Better Life With Steem || The Diary game || 10th June 2024 ||

in hive-120823 •  4 months ago 
"সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি"
20240611_221227.jpg

Cover Photo

আজকে বেশ কিছু দিন পর আবারো ডায়েরি গেইম লিখতে বসেছি। আজকে আমি ১০ তারিখের কাটানো দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

অনেক দিন পর ঢাকা শহরে একা একটা বাসায় রাত্রী যাপন। মেহেক ও গিন্নিকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসায় রাতের বেলা ভালো মতো ঘুমাতে পারিনি, গভীর রাতে একবার ঘুম ভেঙেছিল এর পর থেকে ঘড়ি কাটার টক টক করে ছুটে চলার শব্দ কানে আসছিল, ভালো মতো আর ঘুমাতে পারি নি।

20240610_070319.jpg

সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে দেখি আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। এই বুঝি ঝুম বৃষ্টি নামলো, এমন আবহাওয়ায় মনের অজান্তেই একটা গুণগুণ করে বললাম

আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে
নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার

কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টি থামলো ৮ টার পর। বৃষ্টি হলে আর বাইক নিয়ে বের হই না, তাই রিক্সা যোগে অফিসে রওনা দিলাম। অন্য দিন বাসায় নাস্তা করা হলেও এখন সেই নাস্তা বানানোর লোক নেই, তাই বাহিরে খেয়ে নিলাম।

অফিসে গিয়ে প্রতিদিনের সকালের কাজ গুলো গুছিয়ে নিয়ে এক মগ চা বানিয়ে চুমুক দিতে দিতে পার্টি পেমেন্টের লেজার হালনাগাদ করলাম। ঈদের আগে সবার বিল পে করে দিতে হবে। খুব ব্যস্ততার মাঝেই সকাল টা কেটে গেল।

দুপুরে লাঞ্চের পর জোহরের নামাজ পড়ে একবার গুলশান ১ থেকে ঘুরে এলাম। সকালে বৃষ্টি হলেও দুপুর হতে হতেই প্রচন্ড গরম শুরু হয়ে গিয়েছে।

দু দিন ধরে বাম চোখ এ একুটা খচখচানি অনুভূতি হচ্ছে। খুব ই বিরক্তিকর, তবে সেটা মাঝে মাঝে। মনে হচ্ছে ডাক্তার কে দেখাতেই হবে।

একবার ভেবেছিলাম আজকে সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাবো কিন্ত অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আর যাওয়া হলো না।

বাসায় আসার পথে গুলশান ১, লেক পাড়ে দেখলাম একজন কাকড়া বিক্রি করছে। এই জিনিস টা আসলে রেস্টুরেন্টে খেতেই বেশি মজার। রান্না করতে পারি না বলে এটা কখনো কেনা হয় নি।

20240610_190440.jpg
20240610_190434.jpg

ফুটপাতে কাকড়া ও মাছের মাথা বিক্রি হচ্ছে

বাসায় ফেরার পথে সুবাস্তু নজরভ্যালিতে গেলাম। উদ্দেশ্য জার্সি কেনা। বাংলাদেশ ফুটবল টিমের খেলা আছে লেবানন এর সাথে। পরে দোকানে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এর নতুন জার্সি পেলাম সেটা ও বাফুফের জার্সি কিনলাম।

20240610_221431.jpg
20240610_221426.jpg

এদিকে বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেট ম্যাচ তখন চলছিল। একটু পর পর উইকেট আর সবার উল্লাস, তারাতারি বাসায় ফিরতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটিং মিস করা যাবে না।

বাসার সাম্নের হোটেল থেকে নান রুটি আর গ্রিল নিলাম। একা মানুষ রান্না করতে আর মনে চায় না।

20240610_212458.jpg

বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খাওয়ার পর গ্রাম থেকে নিয়ে আসা আমি, লিচু আর জাম খেলাম। গ্রামের জিনিসের স্বাদ সব সময়ই আলাদা হয়। বিশেষ করে জাম গুলো অসাধারণ লেগেছে।

20240610_005010.jpg
20240610_224201.jpg

খাবার খেতে খেতে বাংলাদেশের খেলা দেখছিলাম। মনে হচ্ছিল জিতে যাবো। যদিও শেষ অব্দি বাংলাদেশ বাজে আম্পায়ারিং এর কারণে জেতা ম্যাচটা হেরে যায়। ভীষণ মন খারাপ নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। মাঝে মাঝে মনে হয় কেন যে বাংলাদেশের সাথেই বার বার এমন হয়। এর পরেও আশায় আছি, নেক্সট ম্যাচে বাংলাদেশ জিতবে এবং সুপার এইটে যাবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

TEAM 2
: Congratulations! This post has been voted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Team 2 curation.png

Curated by : @bossj23

@bossj23 thanks a lot

গিন্নি ও মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছেন এজন্য বর্তমানে বাসায় একাই রয়েছেন তাই ভালো ঘুমাতে পারেন নি। হয়ত মেয়ের জন্য মন খারাপ করছিলো।

ভাইয়া, আসুন হাত মেলাই আমিও রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্ট করি, আপনি আজ বাংলাদেশ ও রিয়াল মাদ্রিদ এর জার্সি কিনে এনেছেন। জার্সির দামগুলো উল্লেখ্য করলে ভালো হতো। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।

মেয়ের জন্যে যতটা না মন খারাপ তার থেকে রাতের বেলা একটা অজানা ভয়ে ঘুমাতে পারি না।
রিয়াল আমার প্রিয় টিম, সব সময়ই চেষ্টা করি এর জারসি সাথে রাখার, এই জারসি টার দাম পড়েছিল ৩০০/- আর বাফুফের টা ২৫০/-

যদিও আমার বাসায় একা তাকতে তেমন একটা ভয় করে না তবে একা থাকাটা একটু রিস্ক হয়ে যায়। আমি আপনার মতো রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্ট করি এবং প্রতিটা ম্যাচ দেখার চেষ্টা করি। জার্সির দাম তো বেশ কম, আমাদের এখানে এর থেকেও অনেক দাম বেশি। ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

একা একা থাকলে অনেক সময় ঘুম আসতে চাই না। আপনি ঠিকই বলেছেন কাঁকড়া অনেকেই রান্না করতে পারেনা ।আমার তো দেখে ভীষণ ভয় লাগে। সত্যিই জাম খেতে অসাধারণ লাগে ।কিন্তু এ বছর আমার একবারও জাম খাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে ।ভালো থাকবেন।

একা একা ফ্ল্যাট বাসাগুলোতে ঘুমাতে গেলে রাতের বেলা একটু ভয় করে, বিশেষ করে যদি কোন কারণে গভীর রাতে ঘুম ভেংগে যায়। আপনি এখন ও জাম খান নি এবছর জেনে অবাক হলাম, মরসুম এ তো শেষ হয়ে যাচ্ছে, কবে খাবেন?

আসলেই ভাই কাছের মানুষগুলোর থেকে আলাদা থাকা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক বিষয়। আপনি বৃষ্টি হলে বাইক নিয়ে বের হোননা এটি খুবই ভালো বিষয়। আপনার মতো সবারই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। জাম গুলো দেখে আমার জিভে জল এসে গেলো।আপনার লিখার মধ্যে একটা মাধুর্যতা রয়েছে।ধন্যবাদ।

একদম তাই, কাছের মানুষ কাছে না থাকলেই তাদের শূন্যতা আমরা বুজতে পারি ভালো মতো। আসলে বরষার সময় বাইক বের করলেই কাদা লাগে, আর তা পরিস্কার করাটা ঝামেলার, তাই বের করি না। ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।