Hello,
Everyone,
গতকাল ছিল ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস । সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক ভালবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধা ।তাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এই বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। বাংলা ভাষায় লিখতে পারছি।
তাদের সেই আত্মত্যাগের নানা ঘটনা শুনতে শুনতে সেই ১৯৭১ সালে হারিয়ে যাই ।আমাদের সেই দিন গল্প চোখে দেখার সুযোগ হয়নি কিন্তু গল্পগুলো শুনতে শুনতে মনে হচ্ছে যেন অনেক পরিচিত আমাদের ।
যুদ্ধ সে বুলেটের আঘাতে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে ।যুদ্ধ কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে কিনা জানিনা।তবে সবকিছু র্ধ্বসকরে দিতে পারে এক নিমিশে ।সেই ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করার পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ।তবে, তখন বাংলাদেশে একটি ধ্বংসস্তূপ পরিণত হয়েছিল।
সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে একটু একটু করে বাংলাদেশ সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বিশ্বের দরবারে।সারা বিশ্বে বাংলাদেশের এক সুনাম তৈরি হয়েছিল ।শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করে ।
বাংলাদেশের বর্তমান সময় ভালো যাচ্ছে না।আমি জানিনা এ থেকে আমরা কবে পরিত্রাণ পাব ।আমরা আবার স্বাধীনভাবে আগের মত সবকিছু করতে পারবো। আজ যেন অস্ত্র শক্তির প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে বিশ্ব ।যার যার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে ।তার এটুকু বুঝতে পারে না সাধারণ জনগণ তাতে কতটা কষ্ট পাচ্ছে? তারপরও বলবো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশ পেয়েছি আমরা সেই শহীদের মর্যাদা যেন দিতে পারি ।
শীত দিনগুলোতে যেন অলস হয়ে যাচ্ছি । তার সাথে বাসায় একের পর এক অতিথি আসছে ,তাদের আদর আপ্যায়ন করতে করতে আমি ক্লান্ত ।অতিথি নারায়ন সেটা স্বীকার করি ও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি কিন্তু আমার একার পক্ষে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আসা সত্যি অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
বাসায় অতিথি থাকলে বাসার কাজ বেড়ে যায় ।সবকিছু গুছিয়ে নিতে আমার সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যার প্রার্থনা করতে বসেছি এমন সময় আর্মি ফোন দিয়ে বলেন,অতিথিদের নিয়ে মামার বাসায় যাবেন। আমি শুনিতো অবাক! আমার শাশুড়ি মায়ের বিয়ে হয়েছিল সেই ১৯৪১ সালে। তারপরেই তার বাবা-মা কলকাতা চলে গিয়েছিলেন। তার মামারা সবাই চলে গিয়েছিলেন । তাহলে এই আবার কেমন মামা?
তিনি হলেন তার কাকাতো মামা ।যিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ।এই মামার সাথে আর্মি বাবুর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।তার সাথে ১৮ বছর পরে দেখা । মামা- মামী আর্মি বাবুকে অনেক ভালোবাসতেন । যখন আর্মিবাবু সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তখন তিনি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছিল এবং ফিরে আসতে চেয়েছিল। এ্ই মামা তাকে অনেক সাহস দিয়েছিলেন ।
মামা অবসরের পরে ঢাকাতে চলে আসেন। মামার ছেলে নৌবাহিনীতে কর্মরত আছেন এবং মেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে আছেন । তারা আমাদের কাছাকাছি থাকেন তা আমরা জানতাম না।
তাই তো আজ সন্ধ্যায় মামা শ্বশুড়ের বাসায় গিয়েছিলাম। মামি আমাদেরকে পেয়ে অনেক খুশি। মামী রত্নাগর্ভা মা । দুটি ছেলে মেয়েকে এত সুন্দর ভাবে মানুষ করেছেন এবং সুশিক্ষিত করেছেন ।ছেলে-মেয়ে ও ছেলে বউ সবাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটি জীবন কাটাচ্ছেন ।মামা হয়তোবা অনেক কিছু করতে পারেনি কিন্তু তার ছেলেমেয়েদেরকে সুশিক্ষিত করতে পেরেছে।
ছেলেমেয়েদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং একজন মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়তে পারা এবং শেষ জীবনে বাবা মায়ের একমাত্র সম্বল সেই সন্তান । সে সন্তানের কাছে কাজ থেকে ভালোবাসা পাওয়াটা প্রতিটা বাবা মায়েরে আশা থাকে। আমরা পেপার-পত্রিকা, অনলাইন মাধ্যম গুলোতে প্রায় এই খবরগুলো চোখে ভেসে আসে যে, সন্তানরা অনেক উচ্চ শিক্ষিত হয়েছে , বড় চাকরিজীবী হয়েছে কিন্তু বাবা-মায়ের ঠিকানা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম না হয় পথে ঘাটে ।
আমরা মামার বাসায় অনেক গল্প করলাম ।মামী অনেক নাস্তার আয়োজন করেছিলেন। আমার দেবরের ছোট বৌও সংসারের দায়িত্ব নিতে শিখে গেছে । প্রিয় মানুষগুলোর সাথে কিছু সময় থাকাটা অনেক ভালোলাগার একটি মুহূর্ত । গল্প করতে করতে কখন যে রাত দশটা বেজে গেল তাই বুঝতে পারিনি ।মামাদের আমার বাসার আশার নিমন্ত্রন দিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি ।
আমরা যত বড় হই না কেন বা যত দূরে যাই না কেন আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে যেন আমরা কখনো ভুলে না যাই ।সবার জন্য শুভকামনা জানিয়ে আজ বিদায় নিচ্ছি ।নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার দেখা হচ্ছে ।
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you,Ma'am @stef1
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit