The Diary Game, 28 September 2024 ||Spent A Day with my family.

in hive-120823 •  2 days ago 

20240928_094802.jpg

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৮, শনিবার। আরো একটি ছুটির দিন। ছুটির দিন মানেই সমস্ত দিনটি যেন একান্তই নিজের ওপরিবারের জন্যে বরাদ্দ। নেই সকাল বেলা ঊঠে অফিসের জন্যে ছোটাছুটি। ছুটির দিন গুলিতে যেমন হয়, আজকেও তার ব্যতিক্রম হয় নি, রীতিমতো ৯ টার একটু আগে ঘুম থেকে ঊঠে ফ্রেশ অয়ে চলে গেলাম বাজারে। বাজার থেকে এক কেজি টাকি মাছ, পালং শাক, কচু শাক, কাচা মরিচ আর কিছু টাটকা সবজি নিয়ে বাসায় ফিরলাম।

20240928_120238.jpg

বাজার থেকে কিন আনা টাটকা কচুশাক


20240928_103350.jpg

কাচা মরিচ


বাসায় ফিরে মেয়েকে নিয়ে গেলাম ছাদে, উদ্দেশ্য সকালের মিষ্টি রোদ এর সাথে সকালে খাবার খাওয়ানো। ডাক্তার বলেছেন প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট সকালের রোদে বসে থাকতে। সকালের রোদে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন দি থাকে যা আমাদের ছোট বড় সকলের জন্যে অনেক বেশি উপকারী। মেয়েকে রোদে দাড় করিয়ে কবুতরের সাথে খেলতে দিলাম, এর ফাকে তাকে খাওয়ানো হয়ে গেল।

20240928_093922.jpg

সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মাখা


ছাদের পুদিনা পাতার গাছ বৃষ্টির পানি পেয়ে তার ডাল পালা ছড়াচ্ছে, খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে ঊঠছে, দেখেই শান্তি পেলাম, পাশাপাশি আমার লাউগাছ গুলো বাড়তে শুরু করছে। যদিও মাটির অভাব আছে, আবার মাটি কিনে নিয়ে আস্তে হবে। ছাদ বাগান এর গাছ গুলো ভালোভাবে পরিচর্যা করা গেলে এখান থেকেও কিন্তু শাক-সবজির একটা যোগান দেয়া সম্ভব নিজ পরিবারে।

20240928_085951.jpg20240928_085924.jpg

ছাদ বগানের লাউ ও পুদিনা গাছ


মেয়েকে খাওয়ানো হয়ে গেলে বাসায় ফিরলাম, মেয়ের একটা মাটির ব্যাংক ছিল, শুধু কয়েন গুলো জমানো হতো, একদম ছোট ব্যাংক হওয়ায় আর কয়েন ফেলা যাচ্ছিল না, আজকে সেটা ভেংগে দেখলাম প্রায় ৭০০ টাকার মত জমেছে। এই ব্যাংক ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সার কয়েন ছিল, পাশাপাশি কিছু রূপি আছে, যা আমি সংগ্রহ করে রেখেছি। এক সময় পুরাতন মুদ্রা সংগ্রহের নেশা ছিল।

20240928_144104.jpg

মাটির ব্যাংকে জমানো মুদ্রা


ছাদ থেকে নামার সময় কিছু পুদিনা পাতা ছিড়ে এনেছিলাম, গিন্নি সেগুলো দিয়ে সকালের চা বানিয়েছে। পুদিনা পাতার অনেক উপকারি দিক রয়েছে, তাই মাঝে মাঝে বিভিন্ন ভর্তা, ঝাল্মুড়ি মাখা আর এরকম চায়ে এই পাতা ব্যবহার করা হয় আমার বাসায়।

20240928_100616.jpg

পুদিন পাতার চা


দুপুরে আজকে ভাতের সাথে ইলিশ মাছ আর কচু শাক রান্না হয়েছে। ইলিশ মাছের মাথা আর লেজ দিয়ে কচুশাক দারুণ হয়েছিল খেতে, এর রেসিপি আমি আরেকদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম, মেয়ে অসুস্থ থাকায় এখন আর ঘুরাঘুরি হচ্ছে না, সন্ধেবেলা নাস্তা করে বাদাম ভাজতে গিয়ে দেখি বেশির ভাগ ই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক দিন আগে কিনেছিলাম, ভাজার অভাবে খাওয়া হচ্ছিল না, শেষ মেষ আজকে ফেলেই দিতে হলো।

20240928_205557.jpg

রাতের বেলা সবথেকে বর কাজ থাকে মেয়েকে নেবুলাইজড করা। অনেক কষ্টে তাকে নেবুলাইজড করিয়ে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। টানা বৃষ্টির কারণে রুমের টালস গুলো মনে হয় বেশি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে, মেয়ের কাশি এই কারণেই কমে না, একটা বড় তোয়ালা ছিল, সেটাকে আফাতোত ফ্লোরে বিছিয়ে দিয়েছে, গরীবের কার্পেট হিসবে। খুব একটা খারাপ লাগছে না অবশ্য দেখতে।

20240928_225729.jpg

কার্পেট এর বিকল্প হিসেবে তোয়ালে


মেয়ে এই কাপড়ের উপরে বসা তার মতো খেলছে, রাতে ইদানীং সে দেরীতে ঘুমায়, পরদিন আমার অফিস থাকায় আগে আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তো এই ছিল আমার শনিবারের কাটানো দিনটি। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত শেষ করছি।

Post Details
Device nameSamsung M31
Photographer@mukitsalafi
LocationDhaka, Bangladesh
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
  ·  2 days ago 

@tipu curate

Loading...

ছুটির দিনে সত্যিই কাজ অনেক বেড়ে যায়। অনেক বাজার দোকান করেছেন। ছাদে অনেক সবজি লাগিয়েছেন সেগুলো মেয়েকে নিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। আপনার মেয়ে মাটির ভাঁড়ে টাকা জমিয়েছে কিছুদিন আগে আমার মামার মেয়েও মাটির ভাগে প্রায় 10000 এর কাছাকাছি টাকা জমিয়েছিল ।এইরকম ভাঁড় থেকে টাকা ভাঙতে ভালোই লাগে ।ছোটবেলায় আমিও জমাতাম। আপনার সুন্দর পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।

আপনার ছাদে হোক বা ব্যালকনিতে গাছের প্রতি আপনার যত্ন ও ভালোবাসা দেখে ভালো লাগে। ছুটির দিন কি আদেও ছুটির দিন হয়? হ্যাঁ,যদিও পরিবারের সাথে সময় কাটানো যায়,তবুও আমার তো মনে হয় ছুটির দিনে কাজ আরও বেশি থাকে। তবে হ্যাঁ সময়মতো ঘুম থেকে ওঠার,অফিসে যাওয়ার কোনো তাড়া থাকে না, এটাই যা উপভোগ্য বিষয়। মেহককে দেখে ভালো লাগলো। আগের থেকে এখন অনেকখানি সুস্থ আছে, আর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে আশা করছি দ্রুতই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। পুদিনা পাতার চাটনি দিয়ে মোমো খেতে বেশ ভালো লাগে, তবে চা খাওয়া হয়নি কখনো। ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের কার্যাবলী পড়ে। ভালো থাকবেন।