এত পরিমাণ বেড়েছে যে ৩০ মিনিটের রাস্তা যেতে এখন দেড় ঘন্টা সময় লাগে।
বাসায় গিয়ে মেয়ের সাথে খেলা করে তাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করি। আজকে রঙ পেন্সিল নিয়ে এসে আমাকে বললো একটা মাছ একে দিতে, সেই ছোটবেলায় কোন এক সময় আকিবুকি করেছিলাম, অনেকদিন পর মেয়ের শখ পূরণ করতে গিয়ে আবারো আকতে বসা।
৭ দিনে মেয়ের তিনবার ব্লাড টেস্ট করতে হয়েছে, কিন্তু তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই। আমরা বড়রা হলে হয়তো বেশি ভয় পেতাম। বাচ্চাদের ভয় থাকে তবে তা ক্ষণিকের, একটু পরেই তারা সব ভুলে যায়। মেয়েকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় দিন রাত পার করছি, ১০ তারিখ তার টেস্টের রিপোর্ট হাতে পাবো, সবাই দোয়া করবেন যেন রিপোর্ট ভালো আসে।
Camera | Samsung M31 |
---|---|
Location | Dhaka,Bangladesh |
বাসায় যদি কেউ অসুস্থ থাকে তাহলে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। আপনার মেয়েও অসুস্থ আবার আেনার গিন্নির শরীরও ঠিক নেই তাই আপনি যে বেশ ঝামেলায় আছেন এটা বোঝা যাচ্ছে। বাচ্চারা খুব সেনসিটিভ হয়ে থাকে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওদের খেয়াল রাখা উচিত। মেয়ের ইচ্ছে পূরন করতে আজ ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন এবং মাছের ছবি এঁকেছিলেন যেটা ভালো খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit