সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।
কেমন আছেন আপ্নারা? আশা করি সবার দিন অনেক ভালো যাচ্ছে। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনের মত নতুন আরো একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে শেয়ার করবো ২২ ডিসেম্বরের কাটানো দিনটি।
২২ ডিসেম্বর, আমার জীবনের সবথেকে বড় সম্পদকে হারানোর দিন। এখনো মনে হয়, যদি আর কিছুদিন আমার বাবাকে বাচিয়ে রাখা যেত। দেখতে দেখতে ৪ টা বছর কেটে গেল। বাবা নামের বটবৃক্ষ ছাড়াই এখন চলতে হচ্ছে। **রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানী সগীরা** ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা-মা। সকাল সকাল নামাজ শেষে এই দোয়া করে আমার দিনটির শুরু হলো।
সকাল সকাল মা কে কল দিব কি না, এই দোটনায় পড়ে গেলাম, একবার ভাব্লাম কল দেই, পড়ে মনে হলো সকাল সকাল আমার ফোন কল পেলে আরো বেশি কান্না করবে, তার থেকে বরং অন্য সময় কল দেই। সকাল বেলা নাস্তা করে অফিসের পথে ছুটলাম।আজকে সকাল বেলা রোদের দেখা মিলেছে, অন্যদিনের মত কুয়াশায় ঢাকা সকাল নয়। তবে, হাল্কা বাতাসে শীতের জানান ঠিক মতই পাওয়া যাচ্ছে।
অফিসে যাবার পথে দেখলাম একটা পত্রিকা স্টলে মানুষের ভীড়। ভীড় ঠেলে সামনে গিয়ে দেখি আমার দেশ পত্রিকা আবারো ছাপা শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো আমার দেশ পত্রিকা চালু
অফিসের কাজে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে
শীত এলেই ফলের দাম কিছুটা কমে যায়
আজকে তার প্রথম কিস্তি গ্রাহকের হাতে এসেছে। আমিও এক কপি সংগ্রহ করে রাখলাম, তবে পত্রিকার প্রথম পেইজে লাল কালি দিয়ে লেখা হেডলাইন দেখে চোখ কপালে ঊঠার অবস্থা। যদিও বিস্তারিত দেখে বিষয়টা নিয়ে আর মন্তব্য করার সাহস হলো না।
অফিসে গিয়ে প্রতিদিনের কাজ গুলো গুছিয়ে স্ট্যেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে গেলাম। সেখানে তেমন ভীড় না থাকায় অন্য দিনের তুলনায় খুব তারাতারি কাজ সেড়ে আবারো অফিসে ফিরলাম।
অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে টুকটাক কেনাকাটা থাকেই। আজকে বড় সাইজের ২ টা ডালিম কিনলাম, ৩৫০ টাকা কেজি দরে। দাম অনেক কমে গিয়েছে। এক মাস আগেও ৬০০ টাকা ছিল।
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মেয়েকে পড়াতে বসালাম। ওকে এখন অক্ষর শেখাচ্ছি। যদিও ওর মা ওকে অনেকটাই শিখিয়েছে। প্রতিটি মা এক একজন শিক্ষক। সবার শিক্ষার হাতেখড়ি কিন্তুর মায়ের হাত ধরেই হয়। সেই অর্থে সব মা পৃথিবীর সেরা শিক্ষক।
মেয়েকে খেলার ছলে একটি ছড়া শখিয়ে রাতে খাবার খেতে বসলাম। আজকে মাছ, সবজি আর কলিজা ভূনা রান্না হয়েছে। খুব পছন্দের খাবার। খাবার খেয়ে মাকে ভিডিও কল দিলাম। মেহেক এর সাথে অনেক্ষণ কথা বলে তার মনটাও ভালো হলো। সংগীহীন জীবন যে কতটা নিষ্টুর হয় তা আমিও অনুধাবন করতে পারি। তার পরেও বাস্তবতা মেনে নিয়ে জীবন নামের প্রবাহমান নদীর স্রোতের অনুকূলে বা প্রতিকূলে চলতে হয়। এটাই জীবন।
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি মনটা আবেগে ভরে গেল। বাবার স্মৃতি হৃদয়ে জাগিয়ে রাখার এই চেষ্টা সত্যিই অনন্য। আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, আমিন।
দিনযাপনের প্রতিটি ছোটখাটো বর্ণনা এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, মনে হলো আপনার সঙ্গেই ছিলাম। মা-বাবার প্রতি আপনার ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ দেখে মুগ্ধ হলাম। আল্লাহ আপনার মা এবং পুরো পরিবারকে সুখে-শান্তিতে রাখুন। শুভ কামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit