The Dairy Game ||A Journey Through Eid and Beyond || 20th June 2024

in hive-120823 •  3 months ago 
"সবাইকে সালাম জানিয়ে শুরু করছি"
20240622_101818.jpg

Cover Photo

আশা করি ঈদের ছুটি কাটিয়ে সবাই অনেক ফুরফুরে মেজাজে আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কয়েকদিন এর ব্যস্ততা এবং নেটওয়ার্ক এর বাহিরে থাকায় কারো সাথে তেমন যোগাযোগ করা হয়ে ঊঠে নি। আজকে আমি গত ২০ তারিখের কাটানো দিনটি সবার সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

সকাল সকাল ঘুম থেকে ঊঠে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। কেননা সকাল ১১ টায় আমাদের ট্রেন। দিনাজপুর থেকে সান্তাহার যাবার জন্যে ট্রেন সবথেকে সহজ ও আরামদায়ক। ব্যাগ গুছিয়ে নাস্তা করে নিলাম। ফ্রিজের মাংস নিতে হবে, কোরবানির পর কোথাও যাওয়া মানে সাথে মাংস নিতেই হবে এমন একটা ব্যাপার। আমি একটা প্লাস্টিকের বালতিতে করে মাংস গুলো নিলাম, এভাবে নিলে মাংস অনেকক্ষণ অব্দি ভালো থাকে।

আমি, গিন্নি, মেয়ে আর সাথে আমার ছোটভাই মিলে নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে চলে এলাম। ঈদের পর ভেবেছিলাম অনেক বেশি ভীড় হবে, তবে তেমন ভীড় পেলাম না।

20240620_092934.jpg

রেল স্টেশনে লোকাল যাত্রীদের হালকা চাপ ছিল

20240619_094757.jpg

সাথে অনেক গুলো ব্যাগ ছিল আর আমাদের বগী নাম্বার "ঠ" হওয়ায় প্রথমে ভেবেছিলাম পেছনের দিকে যেতে হবে, তবে স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা বলে জানতে পারি ঠ বগি সাম্নের দিকে থাকবে। আমরা সেভাবে সামনে গিয়ে প্রস্তুত ছিলাম, ট্রেন আসার সাথে সাথেই ভালো ভাবে ট্রেনে ঊঠতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

20240619_111754.jpg

ট্রেনের ভেতরে ঝালমুড়ি বিক্রেতা

ট্রেনের ভেতরে অনেক ফেড়িওয়ালা ঊঠে তাদের মালামাল বিক্রি করে। একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা ঝালমুড়ি বিক্রি করছিল, অনেকেই সেটা খাবার জন্য উদগ্রীব। তবে আমার কাছে কেমন যেন অস্বাস্থ্যকর মনে হয়। বিশেষ করে তারা যখন ট্রেনের নীচে দিয়ে হেটে হেটে বিক্রি করে তখন তাদের খোলা মুড়িতে বাতাসের সাথে ঊড়ে গিয়ে অনেক কিছুই পড়ে। এগুলো দেখার পর আর খাওয়া হল না।

আমরা ১:৩০ এর দিকে সান্তাহার পৌছালাম। সেখান থেকে একটা সিএনজি ভাড়া করে সোজা শশুরালয় এর দিকে যাত্রা করলাম। স্টেশন থেকে প্রায় ১ ঘন্টার পথ তবে রাস্তা সংস্কার এর কাজ চলছিল পাশাপাশি প্রধান সড়কে বাস মালিক পরিবহণ এর সাথে সিএনজি সমিতির ঝামেলা থাকায় অনেকটা পথ বাইপাস হয়ে যেতে যেতে সময় প্রায় দেড় ঘন্টা লেগে গেল।

20240619_141700.jpg

সিএনজি থেকে ক্যাপচার করা গ্রামীন প্রকৃতি

শশুর বাড়িতে গিয়ে স্নান করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। একটু রেস্ট নিয়েই আমার গিন্নির খালাতো ভাই এর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য রওনা হলাম। আবারো ২৫ কি:মির পথ তবে, গ্রামীন কাচা পাকা রাস্তা পেরিয়ে যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।

20240620_184153.jpg20240620_183932.jpg
20240620_184201.jpg

গ্রামের মেঠোপথ সাথে ছোট নদী

এরকম কাচা রাস্তা দিয়ে যেতে দারুণ লাগছিল। তবে আর কিছুদিন পর বর্ষা শুরু হলে এদিকে পানি থৈ থৈ করবে তখন একমাত্র ভরসা নৌকা।

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দিলাম। এদিকে হলুদের অনুষ্ঠান মানেই নাচ গান। দারুণ উপভোগ্য ছিল, তবে একটাই সমস্যা এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকঠাক মতো পাওয়া যায় না।

20240619_235759.jpg

খালাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আমরা

হলুদের অনুষ্ঠানে শেষ করতে করতে প্রায় রাত ১ টা বেজে গেল। আমি একটা রুম ফাকা পেয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সারাদিনের জার্নির ক্লান্তি পাশাপাশি রাত জাগা সব মিলিয়ে গানের বিটের তালে তালে ঘুমটা কিন্তু ভালোই হয়েছিল।

এবারের ঈদের ছুটিটা খুব ভালোভাবে কাটাতে পারছি। অবশ্যই বাকি দিনগুলো শেয়ার করবো, সেই অব্দি সবাই ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে আপনি ঈদের ছুটি অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন এবং আপনি কিভাবে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিছেন সে সম্পর্কে সকল কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Loading...

ঈদের ছুটি এবং বিয়ের অনুষ্ঠান সব নিয়ে খুব সুন্দর দিন যাচ্ছে আপনার, তাছাড়া বিয়ে মানেই তো অন্যরকম আনন্দ করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে ।আপনাদের ওখানে ট্রেনে বেশি যাওয়া আসা করা হয় যতটুকু মনে হলো।

তবে এটা একদম সত্যি কথা গাড়ি বা ট্রেন, এর ভিতরে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আমাদের বিরত থাকাই সবচেয়ে বেশি ভালো।
তাই আমিও চেষ্টা করি গাড়িতে উঠলে ওখান থেকে খাবার না কেনার।

আমাদের এই দিকে বাসে যেতে প্রায় ১২ ঘন্টা লাগে, সে তুলনায় ট্রেনে লাগে মাত্র ৮ ঘন্টা। বাসে এত লং জারনি না করে তাই ট্রেন কে বেছে নেয় বেশির ভাগ মানুষ। ত্রেন এর দূরের জারনি সব সময় আরামদায়ক, তবে মাঝে মাঝে সিডিউল বিপরযয় হলে জারনি খারাপ হয় এই আরকি।

ঈদের ছুটি শেষ করে এবার আবার নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার পালা। তবে আপনি সকল কিছু গুছিয়ে শশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন। যাক ভাগ্য ভালো যে অতিরিক্ত ভীড় পান নি, ভীড়ের মধ্যে যাতায়াত করাটা অনেক কষ্টের। গ্রামের মাঠের পাশ দিয়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে হাটার মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

গ্রামের রাস্তা গুলো সব সময় মনরম হয়, বিশেষ করে মাটির রাস্তা আর যদি পাশে তাল গাছ ও নদী থাকে তাহলে মনে হয় ছবির মতই সুন্দর। এবার আমার সুযগ হয়েছিল এম,অন রাস্তা দিয়ে যাবার। খুব ভালো সময় পার করেছি আলহামদুলিল্লাহ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য শ্বশুরবাড়িতে চলে গেলেন। কিন্তু ওখানে বেশি সময় অবস্থান করতে পারলেন না। ওখান থেকে আবার আপনার খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে অর্থাৎ, আপনার স্ত্রীর খালাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। আসলে গ্রামের এই মেঠো পথগুলো অসাধারণ হয়ে থাকে। সন্ধ্যার পরে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগে। আর শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি করার মজাটাই অন্যরকম। যাই হোক ধন্যবাদ ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য, গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

ঈদের ছুটিটা এবার অনেক যায়গায় ঘোরাঘুরি করে কেটেছে, তবে শীতের সকালে এখানে হাটাহাটির সুযগ এখনো হয় নি, যদি কখনো যাই তাহলে অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন।

ঈদের ছুটিতে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং অনেক বেশি আনন্দ করেছেন। সেটা আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে বোঝা যাচ্ছে। একদমই ঠিক বলেছেন শীতের সকালে গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটার মজাটাই অন্যরকম। যখন সকালবেলা হাঁটা শুরু হয়, তখন শিশির এসে পায়ের উপর পড়ে যেটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। একদমই যদি কখনো সময় পান অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।

অনেকদিন বাদে আপনার দিন যাপনের গল্প পড়লাম। মেহেক রানীকে মিস করলাম। সারাদিনের গল্পে তার মুখখানি না দেখলে আমার কাছে অসম্পূর্ণ লাগে। তবে গ্রামীণ পরিবেশের বেশকিছু দৃশ্য শেয়ার করছেন, যেগুলো বেশ উপভোগ্য ছিলো। বিয়ে বাড়িতে নাচ, গান, আত্মীয়স্বজন মিলে বেশ ভরপুর আনন্দ করেছেন। গতবারের ঈদের খারাপ লাগা ঘুচেছে কিছুটা, কি বলেন? পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।

আসলে যেই এলাকায় গিয়েছিলা বিয়ে খেতে সেটা একটা দীপের মত, চারদিকে বিল, মাঝে গ্রাম, উপজেলা শহর থেকে ২০-২৫ কিমি দূরে হুয়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক মত পায় না, তাই চাইলেও আমি এই কয়দিন লিখতে পারি নি। এই দিক একদম কোলাহল মুক্ত, খুব ই সুন্দর কিছু সময় পার করেছি, তা থেকে কিছুটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

এবারের ঈদের ছুতি খুব এনজয় করেছি, মন চাচ্ছিল না ঢাকায় আসি, এর পরেও চলে আস্তে হলো।

সান্তাহারে আপনার শশুরবাড়ি।ঈদের পর ঘুরতে যাওয়ার জন্য আপনারা সেটাকেই সিলেক্ট করেন।আর আপনি ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।ট্রেনে যদিও বা ভীড় হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আপনার ভাগ্য ভালোই ছিলো।দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার পর আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেন এরপর সেখানে থেকে আপনি একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছিলেন।মাটির উঁচুনিচু রাস্তা পাড়ি দিয়ে আপনারা সেখানে যান।রাত জেগে সেখানে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।খুব সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেন। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্যের জন্য, তবে আমার শশুর বাড়ি নুগা তে, আর নওগাতে রেল যোগাযোগ না থাকায় শান্তাহারে নেমে যেতে হয়েছিল। সেখান থেকে প্রায় ১ ঘন্টা লাগে সি এন জি তে করে যেতে।