![]() |
---|
Hello,
Everyone,
বসন্তের মাস শুরু হয়ে গেছে তার সাথে সাথে ফাল্গুন মাসে পড়ে গেছে । ফাল্গুন মাস মানে বাংলা সনের ১৪৩১ সালের শুভ বিবাহ মাস চলছে।সনাতন ধর্ম রীতিমতে এই বছরে শেষ বিবাহের দিন রয়েছে, চৈত্র মাসে কোন বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় না।
মা তার একটু একটু রক্ত বিন্দু দিয়ে তার সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়ে থাকেন । বাবা তার শ্রম ও সারা জীবনের কষ্ট দিয়ে সে সন্তানকে বড় করে থাকেন এবং সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে মায়ের সাথে সাথে বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি পিতা-মাতার কাছে ছেলে কিংবা তাদের মেয়ে সন্তানের সমান গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে বাবারা তার মেয়েকে রাজকন্যার মাতো রাখার চেষ্টা করে ।
![]() |
---|
সেই মেয়েকে বড় করা, তার সমস্ত চাহিদা পূরণ করা। তাকে পড়াশোনা করিয়ে সুশিক্ষিত করার চেষ্টা। যখনই মেয়ের বয়স ১৮ বয়সে পা রাখে তখনই সেই কন্যাগ্রস্থ পিতা মাতার চিন্তা শুরু হয়। মেয়েকে একটা ভালো পাত্রের হাতে তুলে দিতে হবে এবং তার মেয়েটা সেই সংসারে গিয়ে কতটা সুখী হবে। তা নিয়ে মনে হাজারো চিন্তা থাকে ।
সনাতন ধর্মে মেয়ের বিয়ে দেয়া অনেক খরচের বিষয় । এমন অনেক মধ্যবিত্ত বাবা আছে তার মেয়ের বিয়ের জন্য শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করে । আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী সবাইকে পঞ্চ ব্যঞ্জন খাওয়ানো হয় ।তারপর তো ছেলে পক্ষে ১০০ থেকে ২০০ বর যাত্রীদের আপ্যায়ন রয়েছে। এত কিছু আয়োজন করার পরও অনেক সময় সে বাবাকে নানা কথা শুনতে হয়।রান্না ভালো হয়নি ,মাছ ভালো ছিলো না ,মাটন সেদ্ধ হয়নি ,মেয়েকে কি দিয়েছে এই রকম হাজারো কথা।
এই সমালোচনা গুলো যে লোকজন করেন তারা একবারও ভাবেনা বাবা কত কষ্ট করে এই আয়োজন করেছেন এবং তার প্রাণের সবথেকে প্রিয় মানুষটিকে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে এর থেকে আর কি কষ্ট হতে পারে । আমরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে এরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো কারণ প্রতিটা বাবা যায় তার মেয়ে সুখে থাকুক এবং তার সাধ্যমত সবকিছু আয়োজন করার চেষ্টা করেন। আমাদের প্রতিবেশী দাদা সকাল বেলা এসে তার মেয়ের বিয়ের নিরন্তর দিয়ে গেলেন, তখন তার কিছু আর্থিক সমস্যার কথা বললেন এবং আর্মি বাবু তাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
![]() | ![]() |
---|
সকালবেলা এমন কথা শুনে সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে গেল যে, মেয়ের বাবারা কতটা অসহায়। যাই হোক আমি সকাল বেলা প্রার্থনা করছি এবং ছোট বোন তার বাসায় যাওয়ার জন্য আমাদেরকে ফোন দিলো । ছুটির দিন ছিল তাই মেয়েটা তার ছোট্ট ভাইকে দেখার জন্য বায়না করছিল । বাসায় কিছু কাজ গুছিয়ে নিতে দেরি হয়ে গেল তাই ওর বাসায় যেতে যেতে দুপুর দুটো বেজে গেলো।
দিদিকে পেয়ে ভাই অনেক খুশি ।ভাই -বোনের যে মিষ্টি সম্পর্ক । রান্নাঘরে গিয়ে দেখি বোনের রান্না হয়ে গেছে ।আমি শুধু মিষ্টিকুমড়া ফুলের পাকোড়া ভেঁজেছি । বাচ্চারা পাকোড়া খেতে খুব ভালোবাসে। তারা মজা করে সেই গরম গরম পাকোড়া খাচ্ছিল । বোন দুপুরে খাবারের মেনুতে অনেক কিছু আয়োজন করেছিলাম । দুপুরের খাবার শেষে কিছু সময় গল্প করি । সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসি কিন্তু আমরা যখন বাসায় আসবো তখন বোনের মিষ্টি বাবু অনেক কান্না করলো ।বাচ্চারা সবসময় লোকজন ভালোবাসে। তারা আপনজনের কাছে থাকতে বেশি ভালোবাসে।রবিবার থেকে আবার কলেজ , অফিস সবকিছু খুলে যাবে তাই আমাদের বাসায় চলে আসতে হল ।
(০২-০৩-২০২৫ )আজ থেকে সিয়াম সাধনার মাস "রমজান মাস" শুরু হলো । আজ প্রথম রোজা । এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে ।এখন সমস্ত কিছুরই আকাশ ছোঁয়া দাম। যা সাধারণ জনগণের পক্ষে ক্রয় করা সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে ।অনেককে বলতে শুনেছি , অন্যান্য মুসলিম দেশে এই রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে দেওয়া হয় যাতে সকলে তাদের সাধ্যমত জিনিসগুলো ক্রয় করতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যায় তার ব্যতিক্রম ।
তবে আশা করি কিছুদিন পরে আবার সবকিছু নিয়ন্ত্রনে আসবে। অনেক কথাই বলা হয়ে গেল আজ । এই পবিত্র মাসে আমরা সকলে নিজ নিজ ধর্ম সঠিকভাবে পালন করবে এবং অন্যদের ধর্ম পালন করতে সহযোগিতা করবে। এখানেই বিদায় নিচ্ছে ।সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সনাতন ধর্মের এই মাসে বিয়ের জন্য সবচাইতে ভালো এটা আমার জানা ছিল না।। আর হ্যাঁ আপনি মা-বাবার বিষয়ে বেশ কিছু কথা উল্লেখ করেছেন একদম বাস্তব।।
এই কথা অস্বীকার কোন জায়গা নেই যে সনাতন ধর্মের বিয়েতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়।। যা কিনা আমাদের ইসলাম ধর্মের নেই।। আমাদের ধর্মে রয়েছে একটি মেয়েকে টাকা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসতে হবে যদিও আমরা সেই নিয়ম পালন করি না।। এছাড়াও আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ডেকে একটি বিয়ে করানো নিয়ে মতভেদ আছে আমাদের ধর্মে।।
অনেক পরিবার আছে তার মেয়ের বিয়ের জন্য নিজের শেষ সম্বলও বিক্রি করে দেয় তারপর অনেক কথা শুনতে হয় যেমন আপনি বলেছেন।। তবে শুনে ভালো লাগলো আপনারা তাদের কিছু সাহায্য করেছেন আসলে সাহায্য করা উচিত।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit