Hello,
Everyone,
সকলে কেমন আছেন ? আশা করি সকলে ভালো আছেন ।দীর্ঘ দিন বিরতির পরে আমি আবার আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার দিনলিপী নিয়ে ।এতদিন কোন পোস্ট করতে পারেনি সেই কারণগুলো আজ নাইবা আর বললাম।
এর মাঝে অনেকগুলো সুন্দর এবং ব্যস্ততম দিন অতিক্রম করেছে কিন্তু তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি । আজ আমি ১৬ই ডিসেম্বরে কাটানো সেই দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ১৯৭১ সালে এই দিনে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র , একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছিল , সে সম্বন্ধে আপনারা সকলেই জানেন তাই আজ বিস্তারিত কিছু বললাম না ।
আপনারা সকলেই অবগত আছেন বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের সকল অফিস-আদালত বন্ধ থাকে, এই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা থাকে । আমার ছোট বোন ও দুলাভাই গতকাল আমার বাসায় এসেছে ।
আজকের সকাল |
---|
বিশেষ লোকের জন্য বিশেষ কিছু আয়োজন করতে আমার খুব ভালো লাগে । এখন যেহেতু শীতকাল এই সময় পিঠে-পুলির ধুম পড়ে যাচ্ছে। ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও আমি খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছিলাম। কারণ আজকের সকালের নাস্তায় পিঠে পুলি তৈরি করবো।
ওদের ওঠার আগেই সবকিছু তৈরি করে নিয়েছিলাম। মাংস আমি গতকাল রাতে রান্না করে রেখেছিলাম ।গরম গরম সাজের পিঠা তার সাথে মাংসের ঝোল খেতে খুব ভালোলাগে । ভাপা পিঠা তৈরি করে নিয়েছিলাম ।
সকালের আয়োজনে এত কিছু দেখে দুলাভাই ও বোন অনেক খুশি হয়ে গেলেন । কাছের মানুষের হাসিমুখটা দেথে ভালো লাগে তখন আর কষ্টটা কষ্ট মনে হয় না। ওদেরকে ভালোবেসে ওদের পছন্দ অপছন্দ গুলো দেখাই হল বড় বোনের দায়িত্ব । সকলকে নাস্তা দেয়ার পরে আমি সকলের প্রার্থনা করে নিলাম ।
আজকের দুপুর |
---|
দুপুরে খাবারের মেনুতে আজকে কাচ্চি বিরিয়ানি হবে তাইতো আর্মি বাবু ঘুম থেকে উঠেই খুব সকাল সকাল মার্কেটে গেলেন এবং ফ্রেশ খাসির মাংস নিয়ে আসলেন। আমরা দুই বোন তাদের সবার জন্য লেগে পড়লাম কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করার জন্য। বাচ্চারা অনেক খুশি ,এই প্রিয় মানুষগুলোকে কাছে পেলে যে কতটা আনন্দ হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
আমার বোনের রান্না করার হাত খুব ভালো। ওর রান্নার পদ্ধতি এবং আমার রান্নার পদ্ধতি অনেকটাই এক । আমরা দুজনে মিলে রান্না করলাম। দুপুরের খাবারটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।আমি সাধারণত আর্টিফিশিয়াল মসলা ব্যবহার করি না। ঘরোয়া মসলা দিয়ে বিরিয়ানি মসলা তৈরি করে নিয়েছি।
কেওড়া জল পরিমাণে কম দেই ।যেহেতু আমরা নিজেরাই খাব তাই এখানে আর্টিফিশিয়াল কোন মসলা আমি ব্যবহার করি না । কাচ্চি বিরিয়ানির সুভাষ সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে পরে ।এবার প্রধান অতিথিদের রিভিউ শোনার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। খাবার খেয়ে যখন তারা প্রশংসা করে তা শুনতে বেশ ভালোলাগে ।
আজকের রাত |
---|
১৭ তারিথ দাদাভাইয়ের অফিস ছিল তাই রাতেই বোন চলে যায় ।১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে মামণির একটি অনলাইন প্রোগ্রাম ছিল তাই ওকে তৈরি করে দিলাম এবং আমিও তৈরি হয়ে গেলাম ।এই বছর শহীদ মিনারে গিয়ে আর ফুল দেয়া হলো না। প্রোগ্রাম শেষ করে রাতের খাবার খেতে অনেক রাত হয়ে গেল। আমিও ক্লান্ত ছিলাম তাই ঘুমিয়ে পড়লাম । এভাবেই কেটেগেলো আমাদের বিজয় দিবসের দিনটি।
আপনারা সকলে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।