কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ সকলের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি শনিবারের কাটানো দিনটির দিনালিপি শেয়ার করতে চলেছি।
ছুটির দিন মানেই একটু আলাদা রুটিন। অন্যদিনগুলিতে অফিস যাবার চিন্তায় সকালে ভালোমতো ঘুম হয় না, ঘুমালেই মনে হয় এই বুঝি অফিসে লেইট হয়ে গেল। সে দিক থেকে শুক্র-শনিবার একটু চিন্তা মুক্ত। তাইতো সকালের ঘুমটাও একটু দেরিতে ভাংলো।
ঘুম থেকে ঊঠলাম ৯ টার দিকে। ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে গিয়ে গাছগুলোতে পানি স্প্রে করে দিলাম। গত শুক্রবার একটা ক্যারেটে মাটি দিয়ে লাউ শাকের গাছ বসিয়েছিলাম। সেগুলো এখন ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। দরকার নিয়মিত পরিচর্যা।
গাছের পরিচর্যা শেষে মেয়েকে খাইয়ে দিলাম। ছুটির দিন গুলিতে সে সাধারণত আমার কাছেই খেতে সাচ্ছ্যন্দবোধ করে। আমিও এটা এনজয় করি।
হটাত আমার মামা কল দিয়ে শ্যামলি যেতে বললো, জরুরী তলব, এটা শুনেই গিন্নী আর আমার মেয়ের মন ভীষন খারাপ হয়ে গেল, আজকে বাহিরে ঘুরতে যাবার কথা ছিল, সেটা আর হল না। কি আর করার তাদেরকে বুঝিয়ে আমি শ্যামলির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
নিজের বাইক চালানোয় নিষেধাজ্ঞা, তাই একটা রাইড কল করলাম, নতুনবাজার থেকে শ্যামলী যেতে ভাড়া আসলো ১৩০ টাকা। ইনড্রাইভ নামের এই এপ্সটাতে তুলনামূলক একটু ভাড়া কম আসে। বনানী হয়ে মহাখালী যাবার সময় নজর পড়লো সেতু ভবনে। একদম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
শুধু বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে। সরকার পতনের আন্দোলনে এই ভবনে আগুন দেয়া হয়, তখন খুব বাজে ভাবে পুড়ে যায় পুরো ভবন। দেশের অনেক সম্পদ স্থাপনায় এভাবে আগুন দেয়া হয়েছিল, একদল স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এসব করে লুটপাট করেছে। খুব খারাপ লাগলো সেতু ভবনের এমন বেহাল অবস্থা দেখে।
আমি ১০টা ৩০ এর দিকে শিশুমেলা পোঁছালাম। এই পাশের সরকারি ভবন, অফিস গুলোতে অবশ্য তেমন কোন ক্ষতি হয় নি, সব গুলোই আগের মতই রয়েছে।
এদিক শ্যামলী পৌছে মামারব্জন্য অপেক্ষা করলাম, মাম এলে সাথে নিয়ে গেলাম বর ভাইয়ের বাসায়, সেখানে একটা মিটিং শেষ করতে করতে বিকেল হয়ে গেল। এর ফাকে বাহিরে থেকে খাবার এনে খেয়ে নিলাম। মিথ্যে মামলায় পরিবারের একজন সদস্য ফেসে গিয়েছে, তাই সবাই মিলে পরামর্শ করে এই মামলা থেকে বের হবার উদ্দেশ্যেই এভাবে জরুরী তলব।
সন্ধ্যার দিকে আবারো বাইক রাইড কল দিলাম। শ্যামলি ক্লাব মাঠে রাইডারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, পাশেই দেখলাম একটা ফুলের নার্সারি , আমি সেখানের ফুল গুলোর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।
রাইডার এলে বাইকে চেপে বাসার পথে রওনা হলাম। ইদানীং রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম পরছে। ট্র্যাফিক পুলিশ থাকলেও এই জ্যাম কমছে না। গুলশান ২ এ প্রায় ১০ মিনিটের জ্যাম ঠেলে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ৯ টা বেজে গেল।
বাসায় ফিরে মেয়ে আর মেয়ের মায়ের গোমরা মুখ দেখে খারাপ লাগলো। কি আর করার অনেক সময় চাইলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা যায় না। তাদের অপেক্ষা আরো বাড়লো ৫ দিন, আগামী শুক্রবার তাদের নিয়ে ঘুরতে বের হব, এই কথা দিয়ে তাদের শান্ত করলাম।
আমরা ছুটির দিনে অনেক পরিকল্পনা করে থাকি, ছুটির দিনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায়, ছুটির দিনের সকালে ঘুম থেকে ওঠার তারা থাকে না, আমরা অনেক সময় ছুটির দিনে দেরিতে ঘুম থেকে উঠি, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম থেকে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
"আরে ভাইয়া! জ্যামে ভিড়ে পোক্ত হওয়া রুচিসদা না? 🚴♂️ এই ফুলের গাছের মধ্যে আবিষ্কার হয়নি, আপনার ফটোগ্রাফি দেখে সৃজনশীলতা অনুভব করছি! 🌼
রাইডিং, এক্সপ্লোরিং আর ফটোগ্রাফির মধ্যে কত ভিন্নতা! 😊 শুক্রবারের ঘুরে, কিছু আরও আনতে দিলেন কি? 🤗
এখানে মহাজাহিরপাড়া, সবাই একসাথে! 😊 আমরা যেভাবেই চাইলেও বেশী রুচিতে নিজের উন্নতির প্রকৃত ঘরাণা দিয়ে থাকি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit