Hello,
Everyone,
শুভ সকাল, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। বছরের শেষ মাস নভেম্বর মাস, সকল বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষা থাকে তাই প্রতিটা মায়েদের অনেকটাই ব্যস্ত থাকতে হয় । বাচ্চাদের পড়াশোনা ও সংসারের কাজ সবনিয়ে ব্যস্ততার ভিতরে কাটাচ্ছে ।আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ১৫ই নভেম্বর কাটানো দিনলিপি শেয়ার করতে চলে আসলাম।
আজ শুক্রবার ছুটির দিন, ছুটির দিনে আমরা হয়তো একটু অলস হয়ে যাই। ঘুম থেকে দেরিতে উঠা, সকালের নাস্তা আমরা ১১ঃ০০ টায় খেয়ে থাকি । আজ শুক্রবার হল আমার অনেক ব্যস্ততার সাথে কেটে গেছে কারণ আমার বাসায় আজ আমার অনেক অতিথি আসবে ।আমার নাতি নাতনিরা আসবে।
সকাল |
---|
সে আনন্দ মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সকালে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে পড়লাম ।উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালবেলা প্রার্থনা করে নেই। প্রার্থনা শেষে সকালের নাস্তা তৈরি করি। তখনও বাসার অন্যান্য সদস্যগণ ঘুমাচ্ছিল ।আজকে বাসায় কিছু বিশেষ রান্না হবে তাই আমি সকালবেলা উঠেই সেই রান্নার আয়োজন শুরু করি।
আমি খেতে ততটা ভালোবাসি না কিন্তু নতুন নতুন ধরনের রান্না করে অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসি। আমি রান্নাঘরের সকল কাজ নিজের হাতে করতে বেশি ভালোবাসি । আর্মিবাবু রান্নার সময় আমাকে সাহায্য করতে চায় তবে আমার কাছে সে সাহায্য করতে গেলে মনে হচ্ছে আরও কাজ বাড়িয়ে দেয় । তাতে আমার আরো সময় বেশি লাগে তাই আমি একা একা সব কিছু করতে ভালোবাসি।
আগে সবকিছু গুছিয়ে নেই তারপর এক এক করে রান্না বসিয়ে দেই। প্রথমে পিঠে তৈরি করে নিলাম। রান্নার শেষে পিঠা তৈরি করতে অনেক ঝামেলা হয় তাই শুরুতেই পিঠা তৈরি করে নিলাম ।আজকে দুধ চিতাই পিঠা তৈরি করলাম ।
আজকে খাবারের মেনুতে ছিল: চীনা বাদাম ভর্তা, বেগুনি, মাছের পাতুরি, কাঁচা টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল, জলপাই দিয়ে টক ডাল, হাঁসের মাংস, সবজি ভাজি, সাদা ভাত এবং শেষ পাতে দিয়েছিলাম দইও কোক । শীতের দিনে হাঁসের মাংসের সেই স্বাদ।
দুপুর |
---|
দুপুর বারোটার সময় অতিথিরা চলে আসলো । শুক্রবার দিন আপনজনদের সাথে একত্রিত হওয়ার একটি সুযোগ থাকে । অন্যান্য দিন সকলের অফিস থাকে তাই আপনজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার সময় হয় না , আমরা চেষ্টা করি সপ্তাহের এই ছুটির দিনটি পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার ।আর্মিবাবু খাবার পরিবেশন করার সময় আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন।
আজ আমার খাবার খেতে অনেকটা দেরী হয়ে গেল। বিকাল চারটা বেজে গেল ।
রাত |
---|
বাঁচ্চারা ছাদে যাবার জন্য খুব বায়না করেছিল।আমি ততটা ছাদে যাই না তাই ওদের সাথে গেলাম। ছাদ থেকে রাতের ঢাকা শহরটি দেখতে অনেক সুন্দর ।বিশেষ করে এয়ারপোর্টের আলোকসজ্জা শহরকে আরো আলোকিত করেছে, আরো সুন্দর করেছে । আমরা অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম এবং কিছু ছোট ভিডিও করেছিলাম ।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার বেশিরভাগ ছবি ডিলিট হয়ে গেছে ।সকলে মিলে গল্প করতে করতে সন্ধ্যা পার হয়ে রাত আটটা বেজেগেলো ।
বাসায় এসে প্রার্থনা করি এবং চা তৈরি করে দিলাম ।বাচ্চারা খুব আনন্দ করতেছিল। তারা গানের কলি খেলছে ,হাসি-ঠাট্টা এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় । এভাবে কেটে গেল আমার ১৫ই নভেম্বরের ছুটির দিনটি। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ।সকলে ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন ।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | Redme |
Smartphone Model | Redme Note 13(2024) |
ছুটির দিন এমনিতে অলসতা লাগে কোন কাজ করতে যেন মনে চায় না শুধু মনে হয় আর একটু ঘুমাই আর একটু ঘুমাই,
একদম ঠিক বলছেন ছাদের ওপর থেকে রাতের শহর দেখতে অনেকটাই ভালো লাগে বিশেষ করে আপনার তোলা ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে ক্যামেরা মানে ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার এত সুন্দর ছবি তুলে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit