[Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আশা করি সৃষ্টিকর্তা অশেষ কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থআছেন। সকালবেলা হঠাৎ কলিং বেলের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো। সকালবেলা কে আসতে পারে এটা ভেবে ঘুম চোখে দরজার কাছে এগিয়ে গেলাম ।
দরজা খুলে ভাবীকে দেখে ভয় পেয়ে গেছি আবার জাহিদ ভাইয়ের সাথে নতুন কোন সমস্যা হল কিনা । ভাবী বললেন , ভাইয়ার অফিসে অনেক কাজ ছিল তাই খুব সকালে সে অফিসে চলে গেছেন ,তাই ছেলেকে নিয়ে তাকেই যেতে হবে। আমার বাসায় তার মেয়ে শিশুকে কিছু সময়ের জন্য রেখে যাবেন ।
মেয়ে বাবুটাকে আমার বাসায় রেখে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলেন । ছোট্ট বাবুটার নাম হলো” জারা” । আমার মেয়ের পাশে জারাকে ঘুম পাড়িয়ে দিল। এত সুন্দর পবিত্র মায়াবী এই মুখ দেখে কোন বাবা ফিরে থাকতে পারে । বুঝিনা কেনইবা ওদের সাথে এমন করছেন। মেয়েটির জন্মের শুরু থেকে বাবা মায়ের ভিতর এই দ্বন্দ্ব দেখতেছে ।
আজও হয়তো কিছু বুঝতেছেনা কিন্তু ভবিষ্যতে বুঝবে। জানিনা ভাবি কতদিন আর লড়াই করে এই সংসার টিকিয়ে রাখতে পারবেন। জোর করে আর যাই হোক না কেন ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা যায় না । এখন হয়তো সে কমিউনিটির চাপে পড়ে ওদের সাথে আছে, জানিনা আমাদের এই কমিউনিটি আর কতদিন ভাবিকে সাপোর্ট দিতে পারবেন ! জাহিদ ভাই আগের থেকে অনেকটা নরম হয়েছে কিন্তু ভাবির সাথে সেভাবে কথা বলছে না ।
বর্তমান সময় এমনই হয়েছে যে , কেউ এক চুলও ছাড় দিতে রাজি না , সেই স্ত্রী হোক কিংবা স্বামী হোক । বর্তমানে দেখতেছি স্বামীদের যত টাকা বেশি হয় তাদের অহংকার তত বেশি হয় । এখন হিন্দু/ মুসলিম বলে কোন কথা নেই ,এখন সকল ধর্মেই বিবাহ বিচ্ছেদটা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
যাই হোক আমি ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা তৈরি করলাম । মেয়েকে নাস্তা দিলাম এবং বাবুটার পাশে আমি কিছু সময় বসে ছিলাম।মামনীর নাস্তা খাওয়া শেষে আবার বাবুটার কাছে এসে বসল। বাবুটাকে পেয়ে সে অনেক খুশি।
আমি দুপুরে রান্না করতে গেলাম । বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে না অবনতি হয়ে কিছুই বুঝতে পারছি না । facebook কিংবা টিভি খুললেই আমরা দেখতে পাই নানা দুর্ঘটনা। কোথাও মন্দির ভাঙছে, কোথাও মাজার শরীফ ভাঙছে, বায়তুল মোকাররম দখলের চেষ্টা দাঙ্গা বাধছে।
খাগড়াছড়ি শহর অঞ্চলে বৃহস্পতিবার রাতভর বাঙালি ও পাহাড়ি দুই দলের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। যার পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় । আমাদের এত সুন্দর সাজানো ছোট্ট দেশ কেন এরকম এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে । এখন মানুষের প্রতি মানুষের মায়াটা কমে যাচ্ছে । হিংসা , হানাহানি, খুন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বসে মানসিক ভারসাম্যহীন এতিম তোফাজ্জলকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে একদল ছাত্র । মানুষের বিবেক গুলো কোথায় গেল ? এতটা নির্মম হতে পারে ছাত্র । আমি জানি না তারা কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে । তফাজ্জলকে পিটিয়ে মারার আগ মুহূর্তে তাকে ভাত খেতে দিয়েছে এবং তার হাত থোয়ার জন্য পানি দিয়েছে । তারপরে তাকে পিটিয়ে একটু একটু করে মেরে ফেলেছে।
তোফাজ্জল এক সময় মেধাবী ছিল , তার ভালোবাসাকে না পাওয়ায় সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তার বাবা-মা, ভাই এই পৃথিবীতে কেউই ছিল না। সে এতিম ছিল । সে তো কারো কোন ক্ষতি করেনি তবে কেন তাকে এভাবে মরতে হল
আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাই বলে কি যার যেটা ইচ্ছে তাই করতে পারব ! দিন যত যাচ্ছে ততই মানসিকভাবে খুব ভেঙ্গে পরছি । আজ শরীর ও মন দুটই খারাপ । বাসাতে অনেক কাজ জমে আছে, সেগুলো করতে ইচ্ছে করছে সা। আমার প্রিয় প্লাটফর্মে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারছি না ।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাগন যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করার কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ যদি তাদেরকে সাহায্য না করি তবে তাদের এই পরিস্থিতি সামলানো সত্যি অনেক কঠিন হয়ে যায় । মেয়েকে কিছু ফল কেটে দিলাম ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত সদস্যদের কে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়েছেন দুই মাসের জন্য । আশা করি তাদের চেষ্টায় আমাদের দেশ থেকে সকল বৈষম্য , অন্যায় ,সকল রাজনৈতিক সমস্যা সাধারণ করতে পারবেন। জনগণ আবার মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।
দুপুরে খাবার শেষে কিছু সময় বিশ্রাম নেই । সন্ধ্যার প্রার্থনা করি। প্রার্থনা শেষে মেয়েকে নুডুলস পাকোড়া তৈরি করে দেই । ভাবছি, চার দেয়ালের মাঝে থেকে হয়তোবা মানসিকভাবে ভেবে পড়েছি। বাড়ি থেকে ঘুরে আসলে এই সমস্যা সমাধান হতে পারে ।কিন্তু বাড়িতে সুস্থভাবে যেতে পারবো কিংবা সুস্থভাবে আসতে পারবো কিনা সেই চিন্তা করে কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে না।
এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিনগুলি। আশা করি আমাদের সামনের দিনগুলো সকলের ভালো কাটবে ।এখানে বিদায় নিচ্ছি ।শুভ রাত্রি।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
সন্তানের মুখের দিকে তাকালেই বাবা-মায়ের দ্বন্দ্ব ভুলে যাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু কিছু মানুষ আছে সব সময় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রাখে, সেটা কখনোই উচিত নয়, কিছু সাধারণ মানুষের কারণেই বিভিন্ন সময় স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, আমরা আমাদের দেশের শান্তি চাই, সারাদিনের কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটি অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনি তৈরি করা খাবার গুলো আমার কাছে সুন্দর লেগেছে। সবাই আমরা সুন্দর সময় কাটাতে চাই। আপনি সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit