আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। এখন চারিদিকে শুধু ভালো সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে নতুন একটা শুরু হয়েছে আমাদের বাংলাদেশে,আর এটা সম্ভব হয়েছে এদেশের তরুণদের কল্যানে।
আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে ঊঠে অফিসে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। গিন্নি সকালের নাস্তায় রুটি, ভাজি আর ডিম দিল। সকালের নাস্তা করে অফিসের পথে ছুটলাম। আজকে অনেক দিন পর গুলশান-১ এর চত্বরে ট্রাফিক পুলিশ চোখে পড়লো। চলমান ছাত্র আন্দোলনে সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছে পুলিশ। তবে ছাত্ররা এই দিনে পুলিশদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে তাদের কর্মস্থলে । ছাত্র পুলিশ মিলে এখন ঢাকা শহরের ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে, যেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। এভাবে কাজ করলে জ্যাম মুক্ত একটা শহর পাওয়া সম্ভব।
আজকে একটা কাজে গুলশান-১ এ অবস্থিত ইস্টার্ন ব্যাংকে গিয়েছিলাম। সেখানে বড় করে একটা পোস্টার চোখে পড়লো। মানি লন্ডারিং নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেয়া। মনে মনে ভাব্লাম, এখন সব যায়গায় মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে, অথচো বীগত বছর গুলোতে এই মানি লন্ডারিং করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে কিছু দুষ্টু লোক, আর আমাদের দেশের গরীব ও মধ্যবিত্তরা তার ভার টানছে, জানিনা আরো কতদিন টানতে হবে।
দুপুরে জোহরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখি ঝুম বৃষ্টি নেমেছে। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি ঝড়া দেখলাম।
অফিস থেকে সন্ধ্যার সময় বাসায় ফেরার পথে নতুনবাজারে জারা লাইফস্ট্যাইল কাপড়ের দোকানে গেলাম। উদ্দেশ্য একটা প্যান্ট কেনা, সাথে আমার কলীগ ছিল। তবে প্যান্টের দাম বেশি চাওয়ায় না কিনেই চলে আসতে হলো।
বাসায় এসে ঘরে ডুকতেই মেয়ে কেক চাইলো। গতরাতেই কেকের আবদার করেছিল, আমার আর সেটা স্মরন ছিলনা, কি আর করার মেয়ে আর ঘরে ঢুকতে দিলনা, অগ্যতা উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে আবারো বাসার নীচে গেলাম। ল্যাভেন্ডার থেকে একটা ছোট রেইনবো কেক কিনলাম। পাশাপাশি কালোজাম আর সাদা মিষ্টি নিলাম।
বাসাইয় ফিরে মেয়েকে আগে ভাত খাইইয়ে দিলাম, মেয়ে একটু খেয়েই বলে, এখন যদি ভাত খাই তাহলে কেক খাবো কিভাবে? কি আর করার একটু খেয়ে সে কেক খাওয়া শুরু করলো। এখনকার বাচ্চারা বাড়িতে বানানো খাবার ছাড়া বাহিরের সব খেতে রাজি। যদিও আমি চেষ্টা করি যত কম বাহিরের খাবার খাওয়ানো যায়।
আজকের দিনটা আসলে এভাবেই অফিস আর পরিবার নিয়ে পার হলো। যদিও দেশে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তবে এখন সব থেকে বেশি ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে, গুজব। চারিদিকে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ একটা অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, আশা করি সব গুজবকে মিথ্যে প্রমাণ করে আমাদের দেশ সামনে এগিয়ে চলবে। আমরা পাবো নতুন উন্নত ও সুন্দর একটি দেশ, এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভাল থাকবেন সবাই।