আসসালামুয়ালাইকুম!
শুভ সকাল। কেমন আছেন বন্ধুরা? আজকে আবারো একটি দিনের দিনালিপি শেয়ার করতে চলে এলাম। আসা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
শনিবার, মানে আমার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। অন্যান্য ছুটির দিনগুলির মতই আজকেও শুরুটা দেরিতে হলো। ফজরের সালাত আদায় করে আবারো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, অনেক বেলা হয়েছে কিন্তু রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল সকাল খেলার কথা থাকলেও কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে মাঠে কারো উপস্থিতি চোখে পড়লো না।
গিন্নির এক্সাম থাকায় সে বেরিয়ে গেল, আজকে আমাকে দুপুর অব্দি মেয়েকে সামলিয়ে রাখতে হবে। জানি এটা অনেক বড় একটা ডিউটি। মেয়ে ঘুম থেকে ঊঠেই মা কে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিল, আমি কোনরকম তার কান্নাটা থামালাম, কথা দিলাম একটু পর বাইরে গিয়ে খেলনা কিনে দিবো।
মেয়েকে ঘুম থেকে তুলে ব্রাশ করিয়ে দিলাম। ওর জন্যে নূডলস আর পাস্তা মিক্সড করে রান্না করে দিলাম। সে মজা করে খেল।
সকাল থেকেই তার কাশি বেড়ে গিয়েছে। গরম পানি দিলে সে খেতে চায় না, তাই তাকে তাল মিছরি দিলাম। সে এটাকে লজেন্স নামে চিনে।
দুলাল চন্দ্র ভাড়ের বিখ্যাত তালমিছরি
এক সময় আমারো এটা ভীষণ পছন্দের ছিল, এই কারণেই কিনা জানিনা মেয়েরও এটা ভীষণ পছন্দের। আর এই তাল মিছরি কিন্তু কাশ বা ঠান্ডা লাগালে তআ কমাতে দারুণ কাজ করে। তাল মিছরি মানেই যেন দুলাল ভাড়ের বিখ্যাত মিছরি।
বাসার ছাদে কবুতর, ক্যামেরা-নিকন
মেয়েকে নাস্তা করিয়ে ছাদে নিয়ে গেলাম। কবুতর গুলোকে সে খাবার দিল, তার মন ভালো করার সবথেকে ভাল উপায় হচ্ছে কবুতরের কাছে নিয়ে যাওয়া। সে কবুতর আর পাখি পেয়ে মায়ের কথা ভুলে গেল।
এই ছবিটিও আমার নিকন ক্যামেররায় ধারণ করা
কবুতরকে খাইয়ে তাকে নিয়ে বাহিরে বের হলাম। বাজার ঘুরিয়ে চকলেট আর ক্লে কিনে দিয়ে দুপুরের দিক বাসায় ফিরলাম। ঠান্ডায় মেয়েকে গোসল করানোর আর সাহস হলো না। তাকে ফ্রেশ করে ভাত রান্না দিলাম। গিন্নি আগেই তরকারি রান্না করে রেখেছিল, সেগুলো গরম করে তাকে খাইয়ে দিলাম।
গিন্নি ২ টার দিকে বাসায় ফিরলো। ততোক্ষণে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। গিন্নি খাওয়া শেষে জলপাই এর আচার বানাতে বসলো। আমি বললাম আমি আজকে আচার বানাবো। তার দেখানো রেসিপি মেনে আচার বানানো হল। অবশ্যই এই রেসিপিটাও আরেকদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বাড়িতে বানানো জলপাই এর আচার
আচার বানিয়ে বেশি খাওয়ার ফলে গিন্নির প্রেসার কিছুটা লো হয়ে গেলে আমি প্রেসার মেপে দেখলাম। ৯০/৭০ দেখে বিশ্বাস হচ্চিল না। তারাতারি তাকে স্যালাইন আর ডিম সেদ্ধ খাওয়ালাম। মেয়ে এই সুযোগে প্রেসার মাপা মেশিন নিয়ে নিজের প্রেসার নিজেই মাপতে শুরু করে দিল।
ছোট ডাক্তার মেহেক
রাতের বেলা মাছ ভূনা আর লাউ পাতার ভর্তা রান্না হলো। সন্ধ্যার আগে আগে গিয়ে এই লাউপাতা গুলো ছাদ বাগান থেকে নিয়ে এসেছিলাম। কোনরকম সার ছাড়াই পাতা গুলো বেশ বড়সর হয়ে গেছে।
ছাদ বাগানের সতেজ লাউপাতা
রাতের খাবার খেয়ে গরুর দুধ গরম করে দিলাম। আগে খাটি দুধ বিক্রি হতো, তবে ইদানীং সংকট, তাই প্যাকেটজাত দুধই ভরসা।
গিন্নিকে বল্লাম টেনশন না করে তারাতারি ঘুমাতে। লো প্রেসার কখনোই ভালো নয়। যেকোন মুহূর্তে অজ্ঞান হবার আশঙ্কা থাকে, এবং এর ফলে বড় ধরণের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। আর লো ব্লাড পেসার ওষুধে ঠিক হয়না, প্রচুর পরিমাণে খাওয়া দাওয়াই এর ওষুধ। সবারই উচিৎ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা