অনেকদিন বাদে ডায়েরি গেইম লিখতে বসলাম। আসলে গত একটা সপ্তাহ ডাক্তার,বাড়ি আর হাসপাতাল য়ার অফিস করেই পার হয়ে গিয়েছে। এত কিছুর পরেও হয়তো লিখতে পারতাম তবে মনের মাঝে মেয়েকে নিয়ে অজানা ভয়ের কারণে লেখায় আর মন দিতে পারি নি। অবশেষে আজকে সময় করে ডায়েরি লিখছি।
দিনের শুরুটা তেমন ভালো ভাবে শুরু হয়না প্রায় সপ্তাহখানেক। রাতের ঘুম ও যেন নেই। আসলে মেয়ে অসুস্থ থাকায় সব কিছু এলমেলো হয়ে গিয়েছে। আগে মেয়ে যখন সুস্থ ছিল, বাসায় গিয়ে মেয়েকে নিয়ে গিন্নীর অভিযোগের শেষ ছিল না, তখন গিণ্নীকে বোঝাতাম, যে দেখ মেহেক এভাবে দুষ্টুমি করছে বলেই তো বাড়িটা এত সুন্দর, সে যদি দুষ্টুমি না করে অসুস্থ থাকে তাহলে কারোরই ভালো লাগবে না। এই কথা বলার কয়েকদিন পর থেকেই মেয়েটা অসুস্থ।
অসুস্থ মেয়েকে বাসায় রেখে অফিস করতেও ভালো লাগে না, আবার জীবিকার তাগিদে অফিসে আস্তেই হয়। সকাল সকাল অফিসে চলে এলাম, বাসায় নাস্তা করা হয় নি, তাই অফিসে এসে ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে ভেজিটেবল রোল খেয়ে নিলাম।
অফিসে এলে কাজের চাপে দম ফেলানো দায়, তার উপর অডিট চলছে, এর মাঝে বারতি কাজে ব্যাংকে যেতে হলো। ডাচ বাংলা ব্যাংকে কাজ সেড়ে দুপুরের দিকে অফিসে ফিরলাম। অনেক দিন আগে কিছু গ্রোসারী প্রডাক্ট কিনেছিলাম দারাজ থেকে আজকে সেগুলো ডেলিভারী দিয়ে গেল। দারাজ এখন ডেলিভারিতে বেশ বিলম্ব করছে। তবে দোকানের থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যায় বলে অনলাইন থেকে এসব পণ্য কিনি।
অফিস শেষ করে আগে ভাগেই বাসায় ফিরলাম, কেননা মেয়েকে বেশ কিছু প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করাতে হবে। বাসায় গিয়েই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম, তার রক্তের টেস্ট, চেস্ট এক্সরে আর ইউরিন টেস্টের স্যাম্পল দিয়ে এলাম। একদিন পরে রিপোর্ট দিবে।
এর আগে ইউরিনের টেস্ট করিয়েছি কিন্তু সেটার রেজাল্ট ভালো আসে নি, যার কারণেই খুব দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছি, ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন আবারো নতুন করে অন্য কোথাও টেস্ট করাতে।
টেস্ট শেষে মেয়েকে নিয়ে আবার বাসায় ফিরলাম, রাস্তায় আসার সময় আইস্ক্রিম দেখে খাবে বলে কি কান্না, অথচো ঠান্ডার কারণে তাকে রোজ দুইটা করে ইঞ্জেকশন দিতে হচ্ছে, পরে অনেক বুঝিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে এলাম।
বাসায় এসে মেয়েকে নেবুলাইজ করে রাতের খাবার খাওয়ালাম। ৩-৪ দিনের ব্যবধানে মেয়ের ওজন প্রায় ১ কেজি কমে গিয়েছে, খুব ই নাজেহাল অবস্থা।
রাতে মেয়েকে ওষুধ খাইয়ে গিন্নি নিজ হাতে ইঞ্জেকশন করিয়ে দিল। নিজের মেয়েকে নিজ হাতে ইঞ্জেকশন দিতে হলে কত বড় পাষাণ হতে হয় তা আমার জানা নেই, আমি এটা পারতাম না।
মেয়ের কান্না থামলে আমরাও রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। আসলে বেচে থাকার জন্যে খেতে হবে তাই খাওয়া, খাবার গলা দিয়ে নামতে চায় না। আজকে রাতে মুরগীর মাংস আর সজনে পাতার ভর্তা রান্না হয়েছে।
সবাই মেহেকের জন্যে দোয়া করবেন, সে যেন দ্রুতই সুস্থ হয়ে যায়। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।
Camera | Samsung M31 |
---|---|
Location | Dhaka,Bangladesh |
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 2/8) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট বাচ্চারা বাড়িতে থাকলে দুষ্টামি করে যেন বাড়ি মাতিয়ে রাখে। ওদের দুষ্টামিতেই যেন পরিবারের সকলের আনন্দ মিশে আছে। তবে কোনো কারনে যদি ওদের দৌড়ঝাঁপ বন্দ হয়ে যায় তাহলে মনে হয় যেন সময় থমকে দাঁড়িয়েছে। আপনার মেয়ে অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো৷ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনার মেয়ে যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আবারও দুষ্টামি করে বাড়ি মাতিয়ে রাখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রার্থনা করছি খুব দ্রুত আপনার মেয়ে সুস্থ হয়ে যাক,, গত পরশুদিনও আমি আমার মেয়েকে চেষ্টা করিয়েছি, বর্তমানে বাচ্চারা এত বেশি অসুস্থ হচ্ছে আমার মেয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত অসুস্থ টেস্ট এর উপরে টেস্ট করেই যাচ্ছি আর ঔষধের দোকান দেয়ার মত অবস্থা। আল্লাহ সবাইকে সুস্থতা দান করুক ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত আপনার বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে।।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit