চলো যাই নাড়ির টানে

in hive-120823 •  29 days ago 
IMG_20241221_062002.jpg

Hello,

Everyone,

আজ এই পোস্ট যখন লিখছি তখন আমি দেশের বাড়ি চলে এসেছি । দেশে বাড়িতে নেটের সমস্যা থাকায় আমার পোস্ট করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারপরে বসে পরলাম ল্যাপটপ নিয়ে পোষ্ট লিখতে।
জানি না আদৌ পোস্টটা করতে পারব কিনা তারপরও চেষ্টা করছি।

যেহেতু ডিসেম্বর মাস বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে। এই ছুটিটা নষ্ট না করে আমিও চাইলাম যে, গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি । আর্মি বাবু ছুটি পায়নি তাই মা-মেয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসবো ।তবে আমরা একা একা এতদূর জার্নি করব তাই সবাই একটু চিন্তা করছে।

IMG_20241219_132007.jpg

মা চিন্তা করছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি ভালা না তাই এই সবাই জানেন । সবার বাড়তি চিন্তা হচ্ছে। আমি অনেকদিন বাসায় থাকবো না । তাই আর্মি বাবুর জন্য গতকাল রাতে কিছু খাবার রান্না করে রেখেছিলাম।

হাঁসের ডিম ভূনা, খাশির মাংস , চার ধরনের মাছের ঝোল , মুরগি মাংস কষা এবং কিছু চিকেন নার্গেট । খাবার গুলো বক্সে করে রেখেছি ।কিছু বক্স নরমালে এবং কিছু বক্স ডিপে রাখেছি ।তবে তার রান্নার চিন্তা থাকবেনা।

IMG_20241219_192159.jpg

আমরা খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম , যেহেতু অনেক দূর যেতে হবে । সকাল ৯:৩০ মিনিটে আমাদের বাড়ি ছিল । আমরা বাসা থেকে সকাল ৮টায় বেড়িয়ে যাই । আর্মি বাবু আমদের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে ছিল । এখন বরিশালে যাওয়া সেরকম কোন সমস্যা নেই । পদ্মা সেতু হওয়ায় বরিশাল যেতে খুব কম সময়ে যাওয়া যায়।

IMG_20241220_110817.jpgIMG_20241220_092731.jpg

গাড়ির পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল এবং গাড়িতে মজার বিষয় হল আজ যত যাত্রি ছিল তাদের মধ্যে মহিলা যাত্রি বেশি ছিলেন। বর্তমানে সারা দেশেই মহিলাদের সংখ্যা বেশি ।ওভার ব্রীজ থেকে কুয়াসা ঘেরা ঢাকা শহর দেখেতে অনেক সুন্দর লাগছে।

শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় ভেবেছি আজ কোন যানজটে পরতে হবে না। কিন্তু শহরের এই সমস্যা ছুটির দিনগুলোতে থেকে যায় ।দুপুর ১টা বেজে গেলো পদ্মা সেতু পার হতে। দুপুর হলেও সূর্য মামা ততটা প্রকট হয়নি , কুয়াশায় ঢেকে আছে।

IMG_20241220_121604.jpg

পদ্মা নদীর গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে ।নদীর মাঝে মাঝে বালু জমে ছোট ছোট দীপের মত ভেসে উঠেছে । সেখানে অনেকে কৃষিকাজ করছে ।বরিশাল আসতে বিকেল ৪:১০ বেজে গেলো । গ্রামের মেঠো পথ অনেক সুন্দর ।

IMG_20241220_115056.jpg

সন্ধ্যা এখনো হয়নি তাও পরিবেশসেটা অন্ধকারাচ্ছন্ন । আজ বৃষ্টি হয়েছিল তাই পরিবেশ থমথমে ছিল । আমাদের বাড়ি একটু গ্রামের ভিতরেই। গাড়ি থেকে নেমে আবার রিক্সা অথবা ভ্যান গাড়িতে করে যেতে হয় । কোন রিক্সা ছিলনা তাই আমরা একটা ভ্যান গাড়ি খুজতে ছিলাম ।

আমার ছোট দেবর এক বয়স্ক চাচাকে পাঠিয়েছিলেন আমাদের নেবার জন্য। আমরা তার ভ্যানে উঠে পড়লাম । এই প্রথম আমি থ্রি পিস পড়ে আমার শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছি । আমরা সবসময় শাড়ি পরে শ্বশুরবাড়ি যেতাম। সেখানে এখনও আগের সেই রিতিনীতি আছে।

শ্বশুরবাড়ি মানে শাড়িতেই মানায় মেয়েদের কিন্তু এতদূর ভ্রমন সুবিধার জন্য আমি থ্রি পিস পরেছিলাম । একটু ভয় পেয়েছিলাম শ্বশুরবাড়ির লোকগুলোকে কি নাকি কি বলে ? তবে তারা কিছুই বলেনি ।

অনেকদিন পর আমাদেরকে পেয়ে ওরা অনেক খুশি হল ।সত্যি নারীর টান অন্যরকম মায়া । আমরা যতই শহরে থাকি না কেন আমাদের প্রাণ পড়ে থাকে কিন্তু সেই গ্রামে তাইতো যখনই ছুটি পাই বা সময় পায় তখনই এই গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য মন কেমন করে।

আমরা বাড়িতে আসলে শাশুড়ি অনেক খুশি হতেন। আজ আমার শাশুড়ি মা নেই কিন্তু আমার ছোট দেবর আমাদেরকে যথেষ্ট ভালোবাসে। আশা করি আপনাদের দিনগুলো খুব ভালোভাবে কেটে যাচ্ছে। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি , নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার হাজির হব ।


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি✿◉●•◦

Divider.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

প্রথমে জানাই আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, মানুষের জন্ম যে স্থানে মানুষ সেখানে যাওয়ার জন্য মন ছুটে যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটা বিষয় আমি জানতে পারলাম ভাইয়ার জন্য আপনি খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন। আমার আম্মাও আপনার মতন কাজ করে, যখন মা দূরে কোথাও যায় বেড়াইতে কয়েক দিনের জন্য। আমার জন্য এইভাবে রান্না করে ফ্রিজে রেখে যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।