১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন।ফজরের সালাত আদায় করে ঘুমিয়েছিলাম, যখন ঘুম ভাংলো ঘড়িতে তখন সময় সকাল ৮ টা। ৮ টা অব্দি ঘুম অনেক দিন পর, ঘুম থেকে ঊঠে ফ্রেশ হয়ে মেয়েকে ডেকে তুললাম। সকাল সকাল বাপ বেটি মিলে গেলাম বাজারে। সবজি কেনার পাশাপাশি কিছু মাছ কিনে ঘরে ফিরলাম। আমার বাসা থেকে মাত্র ২ মিনিট এর দূরত্ব এই বাজারের। এখানে সকাল বেলা নদীর মাছের পাশাপাশি ফ্রেশ সবজি পাওয়া যায়, যেগুলো বেশির ভাগ আসে রুপগঞ্জ থেকে।
বাজার সদাই নিয়ে বাসায় ফিরে বেলকনির গাছগুলোতে পানি স্প্রে করে দিলাম। আমার মরিচ গাছে মরিচ এসেছে, মরিচের দাম অনেক বেশি বলে গত মাসে একটা শুকনা মরিচ কেটে তার বীজ গুলো টবে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম, সেগুলো থেকেই এই গাচটা টিকে গিয়েছে, আর এখন মরিচ ও ধরেছে।
মেয়েকে সকালের খাবার খাওয়াতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। গিন্নি সকাল বেলা ২ রকমের ভর্তা, মাছ ভাজি আর ঘি মাখা ভাত করেছে, এই মাছ গুলোর সঠিক নাম আমার জানা নেই, তবে এর স্বাদ কিছুটা ইলিশের মতো। তবে এগুলো রান্না করার থেকে এভাবে ভেজে খেতে বেশি মজা লাগে।
আমাদের খাওয়া শেষে মেয়েকে নিয়ে গেলাম ছাদে, সে ছাদে গিয়ে কবুতরের সাথে খেলবে আর ভাত খাবে, ১ প্লেট ভাত খাওয়াতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ছাদে থাকতে হলো।
দুপুর ১২ টার দিকে গিন্নি আর মেয়ে মসজিদে চলে গেলো, আমি আরো ৩০ মিনিট পর মসজিদে গেলাম। এই মসজিদে মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের স্থান রয়েছে, মূলত এক তলা ও দুই তলা পুরুষদের জন্যে নির্ধারিত, তৃতীয় তলায় মহিলাদের নামাজের জন্য বরাদ্দ।
নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়েছিলাম, ঘুম থেকে ঊঠে মেয়ে বায়না ধরলো মার্কেটে যাবে, তাদেরকে নিয়ে চলে গেলাম সুভাস্তু নজরভ্যালি শপিং মলে। সেখান থেকে মেয়ে আর আমার ছোট দুই ভাতিজির জন্যে একই রকম ৩ টা ড্রেস কিনলাম।
কেনাকাটা শেষে লোকাল রেস্টুরেন্ট থেকে হাল্কা নাস্তা করে নিলাম, সুভাস্তুর ফুডকোটে না খাওয়ার সাজেশন থাকবে, একদম বাজে অভিজ্ঞতা বলতে পারেন।
শুভস্তু থেকে ফিরে ডেইলি শপিং থেকে মাছ, আর বাসমতি চাল কিনলাম। আজকে শুক্রবারের দিন তাদের বেশ কিছু অফার ছিল, অফার না দিলে সাধারণত এসব দোকানে আমার যাওয়া হয় না, কেননা বাহিরের থেকে এখানে দাম একটু বেশি থাকে সব সময়।
কেনাকাটা শেষে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ১০ টা বেজে গেল। বাসায় ফিরে খাবার খেয়ে ছুটির দিনের ইতি টানলাম। ভালো কাটলো আজকের দিনটি,আজকের দিনের বেশির ভাগ সময় পার হলো কেনাকাটার নামে ঘুরাঘুরিতে। তো এই ছিল আম্র শুক্রবারের কাটানো দিনের কিছু মুহূর্ত যা আপ্নদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। কেমন লাগলো মতামতে জানাবেন। ভালো থাকবেন।
Device name | Samsung M31 |
---|---|
Photographer | @mukitsalafi |
Location | Dhaka, Bangladesh |
শতাব্দী ধরে বাঙালির খাদ্যতালিকার মূল উপাদান হচ্ছে মাছ ও ভাত। পূর্বপুরুষ থেকেই এই খাবারটি বাঙালির খেয়ে থাকে। তবে দ্রব্যমূল্যের উদ্ভগতির কারনে আজকাল মাছ কেনা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য। তবে যাইহোক পুকুরের মাছের থেকে নদীর মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছুটির দিন আমরা অবসর সময় কাটিয়ে থাকি, ছুটির দিনে সকালে ঘুমটা একটু বেশি হয়, গ্রামের বাজারে টাটকা শাক-সবজি এবং টাটকা মাছ পাওয়া যায়, এগুলো রান্না করে খেতে অনেক সুস্বাদ, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাটকা বাজার শুধুমাত্র গ্রামে পাওয়া যায়। শহরে কখনো টাটকা সতেজ সবজি পাওয়া সম্ভব নয়।
ছুটির দিনগুলোতে সকলেই অবসর সময় কাটাতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, কারো ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার শুক্রবারের দিনটি অনেক সুন্দর এবং অর্থবহ কাটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে! ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করা থেকে শুরু করে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বাজার করা, মেয়ের জন্য নতুন পোশাক কেনা—সবকিছুতেই আপনার দিনের সুন্দর এক ধারা ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে মেয়েকে নিয়ে বাজার করা ও ছাদে সময় কাটানোর অংশটা খুবই আন্তরিক এবং পরিবারের সাথে কাটানো এমন মুহূর্তগুলো নিঃসন্দেহে মূল্যবান।আপনার মরিচ গাছের কথা শুনে ভালো লাগলো, নিজের হাতে কিছু চাষ করে ফলন পাওয়া সত্যিই প্রশান্তির। এছাড়াও, বাজার থেকে টাটকা সবজি ও মাছ কেনা এবং ঘরে রান্না করা খাবারগুলোও নিঃসন্দেহে সুস্বাদু ছিল। আপনার ছুটির দিনের এমন গল্প শেয়ার করায় ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit